বাংলাদেশ থেকে কতজন আসাম গেছেন : যা বললেন বিজেপি নেতা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৫০, আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৯, ১৭:১৫
ভারতীয় রাজ্য আসামের নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে খুশি নয় ক্ষমতাসীন বিজেপি। শনিবার তালিকাটি প্রকাশের পর গেরুয়া শিবির জানিয়ে দিয়েছে, তারা এ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এনআরসি-র তালিকাছুটদের সংখ্যা নিয়ে ‘খুশি নন’ বিজেপি নেতৃত্ব। তালিকাছুটদের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারত বলেই মনে করছে পদ্মশিবির। এ ইস্যুতে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাবে বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, আসামের সীমান্তবর্তী জেলায় নাগরিকের তথ্যপঞ্জি পুনরায় খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি ও আসাম সরকার, এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর একথাই জানালেন সে রাজ্যের বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
আসাম এনআরসি : বিজেপি পড়ে গেছে ‘মাইনকার চিপায়’!
এ প্রসঙ্গে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দেশের অনেক মানুষই এই প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট হননি। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে বিজেপির বক্তব্য জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘আসামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এনআরসি। ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে, যার মধ্যে ৩.৮০ লক্ষ মানুষ আবেদনই জানাননি। আবার এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। ফলে আদতে তালিকাছুটদের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। যার মধ্যে ৫-৬ লক্ষ মানুষ রয়েছেন, যারা বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছেন’’।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরো বলেন, ‘‘এনআরসি কর্তৃপক্ষ রিফিউজি সার্টিফিকেট নেননি। এ বিষয়টি ট্রাইব্যুনাল ঠিক করবে। তাছাড়া, এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের বাবা-মা’র নাম রয়েছে তালিকায়, অথচ তাদের নাম নেই। ফলে তাদের নাম যখন নথিভুক্ত করা হবে, তখন তালিকাছুটদের মোট সংখ্যা হবে প্রায় ৬-৭ লক্ষ, যা খুবই কম’’।
বিজেপি নেতা বলেন, আসামবাসী খুশি নন, কারণ তালিকাছুটদের সংখ্যা যতটা হতে পারত বলে ভাবা হয়েছিল, ততটা হয়নি। তালিকাছুটদের নাম আরো বেশি হতে পারত’’। উল্লেখ্য, এনআরসিতে অন্তর্ভুক্তি ও বাদ পড়ার তালিকার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। আর সে কারণেই বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোতে ২০ শতাংশ নাগরিকের তথ্যপঞ্জি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা