২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির ইস্যুর মাঝেই আমিরাত থেকে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মোদি

কাশ্মির
নরেন্দ্র মোদিকে সোনার মেডেল পরিয়ে দেন যুবরাজ আল নাহিয়ান - ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অর্ডার অব জায়েদ’ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার আবু ধাবিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মোদীকে এই সম্মাননা প্রদান করেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

অনুষ্ঠানে যুবরাজ আল নাহিয়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সোনার মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমার ভাই তার দ্বিতীয় বাড়িতে এসেছেন। আমি কৃতজ্ঞ।’

কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চরম অবনতির মধ্যেই মোদিকে এই সম্মাননা দিল আমিরাত সরকার।

এর আগে গত এপ্রিলে নরেন্দ্র মোদীকে এই সম্মানে ভূষিত করার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। ওই সময় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সময়ে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।’

শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট। তার ছবি খোদাই করা ওই মেডেলটি দেশটির সর্বোচ্চ সম্মাননা। শেখ জায়েদের জন্মশতবার্ষিকীতে মোদিকে মেডেলটি পরিয়ে দিয়ে যুবরাজ তার সাথে করমর্দন করেন। এসময় মোদিকে তিনি বলেন, ‘আপনিই এই সম্মানের যোগ্য।’ এরপর দুই নেতাকে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে দেখা যায়।

এদিকে, সম্মাননা পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে অর্ডার অব জায়েদ সম্মাননা গ্রহণ করে ধন্য হয়েছি। কোনো একজন ব্যক্তি নয়, ১৩০ কোটি ভারতীয় নাগরিক এই পুরস্কারের অংশীদার। এই সম্মাননার জন্য আমিরাত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

তবে, মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেয়ার সমালোচনা ও নিন্দা করেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্স। সংগঠনটির নেতা সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ গিলানি বলেছেন, মোদিকে পদকটি দেয়া হয়েছে রাজতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ থেকে। এতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই। তবে আমিরাতের এই পদক্ষেপে কাশ্মিরী জনগণ হতাশ।

এর আগে, ব্রিটিশ আইনপ্রনেতা নাজ শাহ এক খোলা চিঠিতে মোদিকে এই সম্মাননা না দিতে আমিরাত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে বসবাসরত হাজারো কাশ্মিরী নয়, বরং আমি নিজেকে একজন কাশ্মিরী হিসেবে চিন্তা করে আপনাদের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি।’

কাশ্মির ইস্যুতে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রথম থেকেই সমর্থন দিয়েছে আরব আমিরাত। দেশটি একে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

এদিকে, আমিরাত থেকে নরেন্দ্র মোদি বাহরাইন সফরে যান। মানামায় পৌঁছার পর দেশটির শাসক শেখ হামাদ বিন ঈসা আলে খলিফার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মোদিকে ‘কিং হামাদ অর্ডার অব রেনেসাঁস’ সম্মাননা প্রদান করেন বাহরাইনের শাসক।

সূত্র : পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement