২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির প্রশ্নে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে ধাঁধায় ভারত!

ইমরান ট্রাম্প ও মোদি
ইমরান ট্রাম্প ও মোদি - ছবি : সংগ্রহ

কাশ্মিরে উত্তেজনা কমাতে নয়াদিল্লি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, আগামী ২৬ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে তা জানতে চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ অফিসার এই কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প আগেই বলেছেন, ফ্রান্সে আসন্ন জি-৭ সম্মেলনে ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মির নিয়ে কথা বলবেন তিনি। ওই অফিসারের কথায়, ‘‘কাশ্মিরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পাশাপাশি উপত্যকায় মানবাধিকার রক্ষার জন্য ভারত সরকারে কী ভাবে সচেষ্ট, সেটাও জানতে চাওয়া হবে বৈঠকে।’’

গত দু’সপ্তাহে তিন বার কাশ্মির নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব-দেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদির বৈঠক শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগোবে, তা আঁচ করতে পারছেন না ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বৈঠকের গুরুত্ব যথেষ্ট। ওই মার্কিন কর্মকর্তার আরো বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাকিস্তানের মাটি থেকে যে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো বারবার ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতা চালিয়েছে, তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।’’

ভারতের পররাষ্ট্র দফতর বুঝতে পারছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তা আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন স্বতন্ত্র। কিন্তু দু’টি দেশকেই নিজেদের সঙ্গে রাখাটা এই মুহূর্তে মার্কিন নীতির বাধ্যবাধকতা।

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে কাশ্মিরের ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। পাকিস্তানের পাখির চোখ এখন কাশ্মির। ইমরান সরকার জানিয়েই দিয়েছে, কাশ্মিরের ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’র ফলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি লঘু বা প্রভাবিত হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্প অক্টোবরেই আফগানিস্তান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে চান। সে ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের পূর্ণ সহযোগিতা তার প্রয়োজন। তাই যেভাবে হোক, কাশ্মির প্রশ্নে পাকিস্তানকে সংযত রাখতে চাইছেন তিনি।
বস্তুত, কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতিসঙ্ঘে সরব হতে শুরু করেছে পাকিস্তান। তাই কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে কিছুটা খুশি রাখা যাবে— এই হিসাবও ভাবনায় রাখছে হোয়াইট হাউস। আবার ভারতের বিশাল বাজারকে আমেরিকা কখনোই অবজ্ঞা করতে পারে না। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব করতে ভারতের পাশে থাকতে হবে ট্রাম্পকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত

সকল