২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ব্যথিত আমি : পার্লামেন্টে মোদি

নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত

ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মুসলমান যুবককে হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘গণপিটুনির ঘটনা আমাকে ব্যথিত করেছে। অন্যদেরও হতবাক করেছে। আমরা সুবিচার নিশ্চিত করতে চাই। এই ঘটনা যাতে বারবার না ঘটে সেদিকে পদক্ষেপ করতে চাই।’

বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ভাষণ দেয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণপিটুনির ঘটনা অন্যায়; কিন্তু রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে যেভাবে ঝাড়খণ্ডকে গণপিটুনির ভাণ্ডার বলা হল, তা ঠিক নয়। কিছু মানুষের জন্য গোটা রাজ্যকে দোষী করা যায় না। একটা গোটা রাজ্যের বাসিন্দাদের দোষী বলা ভুল, এটা শোভনীয় নয়।’

এর আগে রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গুলাম নবী আজাদ দাবি করেছিলেন, ঝাড়খণ্ড ‘গণপিটুনির ভাণ্ডার’ হয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তবরেজ আনসারী (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তারা তবরেজ আনসারীকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংসদেও বিরোধীদলীয় এমপিরা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আজ এনিয়ে সাফাই দেন।

এদিকে, আজ অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শাহবানুর কথা স্মরণে থাকে কিন্তু (গণপিটুনিতে নিহত) তবরেজ আনসারীর কথা, মুহাম্মাদ আখলাকের কথা, পহেলু খানের কথা মনে পড়ে না? ওনার মনে নেই যে, ওনার মন্ত্রী আলিমুদ্দিন আনসারীর হত্যাকারীকে হার পরিয়েছিলেন?’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ওয়াইসি বলেন, আপনার দল থেকে একজনও মুসলিম এমপি নেই। কে তাদেরকে পিছিয়ে রেখেছে?

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড জন অধিকার মোর্চার এক রিপোর্টে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য। পার্স টুডে


আরো সংবাদ



premium cement