পাকিস্তানি সাবমেরিনে ভয় পেয়েছিল ভারত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জুন ২০১৯, ০৯:৩৭
কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মতো জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছিল দেশটির নৌবাহিনীও। যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যসহ ৬০টি যুদ্ধজাহাজকে উত্তর আরব সাগরে মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তানি পানিসীমার কাছে সক্রিয় হয় পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্র।
ভারতীয় নৌবাহিনীর সূত্রের মতে, ভারতের এই প্রস্তুতির কারণে ভারত নৌবাহিনীকেও ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করেছিলেন ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা। ভারতীয় নৌবাহিনীর সূত্রের দাবি, এই সময়ে পাকিস্তানি পানিসীমার ভিতর থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সে দেশের নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ পিএনএস-সাদ। এক নৌসেনা কর্মকর্তার কথায়, ‘‘অগুস্তা শ্রেণির ওই ডুবোজাহাজে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই অন্য ডুবোজাহাজের তুলনায় অনেক বেশি সময় পানির নিচে থাকতে পারে সাদ।’’
ভারতের নৌবাহিনীর গোয়েন্দারা জানান, করাচির কাছে যে এলাকা থেকে সাড উধাও হয়েছে সেখান থেকে সেটি তিন দিনে গুজরাত উপকূলে পৌঁছতে পারে। পাঁচ দিনের মধ্যে পৌঁছতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়েস্টার্ন ফ্লিটের সদর দফতর মুম্বইয়ে। ফলে ভয় পেয়ে যায় ভারতীয় নৌবাহিনী। এ কারণে ওই সময়সীমার মধ্যে পিএনএস-সাদ যে সব এলাকায় গিয়ে থাকতে পারে সেখানে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী।
ভারতের নৌবাহিনীর কর্তারা জানাচ্ছেন, গুজরাত, মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্যের উপকূলে নজরদারি চালাতে শুরু করে নজরদারি বিমান পি-৮আই। ভারতীয় ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্রও তল্লাশিতে সামিল হয়। ২১ দিন পরে পাকিস্তানের পশ্চিম দিকে খোঁজ মেলে পিএনএস-সাডের। নৌসেনা কর্তাদের মতে, বালাকোট অভিযানের পরে পরিস্থিতি তেমন কঠিন হয়ে দাঁড়ালে ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজটিকে ওই এলাকায় লুকিয়ে রেখেছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা