১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শেষ চমক দেখালেন মোদি!

শেষ চমক দেখালেন মোদি! - সংগৃহীত

ভারতীয় পার্লামেন্ট তথা লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার প্রচার শেষ হওয়ার এক দিন পর শনিবার কেদারনাথে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও শেষ দফার নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মন্দির দর্শনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেদারনাথ সফরে কমিশন সম্মতি জানিয়েছে। এদিন সকালেই নরেন্দ্র মোদি জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সেখানে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন ছিল। এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্য কেদারনাথ মন্দির দর্শনে গেলেন মোদি। জানা গেছে, রোববার তিনি বদ্রীনাথ দর্শনে যাবেন। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর কিছুদিন আগেই দু’টি মন্দির খোলা হয়। এদিন মোদির কেদারনাথ সফরের একটি ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করেছে বিজেপি। সেখানে মোদিকে গেরুয়া বসন পরে ধ্যান করতে দেখা গেছে। আরো একটি ছবিতে হাতজোড় করে মোদিকে প্রণাম করতেও দেখা গিয়েছে। এছাড়া মোদির মাথায় ছিল হিমাচল স্টাইল টুপি।

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ এবং হিমাচল প্রদেশের ভোটারদের বার্তা দিতেই মোদি ‘জোব্বা’ স্টাইলের গেরুয়া বসন এবং হিমাচল স্টাইল টুপি মাথায় দিয়েছিলেন। কারণ ‘জোব্বা’ স্টাইলের পোশাক পরতেন বাঙালি নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর গেরুয়া বসন মনীষী স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করায়। কাজেই মোদির গেরুয়া বসন ছিল পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের উদ্দেশে। আর হিমাচল স্টাইল টুপি স্বভাবতই হিমাচলের প্রতীক। কাজেই সেই টুপি মোদি হিমাচল প্রদেশের ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার জন্যই পরেছিলেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে।

কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেয়ার পর মোদি শঙ্করাচার্য সমাধিস্থলের উন্নয়নমূলক কাজ খতিয়ে দেখেন। এছাড়াও কেদারপুরি নিরাপত্তা দেওয়াল এবং তীর্থ পুরোহিত আবাস প্রকল্পও খতিয়ে দেখেন। এর পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের জন্য গৌরীকুণ্ড এবং কেদারনাথের সফরের ক্ষেত্রে পরিষেবা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ভৈরো মন্দিরে পৌঁছনোর রাস্তা সংস্কার এবং নির্মাণের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদি।

এদিন সকালে হেলিকপ্টার থেকে নেমে মোদি কেদারনাথ মন্দিরে যান। সেই রাস্তায় মোদিকে দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে দেখে মোদি তাদের উদ্দেশে হাত নাড়ান। এরপর তিনি মন্দিরে পৌঁছন। সেখানেও তাকে দেখতে আগে থেকেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। মোদিকে দেখে ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগানে তারা স্বাগত জানান। মন্দিরে ঢুকে প্রথমে রীতি মেনে মোদি গর্ভগৃহ প্রদক্ষিণ করেন। তারপর গেরুয়া বসন পরে ধ্যান করেন। মোদির এই মন্দির দর্শন ঘিরে অনেকেই সমালোচনা করে। সমালোচকদের একাংশের মতে, শেষদফার নির্বাচনের আগে হিন্দুত্বের ধুয়ো তুলতেই মোদির এই মন্দির সফর। সেখানে গিয়ে গেরুয়া বসন পরে ধ্যান করা মেরুকরণের রাজনীতিকেই সামনে আনছে। কারণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম এখনও জারি রয়েছে। তার মধ্যেই মোদিকে মন্দির সফরের জন্য কমিশন অনুমতি দিল। যদিও তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছে যে এখনও নির্বাচনী বিধি জারি রয়েছে। কমিশনের এই সম্মতিকে কিন্তু অনেকে তাদের পক্ষপাতিত্ব বলেও অভিযোগ তুলেছে।
সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement