২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সুচিত্রা সেনের শেষ ইচ্ছা জানিয়ে ভোট ভিক্ষা মমতার

- ছবি : সংগৃহীত

তাকে ঘিরে সিনেমা প্রেমী বাঙালির আবেগ চিরন্তন। এই পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নেওয়ার পরও তার মায়াবী সম্মোহনে আজও বাঙালি মোহিত। তবে জীবদ্দশায় রাজনীতির আঙিনা পা না রাখলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি রয়েছেন ভীষণভাবেই। কখনও রাজনৈতিক দলের পোস্টারে ধরা পড়েছে তার সেই মায়াবী হাসি মুখ।

কখনও আবার নির্বাচনী সভায় উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম। তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। উনিশের ভোটের লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এবার তিনি অন্যতম মুখ। ‘মা’য়ের নাম করে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার নির্দ্বিধায় ভোট চেয়েছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। এবার সেই একই পথে ভোট ভিক্ষা করলেন মুনমুনের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রানিগঞ্জে মুনমুন সেনের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সুচিত্রা সেনের নাম করেই ভোট চাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আসানসোলের সভায় মমতা বলেন, ‘‘আপনারা জানেন সুচিত্রা সেনের কথা। জানেন তো, সুচিত্রাদেবী মৃত্যুর কয়েকদিন আগে মুনমুনের মাধ্যমে আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে দেখা করেননি। উনি বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর যা করার মমতা করবে। আর কেউ কিচ্ছু করবে না। ও আমার পরিবারের একজন, তোমরা ভুলে যেও না। মুনমুন আমার পরিবারেরও একজন। মুনমুন খুব ভাল প্রার্থী।’’

রানিগঞ্জের সভায় মমতা আরও বলেন, ‘‘মুনমুন খুব ভাল মেয়ে। ওর মা (সুচিত্রা সেন) বাংলা ফিল্মের এক নম্বর নায়িকা ছিলেন। খুব ভাল মেয়ে ও। শুধু ওর মা নন, ওর স্বামীও রাজপরিবারের ছেলে। মুনমুনকে অনেক ভেবেচিন্তে এখানে প্রার্থী করেছি আমরা। ও প্রথমে বাঁকুড়ায় লড়ে জিতেছিল। ওকে আপনারা ভোট দিন’’।

এরপরই আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘এখানকার একটা ছেলেকে (বাবুল সুপ্রিয়) হারাতেই হবে। খুব ঔদ্ধত্য ওর। খালি নাটক করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিল, কিন্তু কিছু কাজ করেনি। খালি গালাগাল করে, দাঙ্গা বাঁধায়। ও (মুনমুন) দাঙ্গা করবে না। আপনাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে।’’

প্রসঙ্গত, এর আগে বেশ কয়েকবার ভোটপ্রচারে গিয়ে ‘মা’য়ের নাম করেছেন মুনমুন। আসানসোলের প্রার্থী হওয়ার পর দলের এক কর্মিসভায় মুনমুন বলেছিলেন, “আমার মাকে ভালোবাসো, আমাকেও ভালাবাসো। আমার মেয়েরাও আসবে, ওরা ফিল্মস্টার হিসেবে আসবে না প্রচারে, সুচিত্রা সেনের নাম রাখার জন্য আসবে।”

এরপর আসানসোল এলাকায় একটি সভায় তিনি তৃণমূল বলেন, “আজ আমার মায়ের জন্মদিন। ঘরে না গিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি। তোমরা বলো, যে তৃণমূলকে একটা ভোট দেবে? আজকের দিনে আমাকে খুশি করে দাও। আমি তোমাদের জন্য থেকেছি। বলো, জোড়াফুলে ভোট দেবে?”

এরপরই মুনমুন বলেন, “আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য ভোট দিন, তার মেয়ে এসেছে। তার নাম রাখার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাখার জন্য ভোট দিন”।

উল্লেখ্য, এভাবে র্বাচনী প্রচারে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাম করে ভোট ভিক্ষা করায় নানা মহলে সমালোচিত হয়েছেন মুনমুন সেন। তবে, এদিন খোদ মমতাও একই পথে হেঁটে বিষয়টিকে বৈধতা দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।


আরো সংবাদ



premium cement