২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিন্দু নেতার ফাঁসির জন্য ভোট দিলো আফরাজুলের পরিবার

আফরাজুলের মেয়ে হাবিবা - সংগৃহীত

“যে জেতে জিতুক, কিন্তু আমার বাবার হত্যাকারীকে যারা সমর্থন করেছিল, তারা যেন হেরে যায়।” মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফিরে এই কথাই বলছেন রাজস্থানে খুন হওয়া বাংলার ভাসমান শ্রমিক মোহাম্মদ আফরাজুলের মেয়ে রেজিনা খাতুন। তার পাশে বসে তখন চোখের পানি মুছছেন আফরাজুলের স্ত্রী গুলবাহার বিবি, বড় মেয়ে জোশানারা বিবি, ছোট মেয়ে হাবিবা খাতুন। দশম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবার অবশ্য ভোটাধিকার নেই।

মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সৈয়দপুর গ্রামে বুথের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আফরাজুলের স্ত্রী-মেয়েরা। ভোট প্রদান করার পরই বিড়ি বাঁধতে বেরিয়ে যান গুলবাহার। পরে বাড়িতে পাওয়া গেল ছোট মেয়ে হাবিবা আর মেজ মেয়ে রেজিনাকে। রেজিনার কথায়, “আমরা গরিব মানুষ। কোনো দিনই রাজনীতি করিনি। এমনও হয়েছে, ভোটের দিন বুথে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার খুব সচেতনভাবেই সকাল সকাল গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। কারণ, এই ভোটটা আমার বাবার জন্য দেয়া জরুরি। কে জিতবে, কে হারবে আমরা জানি না। কিন্তু আমার বাবার হত্যাকারীকে যারা সমর্থন করেছিল, তারা যেন কোনোভাবেই না জেতে।”

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তারিখেই রাজস্থানে খুন করা হয় আফরাজুলকে। রাজসমন্দের বাসিন্দা শম্ভুলাল রেগর আফরাজুলকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে, তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটু একটু করে আফরাজুলের পুড়ে মরার দৃশ্যটির ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ শম্ভুলালকে গ্রেফতার করলেও সে জানায়, তার কোনো অনুতাপ নেই। নিজের কাজের জন্য সে গর্বিত, এবং স্থানীয় কোনো মেয়েকে ‘লাভ জেহাদের’ কবল থেকে বাঁচানোর জন্যই এমন কাজ করেছে সে।

বিভিন্ন মহলে ধিক্কার উঠলেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন শম্ভুলালকে কার্যত নায়কের মর্যাদা দিয়েছিল। তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য তহবিলও সংগ্রহ করা হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে উত্তর প্রদেশ নবনির্মাণ সেনা নামক এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির নাম আগ্রা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করা হয়, যদিও শেষ পর্যন্ত শম্ভুলাল প্রার্থী হয়নি।

এদিন আফরাজুলের ছোট মেয়ে হাবিবা বলেন, “আমাদের সংসারটা ভেসে গেছে। মা বিড়ি বেঁধে যে ক’টা টাকা পায়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে। মেজ আপা একটা ৬,০০০ টাকার পার্ট টাইম চাকরি পেয়েছে। কিন্তু ওর-ও তো সংসার আছে।” দশম শ্রেণির পড়ুয়া হাবিবার কথায়, “আর কিচ্ছু চাই না, শুধু ওই লোকটার ফাঁসি চাই। ও ফাঁসিতে মরুক, আমরা দেখব। এই ভোটে এমন সরকার আসুক, যারা ওকে ফাঁসি দেবে।”

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ফরিদপুরে সেদিন কী ঘটেছিল : বিবিসির প্রতিবেদন ইসরাইলের কাছে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলো অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ ব্যক্তি ভর্তি

সকল