২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মসজিদ হায়দরাবাদের জিন মসজিদ

জিন মসজিদ - ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থাপনার জন্য অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত ভারতের হায়দরাবাদ। সম্প্রতি সেখানকার একটি মসজিদ আলোচনায় উঠে এসেছে। জিন মসজিদ নামের মসজিদটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ কি না তার স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চলছে।

হ্যান্স ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের কিশানবাগে একটি মসজিদ রয়েছে, যা জিন মসজিদ নামে পরিচিত। এতে যে জায়গা রয়েছে, তাতে বড়জোর ১২ জন মানুষ নামায আদায় করতে পারে। ফলে এটিই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট মসজিদ কি না তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদটি একটি পাহাড়ের ওপর হযরত সাইয়েদ শাহ ইমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ মাহমুদ আল হুসাইনির দরগায় অবস্থিত। স্থানটি মির মাহমুদের পাহাড় নামেও পরিচিত। স্থানটি খুবই সুন্দর এবং এ দরগায় সুফিবাদের নিদর্শন পাওয়া যায়।

৪০০ বছর আগে নির্মিত এ জিন মসজিদ বর্তমানে অবহেলা ও অযত্নের শিকার হয়েছে। ভারতের এ বিষয়ক সংস্থা প্রত্নতাত্তিক জরিপ সংস্থার (এএসআই) দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ মসজিদের মুতাওয়াল্লী ড. মুহাম্মদ সফিউল্লাহ জানান, এ মসজিদটির আয়তন মাত্র ১০ বর্গমিটার। এতে একটি মিম্বার ও একটি মেহরাব রয়েছে। মুয়াজ্জিন একটি বিশেষ পথ ব্যবহার করে মসজিদের উপরের অংশে ওঠে এতে আযান দেন।

ইতিহাস রক্ষায় আগ্রহী একটি দল, যারা এ মসজিদটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র মসজিদের স্বীকৃতি দিতে চাইছেন, তারা আগামী কাল বুধবার এ উপলক্ষে একটি ‘ঐতিহ্য রক্ষায় হাঁটা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। হায়দরাবাদের ইতিহাস ও সুফি সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ডা. হাসিব জাফরির নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

 

আরো পড়ুন : ‘ভারতে নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য কিনা তা আদালত কিভাবে ঠিক করে?’
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:২১


ভারতের মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেছেন, নামাজের জন্য মসজিদ প্রয়োজন কিনা তা আদালত কিভাবে ঠিক করতে পারে? গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, ‘নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়।’ ওয়াইসি সেই প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন।

ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, যদি বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হতো তাহলে ভালো হতো। কারণ, ইসলামে মসজিদ একটি জরুরি অংশ। কুরআন ও হাদীসে মসজিদের উল্লেখ আছে। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। এরআগে ‘ট্রিপল তালাক’ ইস্যুতে বিচারপতি কুরিয়েন বলেছিলেন, ট্রিপল তালাকের বিষয়টি কুরআনে নেই। দুঃখজনক বিষয় হল, যখন ট্রিপল তালাকের বিষয় সামনে এল তখন কুরআনের উল্লেখ করা হল কিন্তু যখন মসজিদের বিষয়টি সামনে এল তখন কুরআনকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে!’

ওয়াইসি বলেন, অন্য ধর্মের ধর্মস্থান কী প্রয়োজনীয় নয়? ধর্মীয় বিষয়ে আদালত কীভাবে ঠিক করতে পারে কোনটা জরুরি? এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ধর্মীয়গুরুদের রয়েছে।’

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সাপেক্ষে ইসমাইল ফারুকি মামলায় ১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সরকার মন্দির, মসজিদ, গির্জা সবই অধিগ্রহণ করতে পারে, যদি সংশ্লিষ্ট ধর্মে তার আলাদা কোনো তাৎপর্য না থাকে। মসজিদ ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়। কারণ, নামাজ যে কোনো জায়গাতেই পড়া যেতে পারে। মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর বেঞ্চ গড়ে ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর দাবি খারিজ করে দিয়ে আগেকার ওই পুরোনো রায়ই বহাল রেখেছে। তিন সদস্যের বিচারপতির সমন্বিত বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ ওই রায় দিলেও বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তিনি মনে করেন, মসজিদ নামাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কী না তা বিচারের জন্য পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা উচিত।

এ প্রসঙ্গে ‘অল ইন্ডিয়া সুন্নত অল জামাআত’-এর সাধারণ সম্পাদক, মুফতি আব্দুল মাতীন বলেন, ‘যে বিচারপতিই বলুন না কেন, তার সম্পর্কে একথা বলব যে, কুরআন শরীফ নিয়ে এবং ফেকাহ শাস্ত্র নিয়ে তিনি পড়াশোনা করুন। কারণ, নামাজের সঙ্গে মসজিদের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। জুমার নামাজ মসজিদ ছাড়া কখনো হয় না।’

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম বলেন, ‘ওই রায়ে কোথাও মসজিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়নি। আমরা প্লাটফর্মে নামাজ পড়তে পারি, স্টেশনে নামাজ পড়তে পারি, প্রয়োজনে সড়কের ওপরেও নামাজ পড়তে পারি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে এগুলোর বৈধতা পাওয়া গেল যে আমরা মসজিদ ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় নামাজ পড়তে পারি।’

এ প্রসঙ্গে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘কেবলমাত্র নামাজ পড়া নয়, নামায প্রতিষ্ঠা করা ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। প্রত্যেক মুসলিমের অপরিহার্য কর্তব্য হল, ‘নামাজ কায়েম’ করা, নামাজের জামাত প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্যই মসজিদ মুসলিম সমাজের অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান।

মসজিদ ছাড়া দিনে পাঁচবার নামাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং অপরিহার্যভাবে শুক্রবারের জুমার নামাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধানে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বাধীনভাবে ধর্মপালনের অধিকার দেয়া হয়েছে। সুতরাং, সুপ্রিম কোর্ট নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয় বলে যে মন্তব্য করেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক!

‘মসজিদে নামাজ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ওই মন্তব্য কাম্য নয় এবং সংবিধানের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলেও মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মন্তব্য করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল