১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ওই পাইলটকে ছেড়ে না দিলে পাকিস্তানকে যা করতেন মোদি

অভিনন্দন বর্তমান ও নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত

ভারতে চলছে নির্বাচনের মৌসুম। সব দলের নেতাকর্মীই এখন তুমুল ব্যস্ত। ময়দানে কথার ফুলঝুরি ওড়াচ্ছেন নেতারা। কখনো নিজেকে দেশের জন্য নিবেদিত প্রমাণ করছেন, কখনো প্রমাণ করছেন বিরোধী পক্ষগুলো কতটা খারাপ। প্রত্যেকেই প্রমাণ করতে চাইছেন দেশের ভালো অংশটুকুতে তাদের অবদান কতটুকু। আর পাশাপাশি পাকিস্তান প্রসঙ্গ তো আছেই। এসব কথা বলতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া লাগামও ছিড়ে ফেলছেন অনেকে। এ তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রয়েছেন ওপরের দিকে।

ভারতের নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছেন, পাকিস্তানে আটক ও পরে মুক্তি পাওয়া অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে ভোটের ময়দানে কিছু বলা যাবে না। কিন্তু গতকাল গুজরাটের পাটানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিনন্দনকে না-ছাড়লে যে পাকিস্তানকে ফলভোগ করতে হবে, সেই কথা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে। আর সে ভয়েই পাকিস্তান পাইলটকে অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের ইমরান খান যদি তাকে ছাড়ার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে সেটি হতো পাকিস্তানের জন্য ‘কতলের (হত্যাকা-ের) রাত’।

পরমাণু অস্ত্র নিয়েও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন মোদি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের হুমকিতে ভয় পাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। আগে তারা প্রতিদিন পরমাণু বোতামের কথা বলত। আমাদের কাছে তবে কী আছে? আমরা কি তা দীপাবলির জন্য বাঁচিয়ে রেখেছি?”

শ্রীলঙ্কায় হামলাকেও ভোট চাওয়ার যুক্তিতে ব্যবহার করেন মোদি। বলেন, আমাদের বন্ধু পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসবাদীরা অনেক ‘বোম-ধামাকা’ করেছে। গির্জায়, হোটেলে। আজ পুরো বিশ্ব ইস্টারের পবিত্র পর্ব পালন করছে, প্রভু যিশুর শান্তির বার্তা আত্মস্থ করতে পূজাপাঠ করছে, সেই সময় নরাধম সন্ত্রাসবাদীরা শত শত নির্দোষের উপরে রক্তের খেলা খেলল।

এর পরে তিনি বলেন, ভাই ও বোনেরা, আপনারা যখন পদ্মচিহ্নে ভোট দেবেন, মনে রাখবেন, এ সন্ত্রাসবাদ খতম করার জন্য বোতাম টিপছেন আপনারা। আপনার আঙুলে শক্তি আছে। আপনি পদ্মে ভোট দেবেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমার লড়াইয়ে শক্তি আসবে। বলুন, এই সন্ত্রাসবাদ কে খতম করতে পারে? মোদি ছাড়া আর কোনো নাম দেখছেন আপনারা? আর কেউ করতে পারে? ফলে যখন ভোট দেবেন, বীর সৈনিকের মতো সচেতন থাকা উচিত। দেশের জন্য ভোট দিলে সেই ভোট মোদীর কাছে যাবে।

 

আরো পড়ুন : বাড়ি ফেরার আগে অনেক পরীক্ষার মুখে অভিনন্দন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০১ মার্চ ২০১৯, ১৯:০৩

পাকিস্তানে বিধ্বস্ত মিগ-২১ বিমানের পাইলট অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফিরেছেন। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আরো হাজারো মানুষ। কিন্তু এখনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না এ পাইলট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিনন্দন অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু যেহেতু শত্রুদেশের হেফাজত থেকে তিনি ফিরছেন, সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই অনেক ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাকে।

এ ব্যাপারে কেউ স্পষ্টভাবে না বললেও জানা গেছে, ওয়াগা সীমান্ত থেকে সরাসরি বাড়ি যেতে পারবেন না অভিনন্দন। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে। প্রথমেই তার শারীরিক ফিটনেস দেখা হবে।

এছাড়া তার শরীরের কোথাও কোনো চিপ বসানো হয়েছে কি না তা-ও দেখা হবে। কারণ বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ধারণা করা হয়, বন্দিদের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, পরে আড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় শত্রুপক্ষ। অভিনন্দনের শরীরেও সেরকম কোনো চিপ বসানো হয়েছে কি না, তা স্ক্যান কেরে দেখা হবে। মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে। বন্দি থাকা অবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য পেতে তাকে কোনো অত্যাচার করা হয়েছে কি না তাও জানার চেষ্টা করা হবে। পাকিস্তানে কোনও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না দেখা হবে তা-ও।

সাধারণভাবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে তদন্ত করতে আনা হয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) ও রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) কর্মকর্তাদেরও। তবে পাইলটদের তাদের হাতে তুলে দেয় না বিমানবাহিনী। তাই অভিনন্দনের ক্ষেত্রে তা না-ও হতে পারে।

পাকিস্তানে পা রাখা থেকে ওয়াগা সীমান্ত পার হওয়া অর্থাৎ পাকিস্তানের মাটিতে থাকা প্রতিটি মুহূর্তের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে অভিনন্দনকে।

শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোনও গোপন রফা হয়েছে কি না পাকিস্তানের, তথ্য পাচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন কি না অভিনন্দন, দফায় দফায় জেরা করে তাও নিশ্চিত করবেন গোয়েন্দারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, এসব জিজ্ঞাসাবাদ ও ডাক্তারি পরীক্ষায় নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রমাণ না করতে পারলে আর কোনোদিনই হয়তো যুদ্ধবিমানে সওয়ার হতে পারবেন না অভিনন্দন। সে ক্ষেত্রে ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেয়া হতে পারে তাকে। তবে এক্ষেত্রে তার সঙ্গে কোনোরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না।

কাশ্মিরের পুলওলামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার পর ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত বুধবার পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেনাঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে দেশে ফিরে যায়। পাকিস্তানের এ পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে আবারো প্রতিবেশী দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশ করে ভারত। পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী এ সময় গুলি করে তাদের দুটি বিমান ভূপাতিত করে এবং এর পাইলট অভিনন্দনকে গ্রেফতার করে।


আরো সংবাদ



premium cement
সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার

সকল