২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতে নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মোদী শাড়ি’ আর ‘মমতা শাড়ি’!

ভারতে নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মোদী শাড়ি’ আর ‘মমতা শাড়ি’! - সংগৃহীত

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের মৌসুমে বাজারে এসেছে ভোটের শাড়ি। বাম-বিজেপি থেকে কংগ্রেস-তৃণমূল, বিভিন্ন দলের প্রতীক সম্বলিত শাড়ি বিক্রি হচ্ছে কলকাতার নিউ মার্কেটে। শাড়িতে রয়েছে মোদী-মমতা-রাহুলের ছবিও।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন শুধুই দিল্লির ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়, ভারতবাসীর অন্যতম উৎসবও বটে। সেই উৎসব ঘিরে যেন মেতে উঠেছে মানুষ। তার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। বাদ যাচ্ছে না পোশাকও।

বাজারে এসে গিয়েছে নতুন ডিজাইনের শাড়ি। তাতে থাকছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক! শাড়িতে শোভা পাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হাসিমুখের ছবি। কলকাতার নিউ মার্কেটের দোকানে এমনই ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। দোকানের বাইরে কাঁচের শোকেসে থরে থরে সাজানো রয়েছে ভোটের এসব শাড়ি।

প্রতিটি শাড়িই সুন্দরভাবে ডিজাইন করা। বিজেপির পদ্ম, কংগ্রেসের হাত ও তৃণমূলের ঘাসফুল প্রতীকও দেখা যাচ্ছে শাড়িতে। কোথাও বড় মাপের প্রতীক, কোথাও ছোট ছোট অসংখ্য প্রতীকে আঁচল ভরে দেয়া হয়েছে। কমিউনিস্টদের কাস্তে-হাতুড়িও বাদ নেই। বামপন্থী শিবিরে সেই অর্থে কোনো সর্বময় নেতা-নেত্রী নেই, তাই তাদের শাড়ি সেজে উঠেছে শুধু প্রতীকে। প্রতি শাড়িতে নির্দিষ্ট দলের রং'কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের ক্ষেত্রে যা সবুজ, বিজেপির ক্ষেত্রে গেরুয়া, বামেদের বেলায় আবার লাল।

নবীন ইসরানির শাড়ি বিপণী নিউ মার্কেটে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তার দোকানে শাড়ি কিনতে এসে মহিলারা বিস্মিত হচ্ছেন ভোটের শাড়ি দেখে। এটা কি বিপণনের কৌশল? এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতা নবীন বলেন,‘আমরা বিভিন্ন উৎসবে থিমের শাড়ির পসরা রাখি। দোল, দীপাবলি, পয়লা বৈশাখে সেই পার্বণের সঙ্গে মানানসই শাড়ির চাহিদা থাকে। সেভাবেই নির্বাচনের মৌসুমে ভোটের শাড়ি রেখেছি। আমার দোকান ৯ বছরের পুরনো। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময়ও এই ধরনের শাড়ি তুলেছিলাম।’

নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়, প্রিয় প্রতীকে ছাপানো শাড়ি বা টি-শার্ট পরে মিছিলে হাঁটছেন। কারও মুখে থাকে পছন্দের নেতার মুখোশ কিংবা মাথায় লাল-গেরুয়া-সবুজ টুপি। ডিজাইনার শাড়ির জন্য অবশ্য মোদী-মমতার ভক্তদের একটু বেশি টাকাই খরচ করতে হচ্ছে। একেকটি শাড়ির দাম রাখা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ১,২৩০ টাকা। তবু শাড়ির চাহিদা রয়েছে। মানুষ এসে খোঁজ করছে। ক্রেতারা হঠাৎ দেখে কিনেও নিচ্ছেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

আরো পড়ুন : ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের গোসল নিষিদ্ধ!
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (০৪ এপ্রিল ২০১৯)

চলছে এপ্রিল মাস। তীব্র গরম। আর এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রীদের গোসল করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এই ঘটনায় পড়ে গেছে হইচই। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মাইসোরের মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জানা যায়, মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপত্তিতে। ছাত্রী হলের প্রায় ৮০০ জন ছাত্রীকে গোসল করা ও জামাকাপড় কাচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হল কর্তৃপক্ষ। কারণ আবাসিক হলে পানি নেই।

গরম শুরু হতেই মাইসোরের এই এলাকায় শুরু হয়ে যায় তীব্র পানির কষ্ট। এবারও তেমনই দশা। প্রায় তিন মাস ধরেই গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পানির সমস্যা। এতদিন ধরে ট্যাঙ্কার আনিয়ে সেখান থেকে প্রাথমিক ও জরুরী প্রয়োজনের পানি সরবরাহ করা হচ্ছিল ছাত্রীদের। কিন্তু গরম ও বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় পানির সংকট।

তবে সপ্তাহের শুরু থেকেই একেবারে গোসল ও কাপড় কাচায় নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছেন ছাত্রীরা। সোমবার মাঝরাত থেকেই দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মাইসুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জি হেমন্ত কুমার জানিয়েছেন, পানি তোলার মোটর পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে গরমের জেরে এলাকার কুয়োগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে বিপত্তি বেড়েছে আরো। ঘটনার জেরে ছাত্রী হলের পরিচ্ছন্নতাও এখন প্রশ্নের মুখে।


আরো সংবাদ



premium cement