২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিয়েতে ৩০০ কোটি টাকার নেকলেস উপহার পেলেন নববধূ!

ভারত
বিয়েতে ৩০০ কোটি টাকার নেকলেস উপহার পেলেন আম্বানি দম্পতির পুত্রবধূ - ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়ে বিয়ের পর্ব শেষ হলো ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির পুত্র আকাশের। কনে শ্লোকা মেহতা। তাদের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে বিদেশ থেকেও উড়ে এসেছিলেন অনেক নামী-দামী ব্যক্তিত্ব। নানা চমকে মোড়া ছিল তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।

বিয়েতে ছিল বিদেশি রক ব্যান্ড, বলিউড তারকাদের ঢালাও উপস্থিতি এবং নাচগান। এক্সক্লুসিভ ডিজাইনার পোশাক থেকে শুরু করে দামি গয়নার ঝলকানি। আকাশ-শ্লোকার বিয়ে মনে রাখার মতো অনেক কিছুই ছিল অনুষ্ঠানে। কিন্তু এসবের মধ্যেও ছিল একটি মেগা চমক।

হাইপ্রোফাইল অতিথিরা আম্বানি পরিবারের বড় বউকে বিয়েতে কী দিলেন অতিথি এবং আত্মীয়রা? - এ প্রশ্ন অনেকেই মনেই ঘুরতে পারে। বহুমূল্য সব উপহারের মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচ্য ৩০০ কোটি টাকার একটি উপহার। না, লেখায় কোনো ভুল নেই। আপনার পড়তেও কোনো ভুল হচ্ছে না।

বড় ছেলের বউকে ৩০০ কোটি টাকার হিরের নেকলেস দিয়ে বরণ করে নিলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। এখানেই শেষ নয়। ইশা আম্বানিও কেন পিছিয়ে থাকবেন! ভাই ও ভাবিকে তিনিও উপহারে দিলেন বিলাসবহুল একটি বাংলোবাড়ি।

ভারতীয় ধনকূবের রিলায়্যান্স গ্রুপের মালিক মুকেশ অম্বানীর পুত্র আকাশ আম্বানীর সাথে শ্লোকা মেহতার বিয়ে হয়েছে গত ৯ মার্চ । মুম্বাইয়ের জিয়ো ওয়ার্ল্ড সেন্টারে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তারা।

হিরে ব্যবসায়ী রাসেল মেহতার মেয়ে শ্লোকার সাথে আকাশ আম্বানীল বিয়েতে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই থেকে টাটা গ্রুপের রতন টাটা, মাহিন্দ্রার প্রধানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এবার দেখে নেয়া যাক এই হারের দাম দিয়ে কী কী কেনা যেতে পারত? মুম্বাইয়ে টু বিএইচকে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট কেনা যেতে পারত ১২০টির বেশি। জুহু বিচের মতো অভিজাত এলাকায় ১২টি ফ্ল্যাট কেনা যেতে পারে এই টাকায়। দিল্লির অভিজাত এলাকায় থ্রি বিএইচকে থেকে পোর বিএইচকে ফ্ল্যাট কেনা যেত ১০০টির বেশি।

বিমান সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ৬০০ বার দিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতেও বিমানে যাতায়াত করা যেতে পারে এই টাকায়। এ দিকে আকাশের বোন ঈশা তার ভাইয়ের স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন একটি প্রাসাদোপম বাংলো। যেটির দামও বর্তমান বাজারে অনেক। যদিও অম্বানী পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

আরো পড়ুন :
২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে ছোট ভাইয়ের পাশে মুকেশ আম্বানি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
ভারতের ধনাঢ্য আম্বানি শিল্প পরিবারের ঋণগ্রস্ত ছোট ভাই অনিল আম্বানির পাশে দাঁড়ালেন বড় ভাই মুকেশ আম্বানি। অনিলের রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের (আরকম) একটি বড় অংশ কিনে নিচ্ছে মুকেশের রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেড।

কয়েক দিন আগে অনিলই জানিয়েছিলেন, ২৫ হাজার কোটি টাকায় তার কোম্পানির একটি অংশ বিক্রি করে দিচ্ছেন। বড় ভাইয়ের কাছে অনিল তার প্রতিষ্ঠানের সব টাওয়ার, অপটিক ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক, স্পেকট্রাম ও মিডিয়া কনভার্জেন্স নোডস বিক্রি করে দিচ্ছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে দেওয়া বক্তব্যে মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, ‘অর্থ তেমন বিশেষ কোনো ব্যাপার নয়। এটি কেবল কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকি নিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অর্থ আপনাকে অল্প মাত্রায় স্বস্তি দিতে পারে।’

৪ হাজার ৫০ কোটি ডলারের মালিক মুকেশ আম্বানি নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই আমি পকেটে কোনো অর্থ রাখি না, এখনো রাখি না। আমার কোনো ক্রেডিট কার্ড নেই। আমার আশপাশে সব সময় সহযোগীরা থাকেন। তাঁরাই বিল পরিশোধ করেন। এভাবেই আমার কাজ চলে যায়।’

ভারতের ১০০ ধনীর তালিকায় আবারও শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ ধনীর তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় নাগরিক হলেও মুকেশ আম্বানি ১৯৫৭ সালের ১৯ এপ্রিল ইয়েমেনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ধিরুভাই আম্বানি এবং মায়ের নাম কোকিলাবেন আম্বানি। তিনি তার বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। অনিল আম্বানি নামে মুকেশ আম্বানির আরও এক ভাই ও দুই বোন রয়েছে।

আম্বানি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড থেকে এমবিএ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি স্টানফোর্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। মুকেশ এবং তার পরিবার প্রথমে মুম্বাইয়ের ভুলেশ্বর এলাকায় দুই বেডরুমের আপার্টমেন্টে থাকতেন। তাদের এ বাসাকে আমেরিকানদের ভাষায় টেনামানট বলা হয়। যখন ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে রিলায়েন্স কোম্পানি বড় হয়ে উঠতে লাগল তখন আম্বানির পরিবার মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় উঠে আসে।

বিশ্বের সেরা ধনীর খেতাব অর্জন করতে না পারলেও বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানার খেতাব মুকেশ আম্বানির দখলে। আম্বানির পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়। এই ছয়জন সদস্যের জন্য বাড়ি বানানো হয়েছে ৪ লাখ বর্গফুটের। বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘এন্টিলিয়া’, যার ফ্লোর সংখ্যা ২৭। ২০০২ সালে মুকেশ আম্বানি মুম্বাই নগরীতে ৪৯ হাজার বর্গফুট জায়গা কিনে নেন। সাত বছরের নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে ১শ' কোটি ডলার।

বাড়িটির উচ্চতা ১৭৩.১২ মিটার, যা একটি সাধারন ৬০ তলা দালানের উচ্চতার সমান। প্রথম ৬ তলা নির্ধারন করা হয়েছে কার পার্কিং স্পেস হিসেবে। আমদানী করা ১৬৮টি লাক্সারী গাড়ি ব্যবহার হয় শুধুমাত্র পরিবারের প্রয়োজনে। সপ্তম তলা রাখা হয়েছে গাড়ির সার্বিক রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ওয়ার্কশপ হিসেবে। অষ্টম তলায় রয়েছে একটি বিশাল বিনোদন কেন্দ্র, এখানে নির্মান করা হয়েছে ৫০ জনের আসন ক্ষমতা নিয়ে একটি মিনি থিয়েটার। নবম তলা রিফিউজ ফ্লোর, জরুরী প্রয়োজনে উদ্ধার কাজের জন্য এটি ব্যবহার হবে। তার উপরের দুটি ফ্লোর স্বাস্থ্য কেন্দ্র। একটিতে রয়েছে সুইমিংপুল সহ খেলাধুলার সব সরঞ্জাম। অপরটিতে নির্মান করা হয়েছে আধুনিক সব উপকরন নিয়ে তৈরি সুবিশাল হেলথ জিম। তিনটি ফ্লোর জুড়ে রয়েছে নয়নাভিরাম ঝুলন্ত বাগান।

নানা জাতের গাছ ও ফুলে শোভিত হয়েছে এই সুবিশাল বাগান। দুটি ফ্লোর রাখা হয়েছে আম্বানী পরিবারের আত্মীয়-স্বজন তথা অতিথিশালা হিসেবে। বাড়ির উপরের দিকে চারটি ফ্লোর, যেখান থেকে আরব সাগর ও আকাশের মিলনরেখার অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, নির্ধারিত হয়েছে মুকেশ, তার স্ত্রী নিতা, তিন সন্তান এবং মুকেশের মা কোকিয়াবেন এর জন্য। বাড়ির শীর্ষে দু’টি ফ্লোরের মধ্যে একটি পরিবারের সার্বিক রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এবং তার পরেরটি হ্যালিপেড এর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হবে। বাড়ির শীর্ষে নির্মান করা হয়েছে তিনটি হ্যালিপেড।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল