২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে ইভিএমের ব্যাপারে নির্বাচনের কমিশনের বক্তব্য চাইলেন সুপ্রিম কোর্ট

- ছবি : সংগৃহীত

ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন দেশে যুক্ত হচ্ছে ইভিএম। কিন্তু ইলেকট্রনিক বস্তু হওয়ায় এতে কারচুপির অভিযোগ থেকে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হলেও স্বচ্ছতার প্রশ্নে উৎরে যেতে পারেনি। এবার ভারতেও ওঠেছে সে প্রশ্ন। তাতে যুক্ত হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে ২১টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এর জবাব চেয়ে পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে সে ব্যাপারে কমিশনকে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে।

অভিযোগকারী দলগুলোর মূল আপত্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা সম্পর্কে। অনেক দলই মনে করে, ইভিএমে জনমতের প্রতিফলন সঠিক হয় না। তাতে কারচুপি করার সুযোগ থাকে। এর পাশাপাশি ইভিএমের অন্তত ৫০ শতাংশ মেশিনের ভিভিপ্যাট গোনার দাবি করছে বিরোধী দলগুলো।

তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন মনে করে, ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল রাওয়াত বিরোধীদের দাবি মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে।

উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির বিরাট ব্যবধানে জয়ের পর থেকে একাধিকবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই নির্বাচনে ভরাডুবির পর উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর দিল্লিতে পৌরসভা নির্বাচনের পর ইভিএমকে কাঠগড়ায় তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

গত জানুয়ারি মাসে কলকাতার বিগ্রেড ময়দানে সভা করে বিরোধী দলগুলো। তৃণমূলের আহ্বানে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বিরোধীদলগুলোর নেতৃবৃন্দ। সেখানে কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহও সেই একই অভিযোগ করেন।

এদিকে বিরোধী দলগুলো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন এর আগেই এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। কমিশন বলেছিল, কেউ ইভিএম হ্যাক করে দেখাতে পাললে কমিশন সেই বক্তব্য মেনে নেবে।

 

আরো পড়ুন : ভারতে লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল শুরু, ফল ২৩ মে
এনডিটিভি, ১১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। শেষ হবে ১৯ মে। মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোট গণনা হবে আগামী ২৩ মে। গতকাল দিল্লিতে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

প্রথম দফার ভোট শুরু হবে ১১ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১৮ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ২৩ এপ্রিল। চতুর্থ দফা ২৯ এপ্রিল, পঞ্চম দফা ৬ মে, ষষ্ঠ দফা ১২ মে এবং সপ্তম দফা ১৯ মে। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে। ভারতের চলতি ষোড়শ লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ জুন। বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের ৩ জুন। সারা দেশে লোকসভা নির্বাচনের সাথে বিধানসভা নির্বাচন হবে অন্ধপ্রদেশ, ওড়িষা, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ এই চারটি রাজ্যেও।

সুনীল অরোরা বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে কমিশন বদ্ধপরিকর। ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভারতের সব রাজ্যের নির্বাচনী কর্মকর্তা, মুখ্যসচিব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথেও। কেন্দ্র ও রাজ্যের শুল্ক দফতরের সাথে আলোচনা হয়েছে। আবহাওয়া ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবসহ সব কিছু মাথায় রেখে নির্বাচনী সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে।’

ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৯০ কোটি ভোটার। যার মধ্যে নতুন ভোটার দেড় কোটি।


আরো সংবাদ



premium cement