২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পাকিস্তানি শিল্পীদের বাদ দিলে ভারত ছাড়বেন শাহরুখ!

শাহরুখ খান - ছবি : সংগৃহীত

যদি ভারতে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বয়কট করা হয় তাহলে আমি ভারত ছেড়ে চলে যাবো। ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের নামে এই বার্তাটি ভাইরাল হয়েছে। ‘নমো ভক্তি’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে এ মেসেজটি ছাড়া হয়।

মেসেজটি ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির ফেসবুক পেজ বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতেও শেয়ার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি টুইটারে বার্তাটি ঘুরছে।

তবে কোনো স্বীকৃতি গণমাধ্যমে শাহরুখ খানের পক্ষ থেকে এমন কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। কোনো ক্ষেত্রেই এমন খবর বের হয়নি, যাতে শাহরুখ এমনটা বলেছেন। অথচ ওই মেসেজে বলা হয়, স্পষ্টভাষায় শাহরুখ বলেছেন, যদি ভারত পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করে তাহলে আমি দেশ ত্যাগ করব।

বাস্তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই আত্মঘাতী হামলার ব্যাপারে শাহরুখ নিন্দা জানান এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ওই ঘটনার জেরেই ১৮ ফেব্রুয়ারি অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন এক ঘোষণায় জানায়, ভারতের চলচ্চিত্রে কাজ করা পাকিস্তানি সব অভিনেতা-অভিনেত্রীর ওপর এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে।

পুলওলামা হামলার পর শাহরুখ খানের ব্যাপারে শুধু এই মেসেজই নয়, বরং আরো কিছু মিথ্যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এরকম একটি খবরে বলা হয়েছে, শাহরুখ খান পাকিস্তানে ৪৫ কোটি রুপি দান করেছেন, অথচ ভারতের নিহত এসব জওয়ানদের ব্যাপারে তিনি কিছুই করেননি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) দু’টি গাড়ি লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় ওই বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য নিহত হয়।

জয়েশ-এ-মোহাম্মদ নামে একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, স্থানীয় তরুণের মাধ্যমে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হওয়ার পর সিআরপিএফ সদস্যদের বহনকারী বাসটি লোহার জঞ্জালে পরিণত হয়।

ওই দিন দু’টি গাড়িতে করে রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জম্মু থেকে কাশ্মির যাওয়ার পথে পুলওয়ামা জেলায় হামলার মুখে পড়ে। দু’টি গাড়ির মধ্যে একটি বাসে ৫৪ জন জওয়ান ছিলেন। ওই বাসে বিস্ফোরণ ঘটানো হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কের লেথপোরা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাশ্মির পুলিশ জানায়, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলেও জানিয়েছে কাশ্মির পুলিশ। আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে পুলওয়ামা জেলার কাকাপোরা এলাকার বাসিন্দা আদিল আহমাদকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় পুলিশ।

এর পরে অবশ্য অভিযান চালিয়ে এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী কামরানকে হত্যার দাবি করে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ওই সময়ে পাল্টা গোলাগুলিতে এক মেজরসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement