২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাতিরাজই রক্ষা করলো শিশুটিকে

- সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার জঙ্গলের ভেতরের মন্দিরে পুজো দিয়ে লাটাগুড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন নিতু ঘোষ পরিবার। আচমকা হাতির দলের সামনে তাদের স্কুটার থেকে ছিটকে পড়ে যায় চার বছরের কন্যা। সকলকে তাজ্জব করে দিয়ে এক হাতিই দলের অন্যান্যদের কাছ থেকে শিশুটিকে রক্ষা করে আড়াল করে রাখে। ভারতের গরুমারা অরণ্যের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনাটি ঘটে।

ভারতের এই জাতীয় সড়ক জঙ্গলটিকে দুভাগে ভাগ করে। পুজো দিয়ে স্কুটারে করেই বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী নিতু ঘোষ, তার স্ত্রী তিতলি ও মেয়ে অহনা। হঠাত তারা দেখেন একদল হাতি রাস্তা পার হচ্ছে। তারা থেমে যান, হাতির দল পেরিয়ে গেলে রাস্তা পার হতে যান।

তারা বুঝতে পারেননি আরেকটি দল রয়েছে হাতির। নিতু ঘোষ স্কুটার নিয়ে রওনা দিতে না দিতেই ওই হাতির দলটিও রাস্তায় এসে পড়ে, স্কুটারটি পড়ে হাতির দলের মাঝে। আকস্মিক ব্রেক কষায় ছিটকে পড়েন তিনজনই। এরপরেই হাতির পাল থেকে বেরিয়ে আসে এক সদস্য, চার বছরের অহনা যেখানে পড়েছিল সেখানেই দুই পা দিয়ে আড়াল করে দাঁড়ায়। দলের অন্যান্য সদস্যরা পেরিয়ে যায় নির্বিঘ্নে।

এর আগে বেশ কয়েকটি ঘটনায় হাতিদের আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছেন বহু পর্যটক। ঘোষ পরিবার যে সমস্যায় পড়েছে তা বুঝেই এই ট্রাক চালকও তার গাড়ি থামিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। হাতির দলটিকে তাড়া দিতে জোরে জোরে হর্ণ বাজাতে থাকেন তিনি। নিজ গতিতে পেরিয়ে যায় হাতির দল, মেয়ে অহনাকে কোলে তুলে নেন তিতিলি। ট্রাকচালক এই পরিবারকে লাটাগুড়ি পৌঁছে দেন। নিতু ঘোষ ও তার স্ত্রী আহত হওয়ায় জলপাইগুড়ি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। মেয়ে অহনার তেমন আঘাত না থাকলেও এই ঘটনায় বেশ ভয় পেয়েছে সে।

গরুমারা দক্ষিণের রেঞ্জার, অয়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘কখনও কখনও বনের এক অংশ থেকে অন্য দিকে যাওয়ার সময় হাতিরা হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকে। যদি সময়মতো জানানো হয়, তাহলে বন বিভাগের কর্মীরা হাতিদের ভয় পাইয়ে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পটকা ফাটান।”


আরো সংবাদ



premium cement

সকল