২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রবল চাপে চুপসে গেল ভারত!

নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান - সংগৃহীত

ঠিক এক সপ্তাহ আগেই সেনাদের রক্ত টগবগ করে ফোটার কথা বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, পুলওয়ামা কাণ্ডের জন্য ‘বড় দাম’ চুকাতে হবে।

কিন্তু সাত দিনের মধ্যেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে থমকে যাওয়া সামগ্রিক আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার কথা লেখা হলো ভারত-সৌদি আরব যৌথ বিবৃতিতে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, মুখে যাই বলা হোক, প্রকৃতপক্ষে ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাব থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে মোদি সরকার। আমেরিকা এবং চীনের চাপে (যদিও দু’টি রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য পৃথক) এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ায় বড় রকমের কোনো সামরিক পদক্ষেপ করা সম্ভব নয় ভারতের পক্ষে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

তবে কূটনৈতিক ভাবে পাকিস্তানকে চাপে রাখাটা মোদির ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। সে কারণেই পুরনো অস্ত্র, অর্থাৎ পাকিস্তানকে পানি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি ফের আরো এক বার (উরি হামলার পরেও বলেছিল ভারত) দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি হুমকির স্বরে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারত থেকে পাকিস্তানে বয়ে যাওয়া পানির আমাদের যা ভাগ রয়েছে, তা বন্ধ করে দেয়া হবে। ওই পানি আমরা আমাদের জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের দেব।’’

বিষয়টি যথেষ্ট বিতর্কিত। সিন্ধু পানিচুক্তি অগ্রাহ্য করে অববাহিকার উপরের দিকে থাকা ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানকে পানি দেয়া বন্ধ করে দেয়, তবে তার পরিণাম হবে যুদ্ধেরই মতো। এর পর চীন ভারতকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বন্ধ করে দিলে ভারতের অভিযোগ করার মুখ থাকবে না। তা ছাড়া, এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে নীরবতাই বজায় রাখা হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, বিভিন্ন মাধ্যমে আমেরিকা গত সাত দিনে ভারতকে জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারত-পাক ফ্রন্টে কোনো রকম বাড়তি সামরিক উত্তেজনা যেন না হয়। কারণ আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে তাদের তথাকথিত শান্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে। কাবুল থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়ার এই সময়ে ইসলামাবাদকে প্রয়োজন ওয়াশিংটনের। এখন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আমেরিকার গোটা প্রস্তুতিটাই ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া, গোড়া থেকেই পাকিস্তান, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং মাসুদ আজহারের পাশে থেকেছে বেইজিং। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ হলে চীন কোন পক্ষ নেবে, তা নিয়ে জল্পনার জায়গা নেই। পাশাপাশি, যুদ্ধের আন্তর্জাতিক দায়ভার ঘাড়ে চাপবে নয়াদিল্লির। সব মিলিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ারই আশঙ্কা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল