২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতের সেনা সদস্যকে বেধড়ক পিটুনি পুলিশের

ভারতের সেনা সদস্যকে বেধড়ক পিটুনি পুলিশের
ভারতের সেনা সদস্যকে বেধড়ক পিটুনি পুলিশের - ছবি : সংগৃহীত

ভারত শাসিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় হামলায় কাতর গোটা ভারত। বিভিন্ন জায়গায় নিহত জওয়ানদের উদ্দেশে মোমবাতি মিছিল ও স্মরণসভাও হচ্ছে। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র থেকে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। সেখানে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হলেন এক আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্য।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন মহারাষ্ট্রের বারামতির সিআরপিএফ সদস্য অশোক ইংওয়ালে।

ওই স্মরণসভায় স্থানীয় থানার পুলিশকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নিজের এক ভাই ও এক বন্ধুকে নিয়ে যান তিনি। বাইকে করে যাওয়ার সময়ে রাস্তা আটকান কয়েক জন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, বাইকে তিনজন কেন রয়েছেন। এই নিয়ে ওই পুলিশকর্মীরা তর্ক শুরু করেন অশোকের সঙ্গে।

অশোকের অভিযোগ, পরিচয়পত্র দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধর করার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই জওয়ানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। গোটা থানাই সিসিটিভিতে মোড়া রয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে সিসিটিভি ফুটেজে তা থাকার কথা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্র : এবলা.ইন

আরো দেখুন : কাশ্মিরে আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
নয়া দিগন্ত অনলাইন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৬

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪-এ পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪১ জন।

এর আগে কাশ্মিরে উরির সেনাঘাঁটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৯ জন সেনার মৃত্যুর পরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভোটের রাজনীতিতেও বিষয়টির অনেক প্রচার করে বিজেপি পক্ষ।

কিন্তু বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের শেষ মুহূর্তে এসে কাশ্মিরে আরও বড় মাপের হামলার শিকার হয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ে গাড়িবোমা হামলায় হতাহতের সংখ্যা ৮৫তে গিয়ে ঠেকেছে।

জম্মু-কাশ্মির পুলিশের ডিএসপি অমিত কুমার জানান, বৃহস্পতিবার ৭৮টি গাড়ির সিআরপি কনভয় জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। বাস, ট্রাক ও এসইউভি মিলিয়ে ২৫৪৭ জন সদস্য ছিলেন তাতে। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে অন্তত ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ঠাসা একটি স্করপিয়ো কনভয়ের দু’টি বাসে ধাক্কা মারে। প্রবল বিস্ফোরণের পরে একটি বাসে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পরে সিআরপি সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ও গুলি চালায় জঙ্গিরা।

জম্মু-কাশ্মির পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, তুষারপাতের কারণে গত তিন দিন ধরে বন্ধ ছিল জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ফলে যেখানে সাধারণত একটি কনভয়ে ১ হাজার জওয়ান যাওয়ার কথা, সেখানে এই কনভয়ে ২৫৪৭ জন জওয়ান ছিলেন।



একটি গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, কাশ্মিরে আইইডি বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি সতর্ক করা হয়েছিল সিআরপিএফকে। কিন্তু বাহিনী তাতে গুরুত্ব দেয়নি। হামলার পর এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার কাশ্মিরে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। উরির হামলাতেও তারাই জড়িত ছিল। জয়েশের মুখপাত্র মুহাম্মদ হাসান দাবি করেন, আদিল আহমেদ ওরফে ওয়াক্কাস নামে তাদের এক আত্মঘাতি সদস্য এ হামলা চালিয়েছে।

হামলার কয়েক মিনিট আগে তোলা ওয়াক্কাসের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে জয়েশের কয়েকটি হামলার কথা ফলাও করে বলে ওয়াক্কাস জানিয়েছে, এ ভিডিও যখন সকলে দেখবেন, তখন আমি বেহেশ্তে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার বাসিন্দা ওয়াকাস গত বছর জয়েশ-ই-মোহাম্মদে যোগ দিয়েছিল।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করে, পাকিস্তান সরকার তাদের মাটি থেকে জয়েশ-ই-মোহাম্মদকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছে।

এর জবাবে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলওয়ামার এ হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ঘটনাটিকে ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ বলে অভিহিত করে পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সব সময়েই কাশ্মির উপত্যকায় সব ধরনের হিংসার নিন্দা করে আসছে।

একই সঙ্গে পাকিস্তান বলেছে, ‘কোনো তদন্ত ছাড়াই ভারত সরকার এবং ভারতের সংবাদমাধ্যম যেভাবে পুলওয়ামার ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে, আমরা দৃঢ়ভাবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করছি।’

সূত্র : আল জাজিরা, গার্ডিয়ান


আরো সংবাদ



premium cement