২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যে কারণে সুপার ওমেন উপাধি পেলেন এই নারী

- ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের অর্ধেকের কম নারী সন্তান জন্মদানের সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীর সহায়তা পেয়ে থাকেন। বিশেষ করে প্রত্যন্ত পার্বত্য এলাকাগুলোকে গর্ভবতী নারীদের সন্তান জন্ম দিতে হয় কার্যত কারো সহায়তা ছাড়াই। শেরবানু তার অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন এটি কত কঠিন একটি কাজ। আর সে কারণেই তিনি ভাবলেন এ শূন্যতা তিনি পূরণ করবেন এবং এটিই তাকে পরিণত করল ওই অঞ্চলের প্রথম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীতে।

‘আমি আসলে কখনো গুনে দেখিনি; কিন্তু এটি নিশ্চিত কমপক্ষে এক শ’ শিশুর জন্ম হয়েছে আমার হাত ধরেই’।

তিনি জানান, সন্তান জন্মদানের সহায়তার বিনিময়ে তিনি অর্থকড়ি নেন না। ‘কেউ খুশি হয়ে চা খেতে দেয় আবার কেউ বা হাতে এক শ’ রুপি দেয়। এ এলাকার মানুষ গরিব এবং তাদের অনেকেরই কাজ নেই।’ এভাবেই নিজের কাজ নিয়ে আনন্দের কথা বর্ণনা করছিলেন শেরবানু।

‘যখন আমার নিজের প্রথম সন্তান হয়েছিল তখন পুরো গ্রামে কোনো ধাত্রী ছিল না। দু-তিন দিন আমি কষ্ট করেছি সন্তান জন্মের সময় কারো সহায়তা ছাড়াই। তখনই কষ্টটা আমি অনুভব করেছি। আর সে কারণেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এটিই ভালো করে শিখব।
শেরবানু বলেন, তাদের পার্বত্য এলাকায় কোনো ধরনের সুযোগ- সুবিধাই নেই। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে কোনো গাড়িও পাওয়া যায়না। কিন্তু দিনে বা রাতে যখনই হোক, আমাকে কেউ ডাকলেই আমি চলে যাই।

স্থানীয় নারীদের কাছে শেরবানু এখন রীতিমতো সুপারওম্যান, যিনি নারীদের সহায়তার জন্য নিজেই মিডওয়াইফ সামগ্রী কিনেছেন এবং তার আছে নিজস্ব প্রেশার মাপার যন্ত্র।

গ্রামের গর্ভবতী নারীদের খোঁজ থাকে তার কাছে এবং নিজেই ঘুরে ঘুরে খবর নেন, প্রেশার মাপেন। দেখেন সব ঠিক আছে কি না। শেরবানুকে দেখে গ্রামের আরো কয়েকজন নারী ধাত্রীবিদ্যায় উৎসাহী হয়েছেন। ‘তারপরেও এটি যথেষ্ট নয়। আমাদের দরকার আরো বেশিসংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী। কারণ এই এলাকাটি অনেক বড়।

শেরবানুর আশা একদিন তার এলাকার সব মেয়েরাই প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্যসেবা পাবে। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement