২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমিরাতের যুবরাজ ও এক পলাতক রাজকুমারীর গল্প : নেপথ্যে ভারতের কূটচাল!

আমিরাতের যুবরাজ ও এক পলাতক রাজকুমারীর গল্প : নেপথ্যে ভারতের কূটচাল! - ছবি : সংগ্রহ

ভারতের ২০১৩ সালের হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারি অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তির ‘মিডলম্যান’ ক্রিস্টিয়ান জেমস মিচেল সম্প্রতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাকে দুবাই থেকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া ভারতের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। রিপোর্ট অনুযায়ী, মিচেল ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় প্রাথমিকভাবে প্রত্যর্পণ নিয়ে বিরূপ রায় দিয়েছিল দুবাইয়ের এক আদালত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে মিচেলকে ভারতে আনা সম্ভব নয়। নেপথ্যে রয়েছে এক পলাতক রাজকুমারী ও এক যুবরাজের কাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে এরকমই একটি রিপোর্ট সামনে চলে এসেছে। ভারতের একটি পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রথম কাহিনী দুবাইয়ের পলাতক রাজকুমারী লতিফার। তিনি দুবাইয়ের শাসক তথা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকুমের কন্যা।

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বক্তব্য, ভারতের সহযোগিতায় এই পলাতক রাজকুমারীর খোঁজ মিলেছিল। মিচেলের প্রত্যর্পণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রাজকুমারী লতিফা চলতি বছরের গোড়ার দিকে দুবাই থেকে পালান। তিনি সাত বছর ধরে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। এক ফরাসি-মার্কিন নাগরিকের নৌকায় দুবাই থেকে চম্পট দেন রাজকুমারী। লক্ষ্য ছিল গোয়ায় এসে ওঠা। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, গোয়া উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় রাজকুমারীর সেই নৌকা। তাকে জোর করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।

সেই ঘটনার পর থেকে রাজকুমারী লতিফাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রাজকুমারীকে ফেরাতে ভারতের এই সহযোগিতা মিচেলের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলে খবর। কিন্তু তা উল্লেখযোগ্য হলেও একমাত্র কারণ নয়। এর সেই সূত্রের চলে আসছে আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের কাহিনী।

১৯ মাস আগে মিচেলের প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল ভারত। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে ওই ব্রিটিশ ‘মিডলম্যান’কে প্রত্যর্পণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে। মিচেলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ জারি হয়েছিল ২০১৫ সালের নভেম্বরে। ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় মিচেলকে প্রাথমিকভাবে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আমিরাত। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক প্রত্যর্পণের গোটা প্রক্রিয়াকে মসৃণ করে দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement