২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘যা কিছু ঘটেছে দুজনের সম্মতিতেই’

সাংবাদিক পল্লবী গগৈয় ও এম জে আকবর। - ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেন এমজে আকবর। আমেরিকা নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে তার দাবি, নব্বইয়ের দশকে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর। আর তাদের মধ্যে যা কিছু হয়েছিল, সবই দু’জনের সম্মতিতে। তাতে সমর্থন জানিয়েছেন তার স্ত্রী মল্লিকা। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত পল্লবীর সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে এমন দাবি করেছেন তাঁরা।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে আকবর জানান, ‘১৯৯৪ সাল নাগাদ পল্লবী গগৈ এবং আমার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাতে দু’জনেরই সম্মতি ছিল। বেশ কয়েকমাস টিকেও ছিল সম্পর্কটি। বিষয়টি সর্বসমক্ষে এসে পড়ায় বাড়িতে তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। যার পর সম্পর্ক ভেঙে যায়। তবে সম্পর্কের শেষটা বোধহয় ভাল হয়নি।’

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, সেই সময় তাদের সঙ্গে যারা কাজ করতেন, তাদের অনেকেই সম্পর্কের কথা জানতেন। বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি সকলেই।

এম জে আকবরের স্ত্রী মল্লিকা আকবরও স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন মিটু আন্দোলন থেকে দরেই ছিলাম। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টে পল্লবী গগৈয়ের অভিযোগ দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। সত্যিটা তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে। আমার স্বামীর সঙ্গে ওঁর সম্পর্কের কথা জানতাম আমি। রাতবিরেতে বাড়িতে ফোন আসত। এমনকি, আমার সামনেও আকবরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন উনি। তুষিতা পটেল এবং পল্লবী গগৈ আমাদের বাড়িতে নৈশভোজেও এসেছেন। একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেছেন। তখন নির্যাতনের ছাপ দেখিনি ওদের মুখে। পল্লবীর মিথ্যে বলা কারণ জানি না। তবে ডাহা মিথ্যে বলছেন উনি।’

সম্প্রতি একাধিক মহিলা আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এনেছেন। যার জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। তাতে নয়া সংযোজন ঘটে বুধবার। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন আমেরিকা নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ। বর্তমানে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’(এনপিআর)-তে কর্মরত তিনি। সেখানে দু’দশক আগের কথা তুলে ধরে অভিযোগ আনেন ।

 

আরো দেখুন : এবার মার্কিন সাংবাদিককে ধর্ষণের অভিযোগ আকবরের বিরুদ্ধে

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০২ নভেম্বর ২০১৮


একের পর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগে পদ ছেড়েছেন। তবে তাতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না এম জে আকবর। এ বার তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন মার্কিন নিবাসী সাংবাদিক পল্লবী গগৈ। বর্তমানে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও’(এনপিআর)-তে কর্মরত তিনি। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে দু’দশক আগের ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

মাত্র ২২ বছর বয়সে ‘দ্য এশিয়ান এজ’-এ কাজ করতে ঢোকেন ওই সাংবাদিক। সেই সময় কাগজের সম্পাদক ছিলেন আকবর। পল্লবীর বক্তব্য, তারকাদের মতো প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল তার। উঠতি সাংবাদিকদের কাছে ভগবানের চেয়ে কম ছিলেন না। তিনিও সেই দলে সামিল ছিলেন।

আকবরের লেখার ধরন, ভাষার দখলের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মন দিয়ে তার কাছ থেকে কাজটা শিখে নিতে চেয়েছিলেন। তাই শত কটূক্তি শুনেও রা কাড়তেন না। মুখ বুজে পরিশ্রম করে যেতেন।তার ফলও মিলেছিল হাতে নাতে। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাগজের উত্তর সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্ব পেয়ে যান। কিন্তু তার পরই শুরু হয় দুর্ভোগ।

পল্লবীর দাবি, একদিন আকবরের কেবিনে পাতা দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। নিভৃতে তাকে পেয়ে কাজের প্রশংসা করেন আকবর। তার পরই এগিয়ে আসেন চুমু খেতে। কোনওরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন পল্লবী। তবে চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করলেও, কাজ ছাড়ার সাহস পাননি।

তার কয়েক মাস পর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। মুম্বইয়ে একটি পত্রিকার উদ্বোধন ছিল। তার লে আউট দেখার জন্য তাজ হোটেলে নিজের ঘরে পল্লবীকে ডেকে পাঠান আকবর। সেখানে ফের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। চুমু খেতে যান। তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পল্লবী। তাই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পল্লবীর গালে আঁচড় কেটে দেন আকবর। সে যাত্রায়ও পালিয়ে বাঁচেন তিনি।

তবে তৃতীয়বার নাকি আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি পল্লবী। জয়পুরের এক যুগলকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া নিয়ে খবর করতে গিয়েছিলেন তারা। সেই সময় ফের তাকে হোটেলের ঘরে ডেকে পাঠান আকবর। খবরটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার বলে অজুহাত দেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই পল্লবীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। জামা কাপড় ছিঁড়ে দেন এবং ধর্ষণ করেন।

পল্লবীর দাবি, ‘ওঁর সঙ্গে গায়ের জোরে পেরে উঠিনি। তাই শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় আমাকে। গোটা ঘটনায় এত লজ্জিত বোধ করছিলাম যে পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস পাইনি। কাউকে বলিওনি। বাকিদের দেখে এতদিনে সাহস পেয়েছি। কিন্তু এখন কি আর কেউ আমার কথায় বিশ্বাস করবে? অবশ্য আমিও নিজেকেই দোষ দিই।কেন যে ওঁর হোটেলের ঘরে গিয়েছিলাম?’

যদিও একতরফা পল্লবীর বক্তব্যই তুলে ধরেছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।’ তবে নিজের আইনজীবী মারফত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এম জে আকবর। এখনও পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি প্রাক্তন মহিলা সহকর্মী আকবরের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। যাঁর মধ্যে শুধুমাত্র প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন আকবর। তাঁকে বদনাম করতে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আদালতে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে?

সকল