২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সদ্যোজাতের প্রতি বাবা-মায়ের এমন নিষ্ঠুরতা!

ভারত
সদ্যোজাত শিশুকে নদীতে ফেলে দিলেন দম্পতি - প্রতিকী ছবি

সদ্যোজাত এক কন্যাসন্তানকে নদীর পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন পাষণ্ড বাবা-মা। তবে সৃষ্টিকর্তার ইশারায় রক্ষা পেয়ে যায় শিশুটি। এক রিকশা চালক ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষপর্যন্ত তুলে আনেন সেই শিশুকে।

আমানবিক বাবা-মাকে ধরে ফেলে গণপ্রহার দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে আটকে রাখা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় পরিবারের পাঁচজনকে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।

কী ছিল সেই শিশুর অপরাধ? জন্মের পর দেখা গিয়েছিল শিশুর ঠোঁট ও নাক স্বাভাবিক নয়। সেই কারণেই শিশুকে নিতে অস্বীকার করেছিল বাবা-মা। শনিবার কাটোয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দম্পতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, শিশুকে তারা গঙ্গা নদীতে ফেলে দেবেন। সেইমতো পরিকল্পনা কষে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চলে যান সোজা ভাগীরথীর কোটায়া হরিসভা ঘাটে।

তখন খানিক দূরে গঙ্গার ঘাটে গোসল করছিলেন বেশ কয়েকজন। তারাই লক্ষ্য করেন এক মহিলা ও পুরুষ গঙ্গার বুকে কী নিক্ষেপ করল পুঁটলির মতো। তাদের দেখে সন্দেহ হয়। তারা বুঝতে পারেন এ তো সদ্যোজাত। তখনই চিৎকার করে উঠেছিলেন তারা। তা শুনতে পেয়েই গঙ্গার ঘাটে বসে থাকা রিকশাচালক রতন শেখ ঝাঁপিয়ে পড়েন গঙ্গায়। তুলে আনেন সদ্যোজাতকে।

শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ এই ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা, দাদা-দাদি ও ফুফুকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন, শান্ত, পারমিতা, সরস্বতী, বিশ্বনাথ ও ডলি।

নিজের সন্তানকে কেন গঙ্গায় ছুড়ে ফেললেন? জবাবে সরস্বতী জানায়, বিকলাঙ্গ মেয়েকে ঘরে নিয়ে গিয়ে কী করব! বাচ্চার চোখ-নাক-মুখ কিছুই ফোটেনি। আমরা গরিব মানুষ, তাই পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু একরত্তি শিশুকে পানিতে ফেলতে এতটুকু কষ্ট হল না? লজ্জ্বায় মুখ ঢাকে সবাই। লজ্জা মাতৃত্বেরও।

কিন্তু কোথায় আশ্রয় পাবে অসহায় শৈশব? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিশুর নবজীবন লাভের পর। মা-বাবাই যাকে চায় না, সেই শিশু কোথায় যাবে?

দুদিন আগেই আমেরিকায় শিশুর কান্না থামাতে পানিতে ডুবিয়ে তাকে হত্যা করে মা। প্রশ্ন উঠে পড়ে মাতৃত্ব নিয়ে। শিশু খুনের পর আবার তিনি অপহরণের গল্প ফেঁদে ফোন করেন পুলিশকে। তারপরই ফাঁস হয়ে যায় প্রকৃত সত্য। স্ত্রীর স্বীকারোক্তি শুনে অবাক হয়ে যান বাবা। তেমনই এক ঘটনা এবার ভারতের বুকে। ফের অসহায় শৈশব। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরে পড়ুন :
ছেলের কান্না থামাতে এমন নিষ্ঠুর উপায় নিলেন মা!

মা হওয়া মুখের কথা নয়। মায়েদের দেখেই তা বোঝা যায়। কিন্তু এই মাকে দেখে কী বুঝবেন সবাই। কান্না থামাতে গিয়ে কি না এমন কাণ্ড ঘটালেন একজন মা! এ কাহিনি বড়ই বেদনার। সন্তান হারানোর পর প্রথমে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিলেন মা, তারপর পুলিশি জেরার মুখে প্রকাশ্যে এল আসল ঘটনা, যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়।

যে মায়ের কাছে একজন শিশু সবথেকে নিরাপদ, সেই মায়ের হাতেই কি না নির্মম পরিণতি হল শিশুর। অপরাধ কী! কান্না। শিশুর কান্না ভোলাতে কি না এমন উপায় নিলেন মা। কান্না থামাতে নিজের বুকের শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে দিলেন। তাতেই ঘটল নির্মম পরিণতি। এক মাসের শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে খুন করল মা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার। ১৯ বছরের এক তরুণী সন্তানের কান্না থামাতে ঘটিয়ে ফেলল নির্মম ঘটনা। নিজের সন্তানকে খুন করে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল তরুণী। পরে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সব ঘটনা খুলে জানায় জিনা ফ্লোয়েল নামে ওই তরুণী।

পুলিশি জেরায় জিনা জানান, ছেলের কান্নায় অতীষ্ট হয়ে উঠেছিল। কান্না থামাতেই শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে ধরেছিল। কিন্তু কান্না থামাতে গিয়ে যে এ ঘটনা ঘটে যাবে, ভাবতে পারিনি।

এরপর মারিকিন জরুরি পরিষেবার হেল্প লাইনে ফোন করে জানাই ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরই ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয় জিনা।

তদন্তকারীরা এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, খুনের আগে জিনা ইন্টারনেটে নানারকম সার্চ করে। কী করে হঠাৎ করে মরে যাওয়া যায়, পানিতে ডুবে মরতে কত সময় লাগে, ইত্যাদি। এই প্রবণতা থেকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে।

ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন বাবা এরিক কেনকু। তিনি জানান, আমাদের পরিবারে কোনো সমস্যা ছিল না। তবু কেন এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, জানি না।


আরো সংবাদ



premium cement