১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে কারণে ভারতীয় টিভি চ্যানেল পাকিস্তানে নিষিদ্ধ

যে কারণে ভারতীয় টিভি চ্যানেল পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। - সংগৃহীত

পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীতে ভারতের বাঁধের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় কোনো খবর বা বিনোদনের অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারবেন না পাকিস্তানের ক্যাবল টিভি অপারেটররা। এ বাঁধগুলো তাদের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ডন পত্রিকা জানিয়েছে, ইউনাইটেড প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা একটি রিটের শুনানি শেষে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার শনিবার এ রায় দেন।

বাঁধ নির্মাণের কারণে ভারতের চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার। তিনি বলেন, পাকিস্তানের দিকে বয়ে যাওয়া নদীতে ভারত বাঁধ দেওয়ায় এই রায় যথাযথ হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় চ্যানেল প্রচারে লাহোর হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা বাতিল করে নতুন এ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। লাহোর হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে বিচারপতি নিসার বলেছেন, ‘ওরা আমাদের পানি বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা কেন ওদের চ্যানেল বন্ধ করতে পারব না?’

ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও বলিউডের সিনেমা পাকিস্তানে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু, দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে এর আগেও ভারতের চ্যানেল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান।

১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের জেরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। পরে ২০০৮ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সে দেশের দেশের আদালত। তবে বিক্ষিপ্তভাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হচ্ছিল। এরমধ্যে কাশ্মির ইস্যুকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে ভারতের সব টিভি এবং রেডিও চ্যানেল নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। এখন নতুন করে আবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ৮০ ভাগেরও বেশি সেচভিত্তিক কৃষিজমি সিন্ধু নদ ও এর উপনদী, শাখানদীর ওপর নির্ভরশীল। আর এসব নদীর অধিকাংশেরই উৎস হিমালয় পর্বতমালা।

 

আরো দেখুন : দেশভাগের জন্য ভারতও দায়ী: হামিদ আনসারি
ইন্ডিয়া টুডে; ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৫

১৯৪৭ সালে দেশভাগ নিয়ে পুরনো বিতর্ক নতুন করে তুললেন ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। গতকাল শনিবার নয়া দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশভাগের জন্য শুধু ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের ওপরে দোষ চাপানো যায় না, এর জন্য ভারতও সমানভাবে দায়ী।

ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী হামিদ আনসারি বলেন,‘এখনও আমরা মেনে নিতে রাজি নই যে, ভারত দেশভাগের জন্য সমানভাবে দায়ী। দেশের মানুষ এখনও বিশ্বাস করে পাকিস্তান ও ব্রিটিশদের কারণেই দেশভাগ হয়েছে।’

হামিদ আনসারি তাঁর দাবির স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, সর্দার প্যাটেল ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট মন্তব্য করেন, অনেক ভেবেই ওই (দেশভাগের) সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। প্রথমে দেশভাগের বিরুদ্ধে থাকলেও পরে তিনি মনে করেন ভারতকে অখণ্ড রাখতে গেলে দেশভাগ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতি বদলে গিয়েছে। এখন দেশভাগের জন্য কাউকে না কাউকে দায়ী করতেই হবে। তাই মুসলিমদেরকেই বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।

এ দিকে হামিদ আনসারির দেশভাগ নিয়ে করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।

তিনি বলেন,‘হামিদ আনসারি মুসলিম পক্ষপাতদুষ্ট। শুধু তাই নয়, দশ বছর দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ রকম মন্তব্যের জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
জনগণের শক্তির কাছে আ'লীগকে পরাজয় বরণ করতেই হবে : মির্জা ফখরুল টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ : তদন্ত কমিটি গঠন, চালক-হেলপার গ্রেফতার নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমির কারণে মধ্যস্তকারীর ভূমিকা থেকে সরে যাবে কাতার! আফ্রিদির সাথে বিবাদের বিষয়ে কথা বললেন বাবর বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে টেস্ট খেলতে চান রোহিত অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামের বাসভবনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ইউক্রেনের ২০টি ড্রোন, ২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্কিৃয় করল রাশিয়া তালেবানকে আফগান মাটি অন্যদের ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের।

সকল