২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এফ-১৬ নিয়ে ভারতকে ব্ল্যাকমেইল করছে যুক্তরাষ্ট্র!

এফ-১৬ - ছবি : সংগৃহীত

আমেরিকা ভারতকে কথিত আশ্বাস দিয়েছে যে, ভারত যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান কেনার নিশ্চয়তা দেয়, তাহলে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য কাউন্টারিং অ্যামেরিকা’স অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশান্স অ্যাক্টের (সিএএটিএসএ) অধীনে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। ভারতকে কার্যত এখানে ব্ল্যাকমেইল করলো যুক্তরাষ্ট্র, যেটা স্পষ্টতই নিন্দনীয়।

ভারত এখানে এ ধরনের নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু এ জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের উপর চাপ রয়েছে মারাত্মক। বোঝাই যাচ্ছে, ভারত-রাশিয়া চুক্তির ব্যাপারে যুদ্ধরাষ্ট্রের বড় কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের এখান থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্য ছিল খুবই সোজাসাপ্টা।

ক্ষমতার শেষের দিকে এসে বারাক ওবামা প্রশাসনও পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রি করেছিলো, যদিও পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ ছিল। এটা এখন পরিস্কার হয়ে গেছে যে, উপমহাদেশসহ অন্যান্য জায়গায় অস্ত্র প্রতিযোগিতা কমানোর মার্কিন দাবিটি পুরো অন্তঃসারশূন্য এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের স্বার্থই মূলত প্রধান। এটাকে মহান কোন চেহারা দেয়ার চেষ্টা করাটা হাস্যকর এবং ভণ্ডামি।

ভারতে, বিশেষ করে কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও তাদের অনুপ্রবেশ করানোর ব্যাপারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যে অভিযোগ রয়েছে, সম্ভবত পাকিস্তান মার্কিন বিমান কেনার বিনিময়ে ওই সব অভিযোগের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নিরব থাকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। পাকিস্তানের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মুখের কথা বলে গেছে মাত্র। কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে তারা মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।

নির্মলা সীতারামন প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। খুবই সম্ভাবনা রয়েছে যে, আমেরিকানরা তাকে আলোচনার সময় এফ-১৬ এবং এফ-১৮ বিমান কেনার জন্য চাপ দেবে। আরও যে সব কারণে ভারত এফ-১৬ কিনতে আগ্রহী নয়, তার মধ্যে রয়েছে এগুলো ভারতের ব্রাহ্মস মিসাইল বহনে সক্ষম নয় এবং এই বিমানগুলো তিন দশক ধরে পাকিস্তানের বহরে রয়েছে।

এটা ধারণা করা হয় যে, সম্প্রতি ভারতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে যে ২+২ সংলাপ হয়েছে, সেখানেও এফ-১৬ কেনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে সিঙ্গাপুরে আসিয়ান সম্মেলনে এ বিষয়ে আবারও বৈঠক হয়েছে।

গত সপ্তাহে মিডিয়ায় দেয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতিতে ভারতের প্রতি একটা পরোক্ষ হুমকি লুকিয়ে আছে, যেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লীর উপর ‘চিন্তার চেয়ে দ্রুত’ নিষেধাজ্ঞা দেবে কি-না, সেটার উত্তর ভারত দেখতে পাবে। ছাড় দেয়ার বিষয়টি পুরোটাই ট্রাম্পের উপর নির্ভর করছে এবং সবার দৃষ্টিই এখন তার দিকে।

সব মিলিয়ে, সামনে একটা স্নায়ুযুদ্ধ অপেক্ষা করছে। ভারতকে এস-৪০০ না কেনার জন্য চাপ দেয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এটা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে যে, চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ভারতের এগুলো প্রয়োজন। কারণ চীন এরইমধ্যে এই মিসাইল সিস্টেম হাতে পেয়েছে, এবং যেটা ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং এর ফলে যেটা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পরিকল্পনা নষ্ট করে দিতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল খুলনায় হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল যুক্তরাষ্ট্র? জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

সকল