২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যালের ছাত্র লোটে শেরিং

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যালের ছাত্র লোটে শেরিং - ছবি : সংগৃহীত

এবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ডা: লোটে শেরিং। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে এসে বিদেশী কোটায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৯৯ সালে এমবিবিএস পাস করে ঢাকায় সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এফসিপিএস কোর্স সম্পন্ন করেন। ডা: লোটে শেরিং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যালের সহপাঠীরা গর্ববোধ করছেন। 

ডা: লোটে শেরিং সহপাঠী ডা: আসাদুজ্জামান রতন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, লোটে শেরিং ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তির পর বাঘমারা মেডিক্যাল হোস্টেলে পাশাপাশি ভবনে থাকতেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি খুবই বন্ধুবৎসল ছিলেন। লোটে শেরিং প্রফেসর ডা: খাদেমুল ইসলাম ও তার অধীনে জেনারেল সার্জারি বিষয়ে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ করেছেন। এরপর ঢাকায় সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এফসিপিএস কোর্স সমাপ্ত করেন। 

আরেক সহপাঠী ডা: শফিকুল বারী তুহিন জানান, সেশন জটের কারণে তারা ১৯৯৮ সালে পাস করেন। তিনি ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছিলেন। ওই সময় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ১২-১৩ জন বিদেশী শিক্ষার্থী ছিল। 
২০১৩ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুটানে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে তার রাজনৈতিক ডিএনটি দল জয়লাভ করে চমক সৃষ্টি করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে যান। অবশ্য তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। ডা: লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে আজ।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ২৮তম ব্যাচের ছাত্র ডা: লোটে শেরিং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জেনে খুব খুশি হন। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সবার গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব।’ তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

আরো পড়ুন :

বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান ত্রিদেশীয় জলবিদ্যুৎ চুক্তি শিগগিরই
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
 ২৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ভারতের সহযোগিতায় নেপাল ও ভুটানের সাথেও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগীর সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই তিন দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে শিগগিরই সেটা চুক্তিতে পরিণত হবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে এক বৈঠকে। তবে তিনি এও বলেছেন, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার ভারতে বাংলাদেশের রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করছে। 

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দুই দিনব্যাপী ভারতীয় মহাসাগর সম্মেলনের প্রাক্কালে, গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এ বক্তব্য তুলে ধরেন। পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতর থেকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে । 

পরিকল্পনামন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে ভারত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের চার দেশীয় পরিবহন নেটওয়ার্ক (বিবিআইএন)-স্থাপিত হয়েছে। বিবিআইএন দেশগুলোর অর্থনীতিতে নবধারার সঞ্চার করে পারস্পরিক সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। চার দেশীয় পরিবহন নেটওয়ার্ক গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা। উপ-আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন দৃঢ় করতে বিবিআইএন মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট পারস্পরিক সম্পর্কে যোগ করতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা। 

সুষমা স্বরাজকে তিনি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো বেশি ফলপ্রসূ করতে সব ধরনের বাধা মুক্ত করা এবং অসম বাণিজ্য ঘাটতি ও শুল্ক বাধা দূর করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ একটি সুষম পদ্ধতিতে বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। মুস্তফা কামাল বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বিনিয়োগ সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য এক হাজার একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। তৃতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সাথে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই লাইন অব ক্রেডিটের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বিষয়ও তিনি উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement