২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ এ বছরই’

বাবরি মসজিদ ভাঙার দৃশ্য - ছবি : সংগ্রহ

চলতি বছরই বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক নেতা। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় (লোকসভা) নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

বিজেপির সাবেক সংসদ সদস্য ও অযোধ্যয় বিজেপির সভাপতি রাম বিলাস বেদান্তি মুম্বাইতে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘২০১৯ নয়, এ বছরই মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর লখনৌতে নির্মিত হবে মসজিদ। বেদান্তি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হয়ে যাবে মন্দির তৈরির কাজ।

বাবরি মসজিদের স্থানটি নিয়ে বিবাদ বর্তমানে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধানী। বিজেপি নেতার ঘোষণার বিষয়ে সর্ব ভারতীয় মুসলিম ব্যক্তি আইন বোর্ডের সদস্য ও লখনৌয়ের ইমাম খালিদ রশিদ ফিরিঙ্গি বলেন, ‘যখন বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলছে এমন সময় কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল বলতে পারে না কোথায় মসজিদ আর মন্দির নির্মিত হবে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেই মীমাংসা হতে হবে’।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেও রাম মন্দির ইস্যুকে সামনে এনেছিল বিজেপি। মোদি ক্ষমতায় আসলে রাম মন্দির তৈরি হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলে উগ্র হিন্দুরা।

আরো পড়ুন: ভারতের সিনেমা হলে আগুন
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশের বন্দর নগরী বিশাখাপত্তনমের একটি সিনেমা হলে আগুন লেগেছে। সোমবার সরকারি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া’র।

এদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে প্রকাশ, গাজুওয়াকা এলাকার শ্রী কান্য সিনেমা হলটির আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বলে খবরে বলা হয়েছে।

রোববার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬০ জন কর্মী প্রায় ২০ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

২০৪৭ সালে আবার দেশ ভাগ হবে : ভারতীয় মন্ত্রী
ভারতের ক্ষমতাসীন ‌বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আবারো চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তার এ মন্তব্যে ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানালেন, ২০৪৭ সালে ভারত আবার ভাগ হবে। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল, ২০৪৭ সালে ফের তার পুনরাবৃত্তি হবে। তিনি আরো জানান, এই ৭২ বছরে দেশের জনসংখ্যা ৩৩ কোটি থেকে ১৩৫.‌৭ কোটি দাঁড়িয়েছে। আর এটাই কারণ দেশভাগ হওয়ার জন্য।

কোনো সম্প্রদায়ের নাম না নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তার টুইটারে বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সংখ্যা সমষ্টিগতভাবে বেড়ে গেছে। ফলে আগামী দিনে এই দেশের নাম ভারত নাও থাকতে পারে।’‌‌জম্মু–কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৫এ ধারায় এ রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া নিয়ে চলা বিতর্ক প্রসঙ্গেও গিরিরাজ সিং বলেন, ‘‌১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। ২০৪৭ সালেও একই অবস্থা তৈরি হবে। ৭২ বছরে চারগুণের বেশি জনসংখ্যা বেড়েছে। আগামী দিনে ভারতকে এই নামে ডাকাও অসম্ভব হয়ে উঠবে।’‌

সম্প্রতি এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, জনসংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলা ভারতের এক বড় সমস্যা। সংসদে এ সংক্রান্ত বিতর্ক চলার সময় গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, জনসংখ্যা বাড়ার পেছনে সংখ্যালঘুরাই দায়ী। জনসংখ্যা রোধের জন্য কড়া আইন তৈরি না হলে দেশকে পরবর্তীকালে ভুগতে হবে বলেও মনে করছেন গিরিরাজ সিং।


আরো সংবাদ



premium cement