২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আরিফ আলভি পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট

ডক্টর আরিফুর রহমান আলভি - ছবি : সংগ্রহ

পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে ডক্টর আরিফুর রহমান আলভি। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটাভুটিতে তিনি নির্বাচিত হন। বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে এই তথ্য। তবে সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল। সব কিছু ঠিক থাকলে পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আরিফ আলভি।

ডন অনলাইন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে গননা শুরু হয়। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।

ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থী আরিফ আলভি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মুত্তাহিদা মজলিশ-ই আমল দলের প্রধান ফজলুর রহমান, ও সিনিয়র পিপিপি নেতা আইতাজ আহসান। আরিফ আলভি সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিজয়ী হয়েছেন জানার পর আরিফ আলভি এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে পিটিআইয়ের মনোনীত প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছে। দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এতবড় দায়িত্ব দেয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই’।

নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, পাঁচ বছরের মেয়াদে আমি গরিবদের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করবো। তাদের জন্য খাদ্য, আশ্রয় ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, আজ থেকে আমি পুরো জাতির ও সকল দলের প্রেসিডেন্ট। সকল দলের সমান সুযোগ থাকবে আমার কাছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ৪৩০টি ভোটের মধ্যে ডক্টর আলভি পেয়েছে ২১২ ভোট, ফজলুর রহমান ১৩১ ভোট ও আইতাজ আহসান পেয়েছে ৮১ টি ভোট। ছয়টি ভোট বাতিল হয়েছে।

এছাড়া বালুচিস্তান প্রাদেশিক পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে আলভি ৬০টির মধ্যে ৪৫ ভোট এবং সিন্ধু প্রদেশে আলভি ৬৫ ভোট পেয়েছে, সেখানে তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন আইতাজ আহসান(১০০ ভোট)। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ডক্টর আলভি ১০৯টির মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ ভোট পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।

পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাদের একজন আরিফ আলভি।

আরো পড়ুন :  পাকিস্তানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ইমরান খানের চমক
পাকিস্তান সরকারকে পরামর্শ দিতে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট অর্থনৈতিক কাউন্সিল গঠন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে আছেন তিনি নিজে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবীদও আছেন এই কাউন্সিলে।

দেশটির অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নে কাউন্সিল থেকে আসা বিভিন্ন উপদেশ পরামর্শ যেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছায় সেজন্য ইমরান খান নিজেই থাকছেন এর প্রধান হিসেবে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


অতীতে দেশটিতে এই অর্থনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। তবে দেশটির ইতিহাসে এই কাউন্সিল খুব একটা গুরুত্ব পেয়েছে এমন নজির নেই। প্রতি চার মাসে মাত্র একবার এই কাউন্সিলের বৈঠক আয়োজিত হয়েছে এমন উদাহরণও আছে। এছাড়াও কাউন্সিলের পরামর্শ ও উপদেশ সরকার সেভাবে বিবেচনা না করায় কাউন্সিল মূলত কোন কার্যকর কোনো ফোরামে পরিণত হতে পারেনি।

তবে এবার এই কাউন্সিলের প্রতি সরকারের বিশেষ নজর থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাউন্সিলের জন্য স্থায়ী সচিবালয় বরাদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে অন্তত এক বার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে ‘সরকারকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়া’ নির্ধারন করা হয়েছে।

কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে দেশটির বিভিন্ন খাতের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত অভিজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছে কাউন্সিলে। এদের মধ্যে সাতজন সরকারি খাত থেকে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি ১১ সদস্য এসেছেন বেসরকারি খাত থেকে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement