২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইমরান খানের ১৬ সদস্যের মন্ত্রিসভার শপথ

ইমরান খানের ১৬ সদস্যের মন্ত্রীসভার শপথ - সংগৃহীত

ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী করে পাকিস্তানে ১৬ সদস্যের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট হাউজে সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন মন্ত্রী হিসাবে মনোনীতদের শপথ পরিয়েছেন। এ সময় নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণের আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।

নতুন মন্ত্রীসভায় ১৬জন মন্ত্রী এবং ৫জন উপদেষ্টা রয়েছে।

পিটিআই-এর ভাইস চেয়ারম্যান মখদুম শাহ মেহমুদ কোরেশি হয়েছে পাকিস্তানের নতুন পরষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নেতৃত্বে পিপিপি সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে জেনারেল জিয়াউল হকের সামরিক শাসন চলাকালে পাঞ্চাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরীফ। তখন প্রাদেশীক অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন কোরেশি।

মোহাম্মদ ফারুক নাসিম পালন করবেন আইন ও বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব। ১৯৬৭ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে সিন্ধু প্রদেশের অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফারুক। তিনি সিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের রাজনৈতিক প্রতারণাবিষয়ক মামলায় আইনবিষয়ক উপদেষ্টাও ছিলেন ফারুক।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পারভেজ খটক। তিনি ২০১৩ সালের ৩১ মে থেকে চলতি বছরের ৬ জুন পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সেচমন্ত্রী এবং শিল্প ও শ্রমমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। লাহোরের প্রখ্যাত অ্যাচিসন কলেজে পড়াশোনা করা খটক পাকিস্তান পিপলস পার্টির রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাকিস্তানের বাণিজ্য, রাজস্ব ও অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন আসাদ ওমর। সিন্ধু প্রদেশের ৩২তম গভর্নর পাকিস্তান মুসলিম লিগের মোহাম্মদ জুবায়েরের ছোট ভাই ওমর। ১৯৬১ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে জন্ম নেন তিনি। এনগ্রো পলিমার এবং কেমিক্যালসের সাবেক প্রধান নির্বাহী ছিলেন আসাদ ওমর। ২০০৯ সালে বিশেষ সেবামূলক কাজের জন্য তাকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কার দেয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ প্রাদেশিক সমন্বয়কবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক জোটের ফাহমিদা মির্জা। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৮তম স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফাহমিদা।

প্রতিরক্ষা উৎপাদনবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন জুবাইদা জালাল। শিক্ষা খাতে অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তাকে প্রাইড অব পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। বেলুচিস্তান আওয়ামি পার্টির সদস্য তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের মন্ত্রিসভায় জালাল শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার ও জাতীয় ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রী হবেন ফাওয়াদ চৌধুরী। পিটিআইয়ের মুখপাত্র তিনি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মন্ত্রিসভার তথ্য ও রাজনৈতিক বিষয়ের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক ঘটনাবলিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ছিলেন তিনি।

আওয়ামী মুসলিম লিগের প্রধান শেখ রশিদ আহমেদ রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শেখ রশিদ আহমেদ। পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদে ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম নির্বাচিত হন। আরও ছয়বার পুনর্নির্বাচিত হয়ে তিনি রেকর্ড করেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকমিউনিকেশনবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন খালিদ মকবুল সিদ্দিক। ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খালিদ মকবুল সিদ্দিক।

জ্বালানিমন্ত্রী হয়েছেন গুলাম সারওয়ার খান। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গুলাম সারওয়ার খান।

শিক্ষা ও ঐতিহ্যবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন হবেন শাফকাত মাহমুদ। ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন আমির মেহমুদ কায়ানি।

স্টেট অ্যান্ড ফ্রন্টিয়ার রিজনবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন চৌধুরী তারিক বশির শিমা। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ধর্ম এবং আন্তধর্মীয় ঐক্যবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন নূর-উল-হক কাদেরি।

মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন শিরিন মেহেরুননিসা মাজারি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দ্য নেশন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে সেখান থেকে সরে গিয়ে তিনি পিটিআইয়ে যোগ দেন শিরিন মেহেরুননিসা মাজারি।

এ ছাড়া মোহাম্মদ শেহবাজ আরবাব প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ আবদুল রাজাক দাউদ বাণিজ্য, বস্ত্র, শিল্প, উৎপাদন ও বিনিয়োগবিষয়ক, ইশরাত হুসেন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নৈতিকতা, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ও জহির-উদ্দিন-বাবর আওয়ান পার্লামেন্টবিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল