চীনের প্রাচীর কোন দেশে অবস্থিত? উত্তর দিতে হিমশিম খেলেন তুর্কি তরুণী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১১:২৫, আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩৭
চোখ ধাঁধানো আলো। কড়া আবহ সঙ্গীত। বুক ঢিপ ঢিপ পরিস্থিতি। তুরস্কের একটি টিভি চ্যানেলে চলছে 'কে হবেন কোটিপতি' অনুষ্ঠানটি। মহিলা কনটেস্ট্যান্ট সু আয়হানকে প্রশ্ন করা হলো, 'চীনের প্রাচীর কোন দেশে অবস্থিত?'
এমন প্রশ্নে কী অপশনের দরকার হয়!
কিন্তু তরুণীর মুখ যেন চুপসে গেল। ধীরে ধীরে চারটি অপশন শুনলেন। আরো যেন মুষড়ে পড়লেন তিনি। সঞ্চালক মহিলা তার অবস্থা দেখে হতবাক। চারটি অপশন দেয়া হলো চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান।
কিছুক্ষণ সময় নিয়েও উত্তর পেলেন না তরুণী। অবশেষে নিলেন একটি হেল্পলাইন। অডিয়েন্স পোল। জানালেন, তিনি উত্তরটা জানেন, তবে সন্দেহ দূর করতে চান। অডিয়েন্সের মধ্যে মাত্র ৫১ শতাংশের ভোট গেল চীনের দিকে। এক চুতুর্থাংশ জানালেন, চীনের প্রাচীর ভারতে অবস্থিত!
এতে আরো দ্বিধায় পড়ে গেলেন তরুণী। এবার আরো একটি হেল্পলাইন ফোন এ ফ্রেন্ড নিলেন। প্রশ্ন শুনে মহিলার বন্ধু ফোনের ওপার থেকে চীন লক করতে বললেন এবং তাই অনুসরণ করলেন তিনি।
সহজ প্রশ্নে সু আয়হানের এমন লেজেগোবরে অবস্থা নিয়ে ট্রোলিং শুরু করে দিয়েছে নেট দুনিয়া। ওই তরুণীকে নিয়ে মিম বানানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ইকনমিক্সে স্নাতক মহিলার এহেন দশা দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকছে ইস্তানবুল।
ভারতীয়রা আবার চিমটি দিয়ে বলছেন, সু আয়হান ও আলিয়া ভাটকে নিয়ে একটি বিতর্কসভা আয়োজন করা উচিৎ। বিশ্ববাসীর রক্তচাপের সমস্যা নাকি সারিয়ে দেবে তারা। অতি উৎসাহীরা জানতে চাইছেন, সহজ প্রশ্নে হড়কে যাওয়া সু অনুষ্ঠানে কতদূর এগিয়েছিলেন?
জানা গিয়েছে, পরের প্রশ্নেই তুরস্কের একটি বিখ্যাত গানের পরিচালকের নাম ভুল বলাতে ছিটকে যেতে হয় তাকে।
বলে রাখা ভালো, ভারতের একটি টিভি শোতে এসে সহজ প্রশ্নে সু আয়হানের মতোই বেহাল অবস্থা হয়েছিল বলিউড সুন্দরী আলিয়া ভাটের।
আরো পড়ুন : ৫ মাস বাসা খুঁজে ঠাঁই হলো বান্ধবীর বাসার সোফায়
অনুফানমিলোলার বয়স ৩০। পেশাজীবনে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। খুব সহজেই তিনি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন।
কিন্তু পাঁচ মাস ধরে বাসা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে এক বান্ধবীর বাসার সোফা।
ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে লেগোস থেকে আবেওকুটা তে চলে আসে।
আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরেও মধ্যবিত্ত বা একটু বিত্তবানদের এলাকাতে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেননি। কারণ একটাই তিনি একা থাকবেন ওই বাসাতে।
নাইজেরিয়ার অনেক বাড়ির মালিক সন্দেহ করেন একা মেয়ে মানেই যৌনকর্মী। যার ফলে একা মেয়েদের পক্ষে বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
অনুফানমিলোলা বলছিলেন, ‘প্রথম প্রশ্ন যে আমারকে শুনতে হয় সেটা হল আমি কি বিবাহিত? আমি বলি না, তারপর প্রশ্ন করা হয় কেন আমি বিয়ে করিনি। আমি বিভ্রান্ত হই। একটা বাসা ভাড়া নেয়ার সাথে বিয়ের কী সম্পর্ক?’
আমরা ভদ্র লোককে বাসা ভাড়া দিতে চাই
অনুফানমিলোলা বলছিলেন, এই বৈষম্য ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে।
বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘৯৯% বাড়ির মালিক যাদের সাথে আমি সাক্ষাত করেছি, তারা কেউ আমাকে বাসা ভাড়া দেয়নি, কারণ আমি একা নারী। অনেক মালিক এবং এজেন্ট আমাকে বলেছে, তুমি কি তোমার পুরুষ-সঙ্গী বা স্বামীকে আনতে পারবে? এই ধরণের অ্যাপার্টমেন্টে আমরাই চাই না কোনো পুরুষ আসুক, আমরা চাই একজন ভদ্র মানুষকে ভাড়া।’
পুরুষদের বেশি অর্থ আছে
সিলভিয়া অয়িনডা রিটেইল সেক্টরের একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। ৩১ বছরে তার বাগদান হয়। কিন্তু প্রতি বাড়িওয়ালা তাকে বলেন, আগে তার হবু স্বামীকে আনতে হবে তারপর তারা অ্যপার্টমেন্ট দেখাবে।
নাইজেরিয়াতে একটা কথা প্রচলিত আছে ‘স্মল গার্ল, বিগ গড’।
এই কথার অর্থ অনেকটা এমন, যারা সিঙ্গেল মেয়ে তাদের অর্থের যোগানদাতা থাকে। তারা বেশির ভাগই হয় বৃদ্ধ লোক।
মিজ অয়িনডা বলছিলেন, বাড়ির মালিকরা মনে করেন বেশিরভাগ তরুণী যারা একা থাকে তারা ঐরকম।
কোলম্যান ওয়াফোর একটি বাড়ির মালিক এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক। তিনি বলছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে বৈষম্য করেন না।
কিন্তু তার বেশির ভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘বেশির ভাগ একা মেয়েরা হয় তাদের বাবা-মা অথবা পুরুষ সঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল। আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না এক বছর পর কী হবে। এবং প্রতিটা বাড়িওয়ালা চায় কোনো ঝামেলা ছাড়া মাসের ভাড়া পাবে আর সময়মতো কন্ট্রাক্ট নবায়ন করবে।’
তিনি বলছিলেন, বেশির ভাগ একলা মেয়েরা কোন কাজ করে না।
এখানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। এটাই এখানকার পরিস্থিতি।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা