২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাকার দামে সর্বকালীন পতন, উদ্বেগ

রুপির দামে সর্বকালীন পতন, উদ্বেগে ভারত - ছবি : সংগৃহীত

সর্বকালীন পতন ভারতীয় রুপির দামে। মঙ্গলবার ভারতীয় মুদ্রার দাম রেকর্ড পতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ডলার প্রতি ৭০.০৯ রুপি। আর রুপির এই রুগ্ন দশা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে নয়া দিল্লি সরকার দায় ঠেলল ‘দেশের বাইরের ফ্যাক্টরগুলো’র ওপর। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজছে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করল কংগ্রেস। ট্যুইটারে কংগ্রেসের কটাক্ষ, অবশেষে মোদিজি এমন কিছু একটা করে দেখালেন যা আমরা ৭০ বছরেও করে উঠতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধীও। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদির ২০১২ সালের একটি ভাষণের ভিডিও পোস্ট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। ওই ভাষণে মোদির বক্তব্য ছিল, ইউপিএ-র দুর্নীতির কারণে রুপির দামে পতন হচ্ছে। ২০১২ সালের ওই ভিডিও পোস্ট করে রাহুলের কটাক্ষ, ঐতিহাসিক পতনের মুখে পড়ে ভারতীয় টাকা ‘সুপ্রিম নেতা’কে অনাস্থা ভোট দিয়েছে।

কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর কটাক্ষের মুখে পড়ে টাকার দামে রেকর্ড পতন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন অর্থবিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ। তার বক্তব্য, দেশের বাইরের ফ্যাক্টরগুলোর কারণে টাকার দাম পড়ছে। তবে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কিছু নেই। দেশের বাইরের ফ্যাক্টর বলতে তিনি তুরস্কের আর্থিক সঙ্কটের কথা বলতে চাইছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ তুরস্কের মুদ্রার টালমাটাল দশার কারণে বিশ্বজুড়ে ফের আর্থিক মন্দা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেন, ডলারের সাপেক্ষে সব দেশের মুদ্রাই দুর্বল হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় ভারতীয় রুপি ততটা বেশি দুর্বল হয়নি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া তুরস্কের মুদ্রা ‘লিরা’র সঙ্কট এখনো বজায় রয়েছে। এর ফলে গোটা বিশ্বেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে মার্কিন ডলারের দিকে ঝুঁকছেন তারা। যদিও এসবিআই চেয়ারম্যানের পূর্বাভাস, বন্ড ও ইকুইটিসহ দেশে যে পরিমাণে বিনিয়োগ আসছে, তাতে রুপির দাম ৬৯ ও ৭০-এর মধ্যে থিতু হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

আরো পড়ুন :

ভারতের রাজস্থানে ৮ গ্রামের মুসলিম নাম বদল
হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের রাজস্থানে আটটি গ্রামের মুসলিম নাম বদলে রাতারাতি হিন্দু নাম দেয়া হয়েছে। রাজ্যের বড়মে জেলার ‘মিয়া কা বড়া’ নামের একটি গ্রামের নাম বদল করে করা হয়েছে ‘মহেশপুর’। অন্য দিকে রাজ্যের অপর একটি গ্রাম ‘ইসমাইলপুর’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘পিচানবা খুর্দ’।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এমন আরো ছয়টি গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজস্থানে। যেগুলোর বেশির ভাগ ছিল মুসলিম নাম। কয়েক মাস আগে রাজ্যের বেশ কিছু গ্রামের নাম বদলের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজস্থান সরকার। গত ১ জুন সেই গ্রামগুলোর মধ্যে আটটি গ্রামের নাম পরিবর্তন আবেদন মঞ্জুর করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ‘মিয়া কা বড়া’ গ্রামের বাসিন্দা ও পঞ্চায়েত প্রধান হানওয়ান্ত সিং দাবি করেন, তাদের গ্রামের নাম আগে ছিল ‘মহেশ রো বড়া’। পরে সেটিই বিকৃত হয়ে ‘মিয়া কা বড়া’ হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় জানতাম আমাদের গ্রামের নাম মহেশ রো বড়া।

কয়েক দশকের মধ্যে নামটা পালটে যায়। ২০১০ সালে আমি পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর থেকে নাম বদলের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পুরনো নথি দিয়ে নাম বদলের জন্য প্রশাসনিক দফতরে আবেদন করেছিলাম। গত জুন মাসে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র সরকার। গ্রামের নতুন নাম হয়েছে মহেশনগর।’

এই নাম পরিবর্তনের পেছনে রাজস্থান রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অনেকে। গ্রামগুলোর মধ্যেও ধর্মান্তরপ্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুই জায়গায়ই সরকার পরিচালনাকারী দল বিজিপির বিরুদ্ধে।

রাজস্থান রাজ্য সরকার অবশ্য বলছে, নামে মুসলিম হলেও গ্রামগুলো আসলে হিন্দু অধ্যুষিত। তাই নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়া টাইমস জানায়, পুলিশ লাল কার্ড দেখানোয় নিরাপত্তার অভাবেই উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে ৭০টি মুসলিম পরিবার। উত্তরপ্রদেশের খইলাম গ্রামের ভেতর দিয়ে কাঁওয়ার যাত্রা অর্থাৎ কাঁধে বাঁক নিয়ে ভক্তেরা মহাদেবের মাথায় পানি ঢালতে যান। 

মুসলিমপ্রধান গ্রামটির ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় গত বছর কাঁওয়ার যাত্রীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর হামলায় অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশ ২৫০ পরিবারের প্রতিটি থেকে অন্তত এক জন করে আটক করে। এদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলিম।

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরে কোনোরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই ২৫০ পরিবারকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। তাই তাদের ‘লাল কার্ড’ দেয়া হয়েছে। ‘প্রতীকী’ ৫ লাখ টাকার বন্ডে এই লাল কার্ড দেয়া হয়েছে। তারা যে পুলিশের নজরে রয়েছে তা বোঝানোর জন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মুনিরাজ। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, যাদের পুলিশ লাল কার্ড দিয়েছে, তারা কেউই গত বছর সংঘর্ষের সাথে যুক্ত নন। এমনকি, তাদের অনেকেই সে সময় গ্রামেই ছিলেন না। অহেতুকই তাদের আটক করেছিল পুলিশ। আর এবারে তাদের আগাম ‘লাল কার্ড’ দিয়েছে। তাই ভয় পেয়ে, নিরাপত্তার অভাবে ৭০ মুসলিম পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বলে দাবি তাদের।

পুলিশ কমিশনার আরকে ভাটিয়া বলেন, লাল কার্ড আইনসম্মত নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। প্রতিটি গ্রামবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক পরিবার গ্রাম ছেড়েছে। সেটা সত্যিই চিন্তার ব্যাপার। কাঁওয়ার যাত্রা শেষ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস

সকল