বিয়ে করে ফেলেছেন রাহুল গান্ধী!
- ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৩৯
মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়েছে। কিন্তু ভারতের অন্যতম ‘এলিজেবেল ব্যাচেলর’ রাহুল গান্ধী বিয়ে কবে করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো বিরাট রহস্য। বারবার প্রশ্ন উঠেছে। কখনো মুচকি হেসে, কখনো গম্ভীর থেকে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার হায়দরাবাদে ফের একই প্রশ্নের মুখে পড়লেন কংগ্রেসের সভাপতি।
এবারও সদুত্তর মিলল না। ৪৮ বছরের রাহুল গান্ধী শুধু জানালেন, তিনি কংগ্রেস দলকে বিয়ে করেছেন।
হায়দরাবাদে দু’দিনের সফরে গিয়েছেন। সেখানে সংবাদমাধ্যমের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত, সব ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন। দক্ষ রাজনৈতিক নেতার মতো তার মোকাবিলা করলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকার পরাজিত হবে বলে দাবি করলেন সোনিয়া তনয়। তার মতে, নরেন্দ্র মোদি আর ক্ষমতায় ফিরবেন না। কারণ, বিজেপি সারাদেশে ১৩০টি আসনও পাবে না। ফলে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অবিজেপি দলগুলো ভালো ফল করবে বলে তার বিশ্বাস।
এখানেই প্রশ্ন ওঠে, যদি কংগ্রেস বা জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সরাসরি কোনো জবাব দেননি রাহুল। শুধু বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস রীতিমতো শূন্যে পৌঁছে গিয়েছিল। বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি।
ওই প্রসঙ্গে রাহুলের বক্তব্য, অন্ধ্রপ্রদেশের পরিস্থিতি পাল্টেছে। পাশাপাশি তেলেঙ্গানাতে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি কংগ্রেস সভাপতির। কারণ, সারা ভারতে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সংখ্যালঘুরা নিজেদের অসুরক্ষিত মনে করছেন। অন্যদিকে, কৃষকদের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। শিল্পতেও কোনও জোয়ার আসেনি। চীন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ হাজার মানুষকে চাকরি দিতে পারে, আর এ দেশে সেই সময়ে ৫০০ জনও কাজ পান না। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার একটিও পূরণ হয়নি বলে দাবি রাহুল গান্ধীর।
আরো পড়ুন :
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মিরে ধর্মঘটের ডাক
পার্স টুডে
আজ ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মিরে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্ব। সাইয়েদ আলী শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক, জেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিকের সমন্বিত যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ওই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। একই সাথে কাশ্মিরে আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও ওই দিন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশ্মির উপত্যকাজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারিসহ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্বিঘেœ স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
হুররিয়াত কনফারেন্স কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক তদন্তদল কাশ্মিরে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে যখন কাশ্মিরি জনতার প্রকৃত অধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে। হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের পক্ষ থেকে দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে। এরই মধ্যে হিজবুল মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কাশ্মিরের ত্রালসহ বিভিন্ন এলাকায় হুমকি পোস্টার দিয়ে অভিভাবক ও স্কুল-কলেজের পরিচালকদের সন্তানদের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে না পাঠাতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, ত্রালের বিধায়ক ও পিডিপির সিনিয়র নেতা মুস্তাক আহমদ শাহ স্বাধীনতা দিবস বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গভর্নর এন এন ভোরার কাছে আবেদন তিনি যেন পুলিশকে নির্দেশ দেন যাতে গেরিলাদের পরিবারের লোকজনদের বিরক্ত না করা হয়। ওইসব পরিবারকে উত্ত্যক্ত করলে, তাদের বাসায় তল্লাশি চালালে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার পরিবর্তে আরো খারাপ হবে। এর ফলে মানুষের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হবে। পুলিশ ত্রালের বিভিন্ন জায়গায় কিছু মানুষকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে গেরিলাদের আত্মীয়স্বজন রয়েছে। মুস্তাক আহমদ বলেন, ‘আমি ত্রালের মানুষজনের প্রতিনিধি।
আমি মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। কিন্তু দুঃখের কথা হলো পুলিশ আমার কথা শুনছে না। গেরিলাদের পরিবারের লোকজনদের আটক করা, তাদের বাসায় তল্লাশি চালানো বন্ধ না হলে এলাকায় সন্ত্রাসবাদ উন্নীত হবে।’ পুলিশের পদক্ষেপে ক্ষোভ জানানোর জন্য তিনি স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছেন বলেও সাফাই দিয়েছেন বিধায়ক মুস্তাক আহমদ।
ভারতীয় বাহিনীর হামলায় ২ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত
এ দিকে কাশ্মির সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় দুই পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সোমবার রাতে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে। তানধর সেক্টরে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতনিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশের সুযোগ করে দিতে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি বর্ষণ করছিল বলে অভিযোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা