নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে মুসলিম প্রার্থীরা!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৯:২৭
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ (কোটা) বিধি না মানার অভিযোগে 'সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন'র পক্ষ থেকে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এর ফলে ওবিসি-এ (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি-এ) তালিকভুক্ত মুসলিম প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাজ্যে ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরে অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ দেয়া হয়েছিল। অতি অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে মুসলিমদের ওবিসি-এ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করে দশ শতাংশ সংরক্ষণ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের এটাই যে, নিয়োগের সর্বোচ্চ বড় জায়গাগুলো যেমন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম থেকেই তারা রাজ্য সরকারের সংরক্ষণ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলায় ওবিসি-এ তালিকাভুক্ত মুসলিমরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ওবিসি সংরক্ষণ (কোটা) নীতি অগ্রাহ্য করে চলেছে। ওবিসি-এ তালিকায় বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৬ জন এসোসিয়েট প্রফেসর পদে নিয়োগ করা হলেও ওবিসি সংরক্ষণ বিধি না মানায় একজন মুসলিম কর্মপ্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়নি।'
তার অভিযোগ, ‘কিছুদিন আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও সেখানেও সংরক্ষণ বিধির একশ’ পয়েন্ট রোস্টার মানা হয়নি।’ খুব শিগগিরি তারা এ ব্যাপারে সুবিচার চেয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলেও মুহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
হিন্দু-মুসলিম বিচার না করে আসামের ৪০ লাখ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
১৩ আগস্ট ২০১৮
এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকে নাম বাতিল করায় বিপর্যয়ের মুখে আসামের ৪০ লাখ মানুষ। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছেন সাধারণ মানুষ তাতে জাত পাত, হিন্দু মুসলিম বিচার্য নয়। বিপদগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে সর্বশ্রেণির শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের এগিয়ে আসার আহবান জানালেন এআইইউডিএফ সুপ্রিমো সাংসদ বদর উদ্দিন আজমল।
জমিয়ত উলামার উদ্দ্যোগে আয়োজিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সম্পূর্ণ খসড়া নিয়ে এক সচেতনতা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে বদরুদ্দিন আজমল এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে আজ গোটা অসমের বিভিন্ন ধর্ম, জাতি গোষ্ঠীর লোক সঙ্কটে রয়েছে। তাই এই সঙ্কটপূর্ণ সময়ে ধর্ম, জাতপাত বিচার না করে মানব জাতির সেবায় সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষিত যুবক যুবতীকে নিজ নিজ সাধ্যমত এন আর সি চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাতিলদের নাম অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন, দাবি আপত্তি ইত্যাদি ফর্ম পূরনে সহযোগিতা করার আহবান জানাচ্ছি।
জাত পাত বিচার না করে বিপদগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি ও আপত্তির ফর্ম পূরনে সহযোগিতা করতে এদিন তিনি দলীয় কর্মী সমর্থকদের ও আহবান জানান। এর জন্য প্রত্যেক গ্রামে সচেতনতা সভা ও সহায়তা শিবির খুলবে জমিয়ত ও এইউডিএফ। তিনি বলেন, রাজ্যের চল্লিশ লক্ষ নাম ছুটদের পাশে রয়েছে জমিয়ত উলামা ও এআইইউডিএফ। এনআরসি ছুটদের মধ্যে একজন ও ভারতীয়র নাম যাতে বাদ না পড়ে, সে দিকে সতর্ক নজর রাখছে জমিয়ত-ইউডিএফ।
বদরুদ্দিন আজমল এদিন সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা নাগরিকপঞ্জি নবায়ন প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্যরাত্রি পর্যন্ত আসা নাগরিকদের পাশে রয়েছে তার দল, সংগঠন। পরবর্তী সময়ে যারা এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আপাতত কোনো কিছু করার নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা