২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অমিত শাহ বললেন, বাংলাদেশী ঠেকাতেই...

ভারত
বিজেপি সভাপতির ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশ থেকে তথাকথিত অনুপ্রবেশ। - ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ে জাতীয় নিরাপত্তা নষ্ট করছে , এবং এদের ঠেকানোর জন্যই নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি’র মতো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপির এক জনসভায় মি শাহ বলেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ভোটব্যাংকের স্বার্থে ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের’ রেখে দিতে চান।

কিন্তু, তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস) বা মমতা ব্যানার্জী যতই এনআরসি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করুন, সেটা বন্ধ হবে না।’

আসামে নতুন নাগরিক তালিকা তৈরির তীব্র প্রতিবাদ করছেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এ ধরণের যে কোনো উদ্যোগ তিনি হতে দেবেন না।

কিন্তু বিজেপি সভাপতি কলকাতার জনসভায় খোলাখুলি বলেছেন, আসামের মত পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক হারে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে।

কলকাতায় বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী বলছেন, বিজেপি সভাপতির ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশ থেকে তথাকথিত অনুপ্রবেশ।

সভায় হাজির মানুষের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, "আপনারাই বলুন যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা দরকার কিনা!"

‘এই মমতা ব্যানার্জীই ২০০৫ সালে পার্লামেন্টে আওয়াজ তুলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে - বামফ্রন্ট তাদের নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে,অথচ এখন সেই তিনিই আসামে বা পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের রেখে দিতে চান - কারণ এঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক।’

এরপরে আবারও উপস্থিত জনতার কাছে তিনি বলেন, "আপনারাই বলুন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা দেশের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক কি না! পশ্চিমবঙ্গে যে সব বোমা বিস্ফোরণ হয়, সেগুলো বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা করে কি না, সেটা জনতাই বলুক।"

মি শাহ তাদের ঘোষিত হিন্দু রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যত শরণার্থী রয়েছে - হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান - তাদের কাউকে তাড়ানো হবে না - সবাইকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসি ইস্যুতে শনিবার ‘কালা দিবস’ হিসাবে পালন করেছে। তারা মিছিল-মিটিং করেছে। পোস্টারে সারা কলকাতা ছেয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাষা ছিল - বিজেপি বাঙালীবিরোধী, কারণ তারা এনআরসি’র মাধ্যমে আসাম থেকে বাঙালিদের তাড়াতে চাইছে। সূত্র : বিবিসি

আরো পড়ুন :
আসামের নাগরিক তালিকা থেকে ৪০ লাখ লোক বাদ
নয়া দিগন্ত ডেস্ক, ৩১ জুলাই ২০১৮
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম রাজ্যের বহুল আলোচিত ‘নাগরিক’ তালিকার চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ’ বা ‘এনআরসি’ নামে এ তালিকার খসড়া থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ বাসিন্দা, যাদের প্রায় সবাই ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু। তালিকা থেকে বাদ পড়ার অর্থ ওই বাসিন্দাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে ধরা হয়েছে।

সোমবার রাজ্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এই তালিকা প্রকাশ করে। ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসামে ঢোকা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে’ এই তালিকা করা হয়েছে। ১৯৫১ সালের পর প্রথমবারের মতো এই তালিকা করল বিজেপির সরকার। খবর রয়টার্স, আল জাজিরা ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজ্যের মোট তিন কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্যে এনআরসিতে নাম উঠেছে দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষের। বাদ পড়ে গেছেন অন্যরা। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত এনআরসির প্রথম তালিকায় জায়গা হয়েছিল মাত্র এক কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দার। বাদ পড়ে কয়েক পুরুষ ধরে আসামে বসবাসকারী বহু বাঙালির নাম। নতুন তালিকায়ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকার লোকদের নাম বাদ গেছে বেশি।

ভারতের প্রথম কোনো রাজ্য হিসেবে নাগরিকদের এমন কোনো তালিকা করল আসাম। রাজ্যের কর্মকর্তারা বিশেষ করে কট্টরপন্থীরা মনে করেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে বিপুল বাসিন্দা আসামে ঢুকে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন এবং রাজ্যের জনতাত্ত্বিক চিত্র বদলে দিচ্ছেন।

এই তালিকায় যাদের জায়গা হয়নি, তারা আসামিজ পরিচিতি পাবেন না। এদেরকে অনেক আগে থেকেই ‘অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী’ বিবেচনা করে আসছে রাজ্যের কট্টরপন্থী অংশ।

এআরসি সমন্বয়ক সৈলেশ বলেন, যাদের এই তালিকায় জায়গা হয়নি, তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। আগের তালিকায় থাকলেও এই তালিকায় বাদ পড়েছেন এমন ব্যক্তিরাও অভিযোগ-আপত্তি উপস্থাপন করতে পারবেন। সেজন্য এনআরসি কমিটি তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করবে। অভিযোগ-আপত্তি গ্রহণ শুরু হবে ৩০ আগস্ট, শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।

আবেদনের প্রক্রিয়া স্পষ্ট না হলেও সৈলেশ বলেন, ভারতের নাগরিকদের এতে ভীত হওয়ার কারণ নেই।

রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল এই তালিকা নিয়ে কোনো ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য দেয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তবে তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বোড়া বলেন, ৪০ লাখ লোকের বাদ পড়ে যাওয়াটা একেবারেই বিস্ময়কর। এই তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় অনেক অনিয়ম স্পষ্ট। আমরা এই তালিকার বিষয়ে বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলব।

আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই বাসিন্দাদের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের ভোটবঞ্চিত করার পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করেন রিপুন বোড়া।

এই তালিকার সমালোচনা করেছে আঞ্চলিক প্রভাবশালী দল ও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও। দলটির মুখপাত্র এসএস রায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪০ লাখ ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে এই তালিকা থেকে ছাঁটাই করেছে। এটা আসামসংলগ্ন অন্য রাজ্যগুলোতেও জটিলতা সৃষ্টি করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

তালিকা প্রকাশ ঘিরে গত সপ্তাহজুড়েই আসামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সোমবার আসাম এবং এর পাশের অঞ্চল মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে আধা-সামরিক বাহিনীর ২৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া থেকে ৪০ লাখ লোকের নাম বাদ পড়ার পর তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিবিসি।

কেন্দ্রীয় সরকার যদিও মুখে বলছে, এখনই তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তারা আপিল করার যথেষ্ট সুযোগ পাবেন- মমতা ব্যানার্জির মতো আসামের প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো অনেকেরই আশঙ্কা যে আসামে অত্যাচারের মুখে পড়ে এই লাখ লাখ মানুষ পালাতে বাধ্য হবেন।

ভারতে পর্যবেক্ষকেরাও মনে করছেন, এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা সম্ভব নয়, আর তাদের কাউকেই বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোও যাবে না। এই পরিস্থিতিতে রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোর জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে।

আসলে আসামে নাগরিক তালিকা বা এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে চল্লিশ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ল, তারা স্বাধীন ভারতে এখন কিভাবে থাকবেন তার কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই।

পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তাদের শুধু এটুকু আশ্বাস দিয়েছেন, এখনই অত ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কেউ কেউ অযথা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছেন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই ভয়ের কোনো কারণ নেই!’

‘কেউ যদি ঠিকমতো কাগজপত্র না দিতে পারেন তারা আবার সেই সুযোগ পাবেন, এমন কী চূড়ান্ত তালিকাতে নাম না থাকলেও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন। আর এর মাঝে তাদের ভয়ভীতি দেখানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

আসাম লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, যার দল গতকাল এই ইস্যুতে পার্লামেন্টও অচল করে দেয়, তিনি কিন্তু আশঙ্কা করছেন, আসাম থেকে এবার এই মানুষগুলোকে বিতাড়নের চেষ্টা হবে।

কলকাতায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘তাদের ওপর যে কী অত্যাচার চলবে, আর কী হবে আমরা জানি না। কিন্তু সেটা ভেবেই আমরা খুব বিচলিত। আসলে দেশে থেকে যারা আজ দেশেই রিফিউজি হয়ে গেল, তারা তো আমাদেরই ভাইবোন, তাই আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’

‘এটা আসলে বাঙালি খেদাও চলছে। আর শুধু বাংলাভাষীরাই বা কেন, বিহারি খেদাও-ও চলছে। আর এতে সবচেয়ে বিপদে পড়বে বাংলাদেশও। কারণ পুশব্যাক যদি করতে চায় আর বাংলাদেশ তাদের নিতে না চায়, তাহলে এই লোকগুলো যাবে কোথায়?’

মিস ব্যানার্জি তার সঙ্গে আরো যোগ করেছেন, ‘এত বড় একটা জিনিস করার আগে সরকার কি একবারও ভেবেছে এই চল্লিশ লাখ লোক কোথায় যাবে?’

সরকার যে আসলেই খুব একটা কিছু ভাবেনি, মোটামুটি সেই একই ধারণা পোষণ করেন দিল্লির ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের ফেলো পুষ্পিতা দাসও।

ড: দাস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘এখনো অবধি সরকারি নীতি খুবই অস্পষ্ট- আমরা বিশেষ কিছু জানি না, এমন কি সরকার কী করবে নিজেও জানে কি না সন্দেহ! তাদের প্রস্তুতি বলতে এটুকুই যে এই লোকগুলোকে হয়তো ডিটেনশন সেন্টারে আটক করা হবে।’

‘কিন্তু মুশকিল হলো এত লাখ লাভ লোককে সেন্টারে আটক রাখা সম্ভবই নয়। কেন্দ্র যদিও মুখে বলে যাচ্ছে আমরা ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে আসামকে টাকা দিয়েছি, রাজ্য সরকার বানাবে ইত্যাদি ইত্যাদি - কিন্তু বাস্তবতা হলো এত বিপুলসংখ্যক লোককে আপনি কিভাবে সেন্টারগুলোতে রাখবেন?’

আসামে যারা এনআরসি তালিকাভুক্ত হতে পারছেন না, তাদের সাধারণভাবে অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বাংলাদেশে তাদের ফেরত পাঠানোর যে কোনো সম্ভাবনাই নেই, সেটাও স্পষ্ট করে দিচ্ছেন ড: দাস।

‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বলে দিয়েছে এরা তাদের লোক নয়, তারা নিতেও পারবেন না। অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে ভারত সরকারও বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে এনআরসি নিয়ে তারা এমন কিছু করবে না যাতে বাংলাদেশের সমস্যা হয়। ফলে আমরা ডিপোর্ট করতে পারব না- এটাই পরিষ্কার কথা!’ বলেন তিনি।

‘সুতরাং আমার মনে হয় খুব সম্ভবত প্রথমে তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তারপর ধীরে ধীরে যেভাবে ন্যাচারালাইজেশনের মাধ্যমে পরে নাগরিকত্ব দেয়া হয় এদের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে। দশ-বারো বছর হয়তো সময় লাগবে, কিন্তু পরে এরা অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমা পেয়ে ভারতের নাগরিক হয়ে যাবেন।’

‘আবার এটাও হতে পারে যে তাদের ধীরে ধীরে আসাম থেকে সরিয়ে অন্য সব রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হলো, যাতে এই সমস্যার চাপটা একা আসামকে সামলাতে না হয়,’ বলছিলেন দিল্লির নামী থিঙ্ক ট্যাঙ্কের গবেষক পুষ্পিতা দাস। তবে এগুলো সবই সম্ভাবনা মাত্র, আর তার বাস্তবায়নে অনেক সময়ও লাগবে।

কিন্তু এই মুহূর্তে আসামে যাতে কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে না পড়ে, রাজ্যসরকারের প্রধান দুশ্চিন্তা সেটাই।

মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল তালিকা প্রকাশের পরপরই জানান, আসাম তার শান্তি ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য এখনো বজায় রাখবে বলেই তিনি আশাবাদী।

‘পরবর্তী পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাই আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব। তারা যেভাবে যেভাবে বলবে, আমরাও সেই অনুযায়ী চলব,’ বলেছেন তিনি।

আসামে এনআরসি তৈরির উদ্যোগ যে তাদের নয় বরং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই, কেন্দ্রের ও আসামের বিজেপি সরকার সে কথা বারেবারেই বলেছে।

তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষদের নিয়ে কী করা হবে, সে ব্যাপারেও যে তারা এখন শীর্ষ আদালতের কাঁধেই বন্দুক রাখতে চাইছেন সেটা পরিষ্কার।


আরো সংবাদ



premium cement