২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবার বিয়ে করলেন ইমরান-পত্নীর প্রথম স্বামী

আবার বিয়ে করলেন ইমরান-পত্নীর প্রথম স্বামী - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বর্তমান স্ত্রী বুশরা বেগমের প্রথম স্বামী খাওয়ার ফরিদ মনেকা আবার বিয়ে করেছেন। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। ফরিদ-বুশরা বিচ্ছেদের পর প্রায় ১০ মাস আগে ইমরান খান তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বুশরাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি এখন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন। ফরিদের ঘনিষ্ঠজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, খাওয়ার ফরিদ মনেকা বিয়ে করেছেন সামিরা আগাকে।
উল্লেখ্য ইমরান খানের প্রথম দুই স্ত্রী ছিলেন যথাক্রমে জেমিমা গোল্ড স্মিথ ও রেহাম খান। উভয়ের সাথে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন :

স্বপ্ন দেখেছিলেন ইমরানকেই বিয়ে করবেন বুশরা?
ইমরান খান ১৯৯৫ সালে যখন প্রথম বিয়ে করেছিলেন, তখন তিনিও সম্ভবত কল্পনা করেননি, তিনি একদিন রাজনীতিতে আসবেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে জেমিমা খান তার স্ত্রী থাকা অবস্থাতেই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। ব্রিটিশ ধনকুবের ইহুদি পরিবারের জেমিমার সাথেরূপকথার ওই বিয়েটা স্থায়ী হয়নি। ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি বিয়ে করলেন রেহাম খানকে। এই বিয়েটাও টিকল না। এ বিয়ে টেকে মাত্র ১০ মাস।

তার মতো একজন লোকের জীবনে এমন ঘটনা সহজে মেনে নেয়ার মতো নয়। সবাই যখন হতাশ, তখনই তার জীবনে এলেন বুশরা মনেকা। প্রথমে গুজব আকারেই খবরটি প্রকাশিত হয়। তখন ইমরানের জীবনে হতাশা গ্রাস করতে বসেছে। নওয়াজ শরিফের দোর্দণ্ড প্রতাপ। পরের নির্বাচনেই তাকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে তা কেউ যেন ভাবতেও পারছিল না। 
তখনই এলো ওই বিয়ের খবর। আগের মতো তেমন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এই বিয়েটি হয়নি। পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ লোকজনই তাতে অংশ নিয়েছিল। লাহোরে বুশরার ভাইয়ের বাসায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।


আর বিয়ের পর এক বছরও লাগেনি। ভাগ্যের চাকা দ্রুত বদলে গেল। ইমরান খান এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল তার পিটিআই এবার সর্বাধিক আসন পাবেন। নাও পেতে পারেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল, তিনি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আসন পেয়েছেন।

এর পেছনে কি বুশরার কোনো অবদান আছে? এই স্ত্রী কি ইমরানের জন্য রহমত হিসেবে এসেছে?

কে এই বুশরা
ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মেনকা দেশটির পাকপাত্তান এলাকার একটি পীর পরিবারের মেয়ে। বুশরা নিজেই পীর হিসেবে পরিচিত। ইমরান তার দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের কয়েক দিন পর এই বিয়ে হয়। আগের স্বামীর ঔরশে তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েরা সবাই বিবাহিতা। তার তিন ছেলেন নাম যথাক্রমে ইব্রাহিম মনেকা, মেহরু মনেকা ও মুসা মনেকা। ছেলেরা বিদেশে পড়াশোনা করেন। বুশরার বয়স ৪০-এর মতো। 
তার প্রথম স্বামী কাস্টমস কর্মকর্তা। নাম খাওয়ার ফরিদ মানেকা। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অবশ্য সুনামের অধিকারী নন। তিনি অনৈতিক লেনদেনের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। 
সম্ভবত এ কারণেই বুশরার সাথে তার বনিবনা হচ্ছিল না।

ইমরান খান বছরখানেক আগে থেকে বুশরার বাসায় যাতায়াত শুরু করেছিলেন। তার কাছ থেকে আধ্যাত্মিক পরামর্শই ছিল কাম্য। ধীরে ধীরে তারা একে অপরের প্রতি মোহিত হন।
ডেইলি টাইমস নামের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, 'বুশরা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ইমরান খানের সাথে তার বিয়ে হবে।' আর এর পরই তিনি তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন। ওই স্বামী তাকে ছাড়তে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু বুশরা ছিলেন অনড়।
ওই সিদ্ধান্তের ফলেই পাকিস্তানের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হলো?


আরো সংবাদ



premium cement