১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাকরি হারাচ্ছেন পাকিস্তানি জেনারেল?

জেনারেল রাহিল শরিফ - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ ও সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুজা পাশা কীভাবে বিদেশে চাকরি করছেন সে বিষয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট।

প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ বুধবার জানতে চান- সাবেক এসব শীর্ষ পর্যয়ের কর্মকর্তা বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়েছেন কিনা।

আদালত বলেছে, আইন অনুসারে বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অনুমতি নেয়া বাধ্যমূলক। এছাড়া, চাকরি ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে নতুন কোনো চাকরি গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব আদালতকে জনিয়েছেন যেপাকিস্তান সামরিক দ্বৈতনাগরিকত্বের অস্তিস্ত নেই। তবে সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজনের স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

জেনারেল রাহিল শরিফ বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং তিনি সৌদি নেতৃত্বাধীন মুসলিম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি না নিয়ে থাকেন, তবে তার চাকরিটি চলে যেতে পারে।

আরো পড়ুন :

ইমরান খানের সামনে কঠিন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ
রয়টার্স

পাকিস্তানের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে পিটিআইয়ের ইমরান খানের বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে ইকুইটি ও বন্ড মার্কেট। তবে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ ক্রিকেটারের সামনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ অপো করছে। চলমান মুদ্রা সঙ্কট ও আর্থিক অচলাবস্থা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পদপে গ্রহণ জরুরি হিসেবে দেখা দেবে ইমরান সরকারের কাছে। 

ইমরানকে প্রথম যে বড় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে তা হলো, রুপির ওপর চাপ কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বেইলআউটের আবেদন করা হবে কি হবে না। আশির দশকের পর এ নিয়ে ১২ বার আইএমএফের সহযোগিতায় বেইলআউট নিয়েছে পাকিস্তান।

দেশটির মানুষকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা হবে খানের সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি তহবিল ফুরিয়ে ফেলা ভর্তুকি উদ্যোগ ও লোকসানি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বন্ধ করতেও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকার।
স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজ শাজার ক্যাপিটালের হেড অব রিসার্চ সুলায়মান মানিয়া বলেন, ‘দেশের অবস্থা বর্তমানে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, দীর্ঘ দিন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস কুয়ো) টিকিয়ে রাখা যাবে না।’ খুব দ্রুতই কার্যকর পদপে গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

গত ডিসেম্বরের পর রুপির চারবার অবমূল্যায়ন করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (এসবিপি)। প্রায় ৩০ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের অর্থনীতির লেনদেন ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্টস) সঙ্কট ঠেকাতে রুপির মান ২০ শতাংশেরও বেশি অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যদিও ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে দেশটির অর্থনীতি সম্প্রসারিত হচ্ছে, তবে পাকিস্তানের চলতি হিসাবে চাপ কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। 

এ ছাড়া বৈশ্বিক তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন এসবিপি। কারণ দেশটি মোট তেলের ৮০ শতাংশই আমদানি করে। এ বিশাল আমদানি প্রয়োজন মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ে, যা গত সপ্তাহে ৯০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ২০১৭ সালের মে মাসে যেখানে বৈদেশিক মুদ্র্রার রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৬৪০ কোটি ডলার। ৩০ জুন শেষ হওয়া সর্বশেষ অর্থবছরে পাকিস্তানের চলতি হিসাবে ঘাটতি ৪৩ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং রাজস্ব ঘাটতি গিয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতির ৬ দশমিক ৮০ শতাংশে।

বৃহস্পতিবার বিজয়ী বক্তৃতায় নিজের সংস্কার এজেন্ডার দিকে ইঙ্গিত করে পিটিআই প্রধান বলেন, ‘ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।’ ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের অকার্যকর প্রতিষ্ঠানের কারণে অর্থনীতি নি¤œœমুখী হচ্ছে। আমাদের এ সরকার ব্যবস্থাপনা (গভর্ন্যান্স) ঠিকঠাক করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement