১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাহুলকে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

রাহুলকে নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায় - ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় পার্লামেন্ট তথা লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর জড়িয়ে ধরার ঘটনায় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দাতেও দিনভর সম্প্রচারিত হয়েছে একই দৃশ্য। এরপর নিজের সিটে ফিরে রাহুলের চোখ মারার দৃশ্যও টিভির কারণে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতে।

নানারকম হ্যাশট্যাগে (যেমন পাপ্পুকীঝাপ্পি, হাগপ্লোম্যাসি) এই ঘটনা নিয়েই ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই রাহুলের এই আচরণের সঙ্গে বলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘মুন্নাভাই’-এর মিল খুঁজে পেয়েছেন। বলা হয়েছে, সিনেমার মুন্নাভাইয়ের মতোই এক্ষেত্রে গান্ধীগিরি করেছেন রাহুল। হরসিমরত বাদল ট্যুইট করেছিলেন, পার্লামেন্ট মুন্না ভাইয়ের পাপ্পি-ঝাপ্পির জায়গা নয়। পরের মুহূর্তেই জবাব এলো, নরেন্দ্র মোদি রাহুল গান্ধীর থেকে নিজের জড়িয়ে ধরার অভ্যাসের স্বাদ পেলেন। অঙ্কুর সিং সঙ্গে সঙ্গে লিখলেন, ‘এমনকী, তার চেয়েও বিশ্রী আলিঙ্গন (হাগ)।’ সীতাংশু শুক্লা যোগ করলেন, ‘পাপ্পু মুন্না ভাই হয়ে গেলেন।’ অনাস্থা ভোটের পক্ষে ভাষণ শেষ করে আচমকাই রাহুল মোদিকে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকেই গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে রাহুলকে কাছে ডেকে পিঠ চাপড়ে দেন তিনি। অনেকের মতে এটি হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জোর করে আলিঙ্গনের ঘটনা। প্রিয়াঙ্কা বনসাল যেমন ট্যুইট করেছেন, ‘সম্ভবত এটি হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জোর করে আলিঙ্গনের ঘটনা। মিস্টার গান্ধী, আপনি কি আগাম অনুমতি নিয়েছিলেন?’

অন্যদিকে, আলিঙ্গন পর্বের পর নিজের আসনে বসে পাশের সতীর্থের দিকে তাকিয়ে রাহুল গান্ধীর চোখ মারার ঘটনাকে নিয়েও পুরোদস্তুর আলোড়ন পড়ে গেছে। তুলনা টানা হয়েছে জনপ্রিয় মালয়ালম তারকা প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ারের সঙ্গে। ‘মানিকিয়া মালারয়া পুভি’ গানের মধ্যে প্রিয়ার ভুঁরু নাচিয়ে চোখ মারার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।

শুক্রবার বিপিন বিজয়ন ট্যুইট করেছেন, ‘আলিঙ্গনের পর রাহুল গান্ধীর প্রিয়া ভারিয়ার মোমেন্ট।’ সঙ্গে সঙ্গে হর্ষ সিঙ্ঘাভির টিপ্পনি, ‘পাপ্পু ইজ লার্নিং ফ্রম প্রিয়া।’ আর একজন লিখলেন, ‘ঘুরে দাঁড়াও প্রিয়া, রাহুল গান্ধী তোমাকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু সিরিয়াস বিষয় হলো যে, পাপ্পু ও কংগ্রেস পার্লামেন্টকে কোথায় নামিয়ে আনল! খেলো আচরণ, ভুয়ো ঝাপ্পি, ধূর্ত চোখ মারা!’

অনাস্থা ভোটে মোদির জয়

বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে বিপুল কণ্ঠভোটে জয় হলো নরেন্দ্র মোদি সরকারের। সরকারের পে ৩২৫ জন সংসদ সদস্য আস্থা প্রকাশ করেন। অন্য দিকে, অনাস্থা জানান ১২৬ জন সংসদ সদস্য। আনন্দবাজার পত্রিকা। 

গতকাল শুক্রবার প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলা অধিবেশনের পর লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন কণ্ঠভোটের আহ্বান জানান। সেই ভোটাভুটিতে জয় হয় এনডিএ সরকারের। সরকারের এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল। তবে বিরোধীরা কতটা জোটবদ্ধ ছিল তা বুঝে নেয়ার পরীাই যেন ছিল এই অনাস্থা প্রস্তাব। বিরোধী শক্তি যে এখনো ততটা মজবুত নয়, তা স্পষ্ট হলো। অন্য দিকে, অধিবেশনে এনডিএ সরকারের পাশে শিবসেনা এবং বিজেডি সংসদ সদস্যদের পাওয়া না গেলেও বিপুল ভোটে জয় হয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের।


আরো সংবাদ



premium cement