ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান-ইরান সামরিক সম্পর্ক
- ডন ও পার্স টুডে
- ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৫:০৯
পাকিস্তান ও ইরান উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরো গভীর করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরির পাকিস্তান সফরে এই প্রতিশ্রুতির বিষয়ে সম্মত হয় দুই দেশ।
ইরানের সেনাপ্রধান তিন দিনের পাকিস্তান সফরে রয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক বিরল থাকার কারণে এই সফর বেশ গুরুত্ব বহন করছে। সন্দেহ আর অবিশ্বাস উভয় দেশকে দূরে রেখেছে এতদিন। তিন দিনের সফরে ইরানি সেনাপ্রধান পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ হোসাইন হারুনের সাথে বৈঠক করেন। পরে তিনি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়ার সাথে মিলিত হন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেনারেল বাজওয়া বৈঠকে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এই সহযোগিতা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে।
সোমবার রাতে মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে পাকিস্তানের সাথে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। সাক্ষাতে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাথে যৌথভাবে সমরাস্ত্র নির্মাণ করে আমরা সেসব অস্ত্রকে ‘যৌথ ইসলামি পণ্য’ হিসেবে অভিহিত করতে চাই। সাক্ষাতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতসহ সব ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ ও তেহরানের মধ্য সহযোগিতা শক্তিশালী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মামনুন হোসাইন। তিনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যকার প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের কথা উল্লেখ করে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন :
সৌদি আরবে প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গ্রেফতার
মিডল ইস্ট মনিটর
সৌদি আরবের একজন প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি বইতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কথা উল্লেখ করে তার সমালোচনা করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেখ সাফার আল হাওয়ালি নামে ওই প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতার সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তিন ছেলে ও ভাইকে। তিনি কয়েক দশক আগে থেকেই মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিষয়ে সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনায় আন্দোলনরত গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত।
সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, আল হাওয়ালির ধর্মীয় বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি আছে। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে সংগঠিত ‘সাহওয়া আন্দোলনের’ তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আল হাওয়ালি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের উপস্থিতির ঘোরতর বিরোধীদের একজন। সৌদি আরবের সরকার নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে তাকে কারাদণ্ড দিয়েছিল। সে সময় আল হাওয়ালি ও তার অনুসারীরা সৌদি আরবে মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সাহওয়া আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মুসলিম ব্রাদারহুডের ঘনিষ্ঠ।
৬৮ বছর বয়সী শেইখ আল হাওয়ালির লিখিত মুসলিম ও পশ্চিমা সভ্যতা নামের একটি বই কিছু দিন আগে প্রকাশিত হয়েছে। বইতে তিনি সৌদি আরবের রাজপরিবারের সমালোচনা করেছেন। তার সমালোচনার শিকার হয়েছেন আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদও। আল হাওয়ালি তার তিন হাজার পৃষ্ঠার বইতে লিখেছেন, সৌদি রাজপরিবার ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্পে অর্থ খরচ করছে। ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠতাকে তিনি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যা দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা