২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নওয়াজ-মরিয়মের সাথে ‘অশোভন আচরণ’ কর্মকর্তাদের

দেশে ফেরার আগে লন্ডনে নওয়াজ শরিফ ও মরিয়ম নওয়াজ - ছবি : এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আদালতের রায়ে কারাদণ্ড পাওয়ার পর দেশে ফিরে আসলে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয় তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে। তবে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে দেশটির তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যা যে আচরণ করেছে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

পাকিস্তানের দ্য নিউজ অনলাইন জানিয়েছে, বিমানবন্দরে নামার পর নওয়াজ ও মরিয়ামের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তা চরম অপ্রত্যাশিত, এমনকি সাধারণ নিরাপত্তারক্ষীদের আচরণও ছিলো কঠোর। চার্টাড বিমানে দেশে অবতরণ করার পরই তাদের এই নির্দেশ শুনতে হয়েছে ‘এখানেই থাকুন, নড়বেন না’। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বেশ কয়েকটি ক্যামেরা কাছ থেকে তাদের ছবি তুলেছে অনেকক্ষণ ধরে, যেটিও ছিলো অপ্রত্যাশিত। মরিয়ম নওয়াজ সেটি দেখে জানতে চান, মিডিয়া কিভাবে এখানে এলো? পরে তিনি জানতে পারেন যে, এই সব ক্যামেরাম্যানদের কেউ সাংবাদিক নয়।

গ্রেফতারের পর দুটি পৃথক গাড়িতে বাপ ও কন্যাকে তোলা হয়। নওয়াজ শরিফ এর প্রতিবাদ করে মরিয়মকে তার সাথে একই গাড়িতে তোলার জন্য বলেন; কিন্তু তার সে অনুরোধ রাখা হয়নি। তাকে বলা হয়, ‘এটি একটি যথাযথ ব্যবস্থা,তবে আপনাদের একই জায়গায় নেয়া হবে’। জাতীয় জবাবদিহীতা ব্যুরোর কর্মকর্তারা তাদের বহন করার জন্য গাড়ি আনলেও তার বদলে তাদের তোলা হয় দুটি এসইউভি জিপে। তবে সবচেয়ে আতঙ্কের সময়টি আসে, যখন নওয়াজ শরিফ জানতে পারেন যে, তার মেয়েকে শিহালা রেস্ট হাউজে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদের চিফ কমিশনার। নওয়াজ জোর দিয়ে বলেন, যে তার মেয়েকে তার সাথেই আদিয়ালা জেলে রাখা হোক; কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে শিহালা রেস্ট হাউজে নেয়ার সিদ্ধান্তেই অটল থাকে। তবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তোলার পর সিদ্ধান্ত পাল্টায় তারা।

তবে নওয়াজ শরিফের সাথে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের অশোভন আচরণ এখানেই শেষ হয়নি। গাড়িতে নওয়াজ শরিফের দুই বাসে বসেন মোটা শরীরের দুই কর্মকর্তা। ছোট্ট গাড়িতে তাদের চাপে পিষ্ট নওয়াজ জানালার পাশে বসতে চাইলেও নিরাপত্তার অজুহাতে তা করা হয়নি। ৬৮ বছর বয়সী একজন মানুষের পক্ষে এভাবে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আদিয়ালা জেল পর্যন্ত যাওয়া সহজ কথা নয়। পথে একবার কন্যা মরিয়মের সাথে কথা বলার অনুমতি চেয়েছিলেন নওয়াজ সেটাও দেয়া হয়নি।

এরপর কারাগারে পৌছার আগে আরো দুবার তিনি এই অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত একজন অফিসারকে মেয়ের সাথে দেখা হবে এই মর্মে অঙ্গীকার করতে বলেন নওয়াজ শরিফ। শেষ পর্যন্ত দুজনের যেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় সেখানেই মেয়ের সাথে কথা বলতে পেরেছিলেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, পৃথক গাড়িতে তোলার পর মরিয়মকে বিচলিত মনে হলেও, বাবার সাথে দেখা হওয়ার সময় তার মুখে ছিলো এক চিলতে হাসি।

অন্যদিকে লন্ডন থেকে আবুধাবি বিমান বন্দরে আসার পর সেখানে তারা পেয়েছিলেন ভিআইপি প্রোটোকল। বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জেই তারা অবস্থান করেন দেশে ফেরার বিমানে চড়ার আগ পর্যন্ত।

আরো পড়ুন : 

পাকিস্তানকে ৮টি সাবমেরিন দিচ্ছে চীন, প্রচণ্ড চাপে ভারত
পাকিস্তানের সাথে সবসময়ই ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে চলে চীন। এবার ফের পাকিস্তানকে সামরিক দিক থেকে আরো শক্তিশালী করার দিকে নজর দিল তারা। জানা গেছে, পাকিস্তানের জন্য চীনে আটটি সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে। এই সাবমেরিনগুলো পাকিস্তানের হাতে চলে গেলে সমস্যায় পড়ে যাবে ভারতীয় নৌবাহিনী।

ভারতীয় মিডিয়া সূত্রের খবর, প্রজেক্ট হাঙ্গুরের আওতায় সাবমেরিন তৈরি করছে চীন। খুব শিগগিরই সেগুলো পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়া হবে। ভারতের এখন পর্যন্ত ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে। আর পাকিস্তানের সাবমেরিন সংখ্যা ১০। নতুন এই সাবমেরিনগুলো পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে গেলে তাদের সাবমেরিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া চীনের তৈরি নতুন এই সাবমেরিনগুলো পানির নিচেও যুদ্ধ করতে সক্ষম।


সাবমেরিন পাওয়ার ফলে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হয়, এই পদক্ষেপটি তখনই নেয়া হলো, যখন চীন দু’টি রিমোট স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। এর সাহায্যে মহাকাশ থেকে ভারতের উপর নজরদারি চালাবে চীন। আর সাবমেরিনের সাহায্যে পাকিস্তান নজর রাখবে ভারতের উপর। পাকিস্তানের গদরে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না আসে, সেই কারণেই এই দুই দেশ এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্যাটেলাইট PRSS-1 ও PakTES-1A উত্তর পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে ছাড়া হয়েছে। লং মার্চ 2C রকেট থেকে এই স্যাটেলাইট দু’টি ছাড়া হয়। PRSS-1 হলো প্রথম রিমোট স্যাটেলাইট যেটি পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয় চীন। চায়না অ্যাকাডেমি অফ স্পেস টেকনোলজির তৈরি করা ১৭তম স্যাটেলাইট এটি। বলা হচ্ছে, এই স্যাটেলাইটটি সার্ভে, জাতীয় বিপর্যয় পর্যবেক্ষণ, কৃষির গবেষণা, শহরের উন্নয়নের মতো কাজে ব্যবহার করা হবে। সবটাই হবে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর বেল্টের মধ্যে।

খবরে বলা হয়, চীনের এই সাবমেরিন প্রদানের মধ্যে শুধু চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর স্বার্থ নেই। ভারতীয় প্রতিরক্ষাকে সাঁড়াশি চাপে রাখতে চাইছে চীন। সেই কারণেই একে একে স্যাটেলাইট ও সাবমেরিনের সাহায্যে সাগর ও আকাশ থেকে ভারতীয় ভূখন্ডে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা পাকা করতে চাইছে তারা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে? গাজায় রিজার্ভ ব্রিগেড মোতায়েন ইসরাইলের

সকল