২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১৮ বছর হওয়ার পরদিনই মেরে ফেলা হলো মেয়েটিকে

ভারত
নিহত চন্দ্রিকা - ছবি : এনডিটিভি

আগের দিনই ১৮ বছর পূর্ণ হলো মেয়েটির। কেক কেটে জন্মদিনও পালন করা হয়। শনিবার বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে ফার্মেসি বিষয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট মেয়েটি যখন বাড়ি ফিরেছিল, তখন সে ছিল খুবই উচ্ছ্বল। কিন্তু তার এই উচ্ছ্বলতা হারিয়ে যায় সারা জীবনের জন্য। অভিযোগ তারই বাবা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এনডিটিভির খবরে প্রকাশ, ঘটনাটি ভারতের অন্ধ প্রদেশের কৃষ্ণ জেলার ছান্দারলাপাডোর এক গ্রামের। চন্দ্রিকা নামে এ মেয়েটি বাবা-মা ও ছোট বোনের সাথে বসবাস করতো।

জন্মদিন পালনের পরদিনই তার বাবা তাকে মোবাইল ফোনে কোনো একজনের সাথে কথা বলতে দেখেন। তিনি গোপনে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারেন তার মেয়ে কোনো একজন ছেলের সাথে কথা বলছে। আর এ থেকে তিনি ধারণা করেন যে, তার মেয়ে কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে।

বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি বাবা কোট্টাইয়াহ। তিনি কুঠারের হাতল দিয়ে মেয়ে চন্দ্রিকার মাথায় আঘাত করেন। এতে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং মারা যায়।

পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ধারণা করছে ওই ছাত্রীটি পরিণত বয়সের হওয়ার পর ছেলেটির সাথে তার সম্পর্কের ব্যাপারে পরিবারের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেছিল। বিষয়টি তার বাবা মেনে নিতে পারেননি।

এদিকে, গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, মেয়েটি দ্বারা পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে এ দুশ্চিন্তা থেকেই তার বাবা এ ঘটনা ঘটাতে পারেন।

আরো পড়ুন :
যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে আপত্তি? ঘুমন্ত বোনকে গুলি করে ‘খুন’ ভাইয়ের
ফের রাজ্যে ‘অনার কিলিং’-এর ছায়া! ঘুমন্ত বোনকে খুনের অভিযোগ উঠলো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির রিষরায় শ্রীকৃষ্ণনগরে নিজের বাড়িতেই খুন হন নীতু সিংহ।

পুলিশ সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার ভোরে নিজের ঘরে তখন ঘুমোচ্ছিলেন বছর চব্বিশের এই তরুণী। সেইসময় তার ভাই অমিত এসে খুব কাছ থেকে নীতুর মাথায় গুলি করে!

ডান দিক দিয়ে ঢুকে নীতুর মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় বুলেট! গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন নীতুর বাবা। অভিযোগ, বোনকে গুলি করার পর বাবাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যান অমিত।

মৃত তরুণীর বাবা বলেছেন, ছেলেকে ঘর থেকে পালিয়ে যেতে দেখি, কে খুন করেছে বলতে পারছি না।

দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও গুলিবিদ্ধ তরুণীকে বাঁচানো যায়নি।

কিন্তু কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? পুলিশ সূত্রে দাবি, পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নীতুর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিজনদের। ভাই ও বাড়ির অন্যদের সঙ্গে এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হতো।

তাহলে কি, পরিবারের সম্মানরক্ষার অজুহাতেই নিজের বোনকে খুন করল ভাই? আত্মীয়দের কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মৃত তরুণীর বাবার ছেলের প্রতি আক্ষেপ- ও এরকম করবে ভাবিনি। আমার পরিবার শেষ হয়ে গেল।

মৃত তরুণীর চাচাও বলেছেন, শোনা যাচ্ছে, ভাই নাকি গুলি চালিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রথমে মৃত তরুণীর বাবা থানায় গিয়ে বলেন, খুন করেছে তার ছেলে অমিত। যদিও লিখিত অভিযোগে কারো নাম দেননি তিনি।

ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত ভাই! পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত ট্রেন ধরে কোথাও পালিয়ে গিয়েছে অমিত।

তিনি কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করলেন, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। - এবিপি আনন্দ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মুহাম্মদবাজারে ‘অনার কিলিং’-এর ছায়া? ২ বোন খুনে মামা গ্রেফতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মুহাম্মদবাজারে দুই বোনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুনের ঘটনায় ‘অনার কিলিং’-এর ছায়া! অভিযোগ, ভিন জাতির ছেলের সঙ্গে বড় ভাগ্নির সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই, তাকে কুপিয়ে খুন করে মামা! দেখে ফেলায় একই পরিণতি হয় ছোট ভাগ্নিরও!

পুলিশ সূত্রে খবর, গোড়া থেকেই তাদের সন্দেহের তালিকায় ছিল মামা রামপ্রসাদ সাহা। শনিবার সিউড়ি হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। শুরু হয় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের দাবি, জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে রামপ্রসাদ। এরপর সে যা বলে তাতে চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন বিকেলে বোনের বাড়ি যায় রামপ্রসাদ।

বড় ভাগ্নি সুস্মিতাকে প্রশ্ন করে, ‘কেন ভিন জাতির ছেলের সঙ্গে প্রেম করছে সে?’ পুলিশের দাবি, পাল্টা মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুস্মিতা। উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয় মামা-ভাগ্নির মধ্যে। অভিযোগ, এরপরই বঁটি নিয়ে ভাগ্নির গলায় কোপ বসিয়ে দেয় মামা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সুস্মিতা। ঘটনাটি দেখে ফেলায় রামপ্রসাদ ছোট ভাগ্নিকেও একইভাবে খুন করে বলে অভিযোগ।

অন্য জাতের ছেলের সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক যে রামপ্রসাদের মোটেও পছন্দ ছিল না, সে কথা জানতেন পরিচিতরাও। এমনকী, ছেলেটির বাড়ি গিয়ে নাকি হুমকিও দিয়েছিল সে!

এই আধুনিক যুগে, এমন সামান্য কারণেও যে কেউ মিজের ভাগ্মীকে খুন করতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না সুস্মিতার প্রেমিক। সে জানায়, ছোট থেকেই প্রেম। মায়ের সম্পর্ক নিয়ে বিরক্ত ছিল। সামান্য কারণের জন্যও খুন ভাবতে পারছে না। যদিও, অভিযুক্তর স্ত্রীর অবশ্য দাবি, তার স্বামী এমন কাজ করতেই পারে না! তিনি বলেন, ভাগ্নিদের খুব ভালবাসত। বিশ্বাস করি না।

আপাতত মামার ঠিকানা গরাদের ওপারে। তাকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে সিউড়ি আদালত। কিন্তু, একজন মামা কীভাবে তার ভাগ্নীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে, অনেকেই ভেবে উঠতে পারছেন না। - এবিপি আনন্দ, ২০ জুন, ২০১৬


আরো সংবাদ



premium cement