২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো আলোচনায় মোদির সংসার : এবার যা বললেন স্ত্রী যশোদাবেন

মোদি
ভাই অশোক মোদীর মোবাইল ফোনে এই বিবৃতিটি রেকর্ডিং করেছেন যশোদাবেন। - ছবি: সংগৃহীত

ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবাহিত জীবন। প্রধানমন্ত্রী অবিবাহিত বলে এর আগে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন আনন্দিবেন প্যাটেল।

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেন। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আনন্দিবেন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন নরেন্দ্র মোদি অবিবাহিত। তার এই মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের হলফনামায় নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং তার বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন এবং স্ত্রী হিসেবে তিনি আমার নাম উল্লেখ করেছিলেন।’

যশোদাবেন আরো বলেন, ‘একজন শিক্ষিকা সম্পর্কে একজন শিক্ষিত মহিলার (আনন্দিবেন) এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। শুধু তাই নয়, আনন্দিবেনের এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করেছে। উনি আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। আমার কাছে উনি রাম।’

জানা গেছে, ভাই অশোক মোদীর মোবাইল ফোনে এই বিবৃতিটি রেকর্ডিং করেছেন যশোদাবেন। সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস

আরো পড়ুন :
ইফতার মাহফিলে মোদিপত্নী যশোদাবেন, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
নুড়ি, পাথর, কেয়ারি করা ঘাসে সাজানো দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। সেখানে হেঁটে, দৌড়ে শরীরচর্চা করেন নরেন্দ্র মোদি। ওই বাসভবনে ঠাঁই নেই পরিবারের কারো। রমজান মাসে কোনো ইফতারেও যান না মোদি।

ওই বাসভবন থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে গুজরাটের অতি সাদামাটা একটা বাড়ির বাসিন্দা আবার অন্য রকম। তিনি কিন্তু ইফতারে যান। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী, যশোদাবেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজস্থান থেকে গুজরাটে ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন যশোদাবেন। তার পর থেকে তাকে সেভাবে দেখা যায়নি। দেখা গেল গত ১৩ জুন আহমদবাদের এক ইফতার মাহফিলে। আহমদাবাদের রিলিফ রোডে আয়োজিত এক ইফতারে গুজরাটি শৈলীতে পরা সবুজ রংয়ের শাড়িতে দেখা মিলেছে যশোদাবেনের। সেখানে অনেককে রোজা ভাঙতেও সাহায্য করছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী।

বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু গুঞ্জন। অস্বস্তির মুখে গেরুয়া শিবিরের মুখে কুলুপ। ঘটনাচক্রে বুধবারই দিল্লিতে মোদি সরকারের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি তালাকের শিকার নারীদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে মোদির আন্তরিকতা বোঝাতেই ওই আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নিজে না গেলেও রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি, প্রকাশ জাভড়েকররা গিয়েছিলেন সেখানে। তথা ইফতারে।

কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুল গান্ধীর ইফতার থেকে নজর ঘোরাতেই নকভির ইফতার। রাহুল ইফতারকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করেছেন। রাহুলের ইফতারে থাকা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন বৃহস্পতিবার অমিত শাহকে প্রকাশ্যেই খোঁচা দিয়ে বলেন, জনসম্পর্ক অভিযানে গিয়ে অমিত যেন লালকৃষ্ণ আদভানিকেও একটু দেখে আসেন! বিজেপি বলছে, রাহুলের ইফতারে সাফল্য কোথায়? মায়াবতী, অখিলেশ, মমতা, শরদ পওয়ার— প্রথম সারির কেউই তো এলেন না। কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল বলেন, ‘অধিকাংশ বিরোধী দল এসেছে। আসল বিষয় প্রতিনিধিত্ব। বিরোধী জোট ক্রমশ শক্ত হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement