২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে আরেক ধর্ষক ধর্মগুরু! নিখোঁজ আশ্রমের ৬০০ নারী!

দু'বছর আগে শনি ধামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে - ছবি : সংগৃহীত

আশারাম বাপুর পর ভারতজুড়ে হইচই ফেলেছিল ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান গুরমিত সিংয়ের কাণ্ডকারখানা। স্বঘোষিত বাবা 'মেসেঞ্জার অফ গড' হয়ে প্রতারণা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, খুন এমন নানা কাণ্ডে অভিযুক্ত এবং দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর আপাতত ২০ বছরের জন্য কারাবাসে রয়েছেন। এমনই বর্ণময় ও বিতর্কিত স্বঘোষিত 'বাবা'র তালিকায় আরো এক নতুন সংযোজন দাতি মহারাজ।

রাজস্থানের অলওয়াসে দাতি মহারাজের আশ্রম থেকে নিখোঁজ প্রায় ৬০০ জন নারী। দু'বছর আগে শনি ধামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী দাবি করেছিলেন, মহারাজের আশ্রমে একাধিক নারীর সঙ্গে হামেশাই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছিল। সম্প্রতি এই অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই পলাতক দাতি মহারাজ।

রাজস্থান পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ধর্মগুরুর আশ্রমে অন্তত ৭০০ জন নারী ছিলেন। তাদের ১০০ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের খোঁজ মিলছে না। তদন্তকারীদের অনুমান, নিখোঁজদের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগ থাকতে পারে। আশ্রমিকদের অপহরণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

দাতি মহারাজকে হাতে পেলেই আশ্রমের কন্যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন :
ধর্ষক সম্রাট গুরমিত সিং : ধর্ষণ করেছেন ২০০০ নারীকে!

ডেরায় থাকা কমপক্ষে ২ হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। ভারতের ইন্ডিয়া টিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই বিপুলসংখ্যক নারী ধর্ষণের কাহিনী ফাঁস করেছেন হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় ৩০ বছর থাকা এক সাধ্বী।

ইন্ডিয়া টিভি নিউজ.কম এ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সাধ্বী বলেছেন, মেয়ে হানিপ্রীত ইনসানের সাথে অবাধ যৌন সম্পর্ক ছিল রাম রহিমের। মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই তাকে পালিত কন্যা বলে পরিচয় দেয়া হতো, আসলে তিনি ছিলেন রাম রহিমের প্রেমিকা। তার আগের বিয়ে ছিল সাজানো নাটক, স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদও ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এসব অপকর্ম সম্পর্কে ডেরার প্রায় সবাই জানলেও ছিলেন নিরব।

তিনি আরো বলেন, ডেরার ভেতর গোপন গুহা ছিল। সেই গুহার জানালা দিয়ে মেয়েদের দেখে দেখে পছন্দ করতেন। তারপর পছন্দের মেয়েকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন। যৌন সম্পর্কে রাজি না হলে বাধ্যও করা হতো। ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে জোর করে গর্ভপাত করাতেন। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পরপরই একজন নতুন মেয়েকে ডেকে পাঠাতেন। এ অপকর্মের কথা মেয়েরা মা-বাবাকে জানালেও ধর্মগুরুর ওপর বিশ্বাসের কারণে মেয়েদের কথেই অবিশ্বাস করতেন। ইন্ডিয়া টিভি অনলাইন।

জেলে গুরমিত সিংয়ের যৌন অস্থিরতা

ধর্ষণের অভিযোগে জেল হওয়া ভারতের ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের যৌনতার জন্য অস্থিরতায় ভুগছেন। এমনটাই জানিয়েছেন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এক চিকিৎসক।

গুরমিত সিংকে পরীক্ষা করেন একদল চিকিৎসক। এক মনোবিদও ছিলেন তাদের মধ্যে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাম রহিম এক ধরনের উইথড্রয়াল সিম্পটমে ভুগছেন। তিনি পাক্কা সেক্স অ্যাডিক্ট। জেলে লালসা মেটানোর কিছু না মেলায় অস্থির হয়ে উঠেছেন। এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু দেরি করলে সমস্যা বাড়তে পারে।


রাম রহিমের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, অসুস্থ লাগছে, অস্থিরতায় ভুগছেন।

তবে ডেরা সাচা সৌদা প্রধান ড্রাগও নিতেন কিনা এখনও পরিষ্কার নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ঘুরছে, দেখা যাচ্ছে, ১৯৮৮ পর্যন্ত রীতিমত মদ খেতেন তিনি। এখন হয়তো তা আর খেতেন না, তবে এনার্জি ড্রিঙ্ক থেকে বিদেশ থেকে আমদানি সেক্স টনিক- সবই চলত।

ধর্ষক ‘গডম্যান’ অবশ্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি। আদালতে এও বলেছিলেন, যে তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম। ১৯৯০-এ যখন তিনি ডেরা প্রধান হন, তখন সকলের সামনে ঘোষণা করেন, পরিবারকে পরিত্যাগ করছেন, সাধারণ মানুষের মতো আর কোনো কামনা বাসনা তার নেই।

‘দত্তক কন্যা’ হানিপ্রীতকে জেলে চেয়েছিলেন গুরমিত

গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর তার ‘পালিত কন্যা’ হানিপ্রীতকে জেলের মধ্যে সঙ্গিনী করার প্রস্তাব নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় গুরমিত সিং। আবেদনে বলা হয়, হানিপ্রীত তার একমাত্র ম্যাসিওর ও তার মেয়ে। তাই তাকে জেলের মধ্যেই থাকতে দেয়া হোক। যদিও ধর্ষকের কোনো দাবিই মানেনি আদালত।

 হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ধর্ষক গুরমিত সিংকে নিয়ে পালানো সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা যায়, পালিতা কন্যা হানিপ্রীতই গুরমিত সিংয়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গুরমিত সিংয়ের বিপুল ভক্ত ও সাম্রাজ্য সামলাতেন এই মহিলা। হাজতে ঢুকেও হানিপ্রীতের সঙ্গেই রাত কাটাতে চেয়েছিল রাম রহিম। হানিপ্রীত ‘পাপার পরী’ হিসেবেও পরিচিত।

রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর থেকেই পালিয়ে যায় হানিপ্রীত। তার খোঁজে দেশে তো বটেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেও অ্যালার্ট করেছিল হরিয়ানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, নেপালের কোথাও গা দিয়েছিল হানিপ্রীত৷ এই কারণেই হরিয়ানা পুলিশ নেপাল বর্ডারে পুলিশ পোস্টিং বাড়িয়ে দিয়েছে৷ হানিপ্রীতের সঙ্গে রয়েছেন গুরুমিত সিংয়ের তিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিও৷

ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ভারতের ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত সিংকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। সাজা ঘোষণা করেন সিবিআই বিচারক জগদীপ সিং। গত ২৮ আগস্ট রোহতক জেলা সংশোধনাগারে গিয়ে ওই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

এদিকে, সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রোহতক-সিরসায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়।

রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়।

এছাড়া রোহতক সিরসার বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয় নয় হাজার আধা-সামরিক ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চলে তল্লাশি। মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। এমনকি পাঞ্জাবের ১৩টি জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ভক্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালত গত ২৫ আগস্ট গুরমিত সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী সাকিবকে ডিপিএলে চান বিসিবি প্রধান নির্বাচক কাতারের সাথে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল খুলনায় হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল যুক্তরাষ্ট্র? জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

সকল