১১ বছরেই তারকা মোটিভেশনাল স্পিকার হাম্মাদ!
- ডন
- ১২ জুন ২০১৮, ১৩:৩৯
হাম্মাদ সফির বয়স মাত্র ১১ বছর। বর্তমানে পাকিস্তানে অনলাইন স্টার। তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তার কিছু ভিডিও কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে।
বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পড়ুয়ারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাম্মাদের বক্তব্য শোনে। হাম্মাদ একজন মোটিভেশনাল স্পিকার। তার ভাষণ শুনে অনেকেই নিজেদের ক্যারিয়ার সমস্যার সমাধান বের করে থাকেন।
লাখ লাখ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কথা শোনেন। কথা বলার সময় হাম্মাদ নিজের হাত, মুখের ভঙ্গিমা, চলার ধরন এবং হাসিকে এমনভাবে ব্যবহার করে, যে দেখে বোঝাই যাবে না, তার বয়স এত কম।
হাম্মাদের উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ প্রভাব মানুষের ওপর এতটাই পড়ে যে, তার মাধ্যমে অনেকেই বাঁচার নতুন রাস্তা খুঁজে পান।
মাদ্রাসার পড়াশোনা ছেড়ে হম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করে। এখন সে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেয়। তার ইংরেজি বলার ধরন অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
৭ বছরেই চাকরিপ্রার্থী, জবাব দিলেন গুগলপ্রধান
বয়স মাত্র ৭। এরমধ্যেই গুগলে চাকরির স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে ব্রিটেনের চোলে ব্রিজওয়াটার। আর সেই স্বপ্নের কথা জানিয়ে চাকরি চেয়ে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের কাছে সটান চিঠি লিখে ফেলল সেই মেয়ে। হতবাক পিচাই সেই চিঠির উত্তরে জানিয়েছেন, 'আগে পড়াশোনা শেষ তো করো। তারপর না হয় চাকরির কথা ভেবো। আমি তোমার পড়া শেষের পর চাকরির আবেদনের অপেক্ষায় থাকব।'
বড় হওয়ার, বৃহৎ হওয়ার স্বপ্ন অনেকেই তো দেখে। কিন্তু কত বড়ো সে স্বপ্ন? তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা অনেকেরই থাকে না। শৈশব বলতে যে আলুভাতে মার্কা জীবনের কথা ভাবা হয়, তা কাটাচ্ছে না চোলে। তার আগেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সে। তাই বাবার কাছে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে করতেই একদিন জানতে পারে গুগলের কথা। অ্যান্ডি ব্রিজওয়াটার তাকে জানিয়েছেন, গুগল হল কাজের আদর্শ জায়গা। সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করা যায়। তাছাড়া, অফিসে ব্যাগ, চেয়ার, শিশুদের খেলে বেড়ানোর জন্য গো কার্টস বা স্লাইডস রয়েছে। যা শুনে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করলে চোলের বাবা বলেন, আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে। অ্যান্ডির পরামর্শেই ‘গুগল বস’ পিচাইকে চিঠি লেখে চোলে। হাতে লেখা সেই চিঠি প্রকাশ করেছেন অ্যান্ডি।
চোলে জানিয়েছে, সে কম্পিউটার, রোবট এবং ট্যাব পছন্দ করে। পড়াশোনায় সে ভালই। গুগলে কাজ করা ছাড়াও তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে চকোলেট কারখানায় কাজ করা। তবে অলিম্পিকে সাঁতারও কাটতে পারে সে। সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, এর আগে কেবল ফাদার ক্রিসমাসকে চিঠি লিখেছে। গুগলের সিইও পিচাই যে তার সাহসিনী মেয়ের চিঠির উত্তর দেবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি অ্যান্ডি। পিচাই–এর উত্তর তিনি আপলোড করেছেন তার লিঙ্কড ইন প্রোফাইলে।
পিচাই বলেছেন, ‘তোমার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আমার জেনে আনন্দ হচ্ছে যে তুমি কম্পিউটার এবং রোবট পছন্দ কর। আশা করছি এ রকমভাবেই তুমি প্রযুক্তি শিক্ষা চালিয়ে যাবে। আমি মনে করি, তোমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে যদি কঠোর পরিশ্রম করতে থাক তাহলে তুমি যা কিছু ভাবছ— গুগলে কাজ করা বা অলিম্পিকে সাঁতার কাটা সবই সম্ভব হবে। স্কুলের পাঠ শেষ করে তুমি কখন চাকরির আবেদন করবে সেই অপেক্ষায় থাকব। তোমাকে এবং তোমার পরিবারকে শুভেচ্ছা রইল।’ চোলের বাবা জানিয়েছেন, এই চিঠি মেয়েকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।