২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে গুলি খেতে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানি যুবক!

ভালোবাসা
প্রতিকী ছবি - সংগৃহীত

পারিবারিক বাধার কারণে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে পারছেন না। তাই তিনি নিলেন আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত। তবে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথও ভিন্ন। পাকিস্তানি এ যুবক চলে এলেন বৈরী ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে। তার ধারণা সীমান্তে এলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করবে। কিন্তু ঘটলো ভিন্ন ঘটনা।

পাকিস্তানের কাসুর জেলার জাল্লোকে গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ আসিফ। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভাইয়ের শ্যালিকাকে। কিন্তু তার এ চাওয়া মেনে নেয়নি পরিবার। তাই চরম হতাশ হয়ে ভেবেছিলেন, এ জীবন রেখে আর কী হবে, তার চেয়ে বিএসএফের গুলি খেয়ে মরে যাওয়াই শ্রেয়। তাই ভারত সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তা হল না। সোমবার তাকে বিএসএফের ১১৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা মাব্বোকে ফাঁড়ির কাছে পাকড়াও করে মামডোত পুলিশের হাতে তুলে দেন। আসিফের ঠাঁই হয়েছে ভারতের জেলে।

৩২ বছর বয়সী আসিফ ভালবাসতেন বড় ভাই আতিক-উর-রহমানের শ্যালিকাকে। দুজনেই বিয়েতে রাজি হন। কিন্তু বাধা হয় দুজনের পরিবার। তারা ওদের সম্পর্কই মানতে রাজি হয়নি। এর মধ্যে ভাইয়ের শ্যালিকাকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই ডিভোর্স হয় তার। আসিফ বলেন, এবার তো ওকে বিয়ে করতে পারি। কিন্তু ফের নাকচ হয়ে যায় আর্জি। প্রথমে আসিফ ঠিক করেন, গলায় দড়ি দেবেন। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে তা উচিত হবে না বলে মনে করে সেই ভাবনা ত্যাগ করেন। শেষে ঠিক করেন, ভারত সীমান্তে যাবেন, সেখানে বিএসএফ জওয়ানদের বুলেটে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেলেই যন্ত্রণার অবসান হবে।

পাঞ্জাবের মামদোত থানার এসএইচও রশপাল সিংহ জানান, ধনী ঘরের ছেলে আসিফ প্রায় ২৫ একর জমির মালিক। সিনিয়র সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশও করেছেন। ভারতীয় পাসপোর্ট আইন ও বিদেশি আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

আরো পড়ুন:

ভিনজাতের ছেলের সঙ্গে প্রেম, গলায় বিষ ঢেলে দিল বাবা, ছয় ঘন্টা মেঝেতে যন্ত্রায় ছটফট করে মৃত্যু তরুণীর
এবিপি আনন্দ, ৩ মার্চ ২০১৮
২০ বছরের তরুণী কন্যা সুষমার মুখে বিষ ঢেলে দিল বাবা। এরপর মেঝেতে পড়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখল মেয়েকে। পরে পুলিশকে জানাল, ভিন জাতের ছেলের সঙ্গে প্রেম এবং তাকে বিয়ে করতে চাওয়ার মেয়েকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের মহিশূরের ১৫ কিমি দূরে গোল্লানবিড়ু গ্রামে এই ভয়াবহ অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। সুষমার মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত ২০ জুন সুষমাকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যা করে পরদিন গোপনে তার দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। এই ঘটনার পর পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যার জল্পনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সুষমার বাবা কুমার গৌড়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। সুষমার মা ও মামার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ওই দুজন কুমার গৌড়াকে মেয়েকে খুন ও তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে সাহায্য করেছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এন রুদ্রমণি জানিয়েছেন, এক দলিত চিত্রশিল্পী যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুষমার। পরিবারের এতে প্রবল আপত্তি ছিল। সুষমা বাবা-মায়ের তিন কন্যার মধ্যে সবার বড়। কলেজে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেননি তিনি। গত বছরের ডিসেম্বরে কুমার গৌড়া ও পরিবারের সদস্যরা এবং পঞ্চায়েতের লোকজন সুষমাকে ওই দলিত যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য বোঝায়। কিন্তু সুষমা তাদের কথা মানতে না চাওয়ায় তাকে মান্ড্য জেলায় এক আত্মীয়র বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনবার তাকে বাড়িতে ডেকে পরিবারের সদস্যদের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ের জন্য বোঝানো হয়। কিন্তু সুষমা বাড়ির লোকেদের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এতে তার বাবা কুমার গৌড়া ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ফের তাকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এবার হেস্তনেস্ত করার মানসিকতা নিয়ে তৈরি ছিল গৌড়া পরিবারের।

জানা গেছে, সুষমার মা তাকে বিষাক্ত তরল মেশানো কমলালেবুর রস খেতে দেন।সুষমা তা একটু খেয়ে আর খাননি। এই কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় কুমার গৌড়া ও তার স্ত্রী এবং শ্যালক মিলে সুষমার নাক চেপে ওই তরল তার মুখে ঢেলে দেয়।

রুদ্রমণি জানিয়েছেন, সুষমাকে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পরিবারের খামার বাড়িতে ওই বিষাক্ত তরল খাওয়ানো হয়। ভোর চারটে নাগাদ তার মৃত্যু হয়। প্রায় ছয় ঘন্টা মাটিতে পড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করেন তিনি। মৃত্যুর পর খামারেই গোপনে দাহ করা হয়।

রুদ্রমণি জানিয়েছে, ওই তরুণীর দেহাবশেষ ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করেছে পুলিশ।
এই অপরাধের ঘটনাটি হয়তো গোপনই থেকে যেত। কিন্তু বিট কনস্টেবল রবি জল্পনা শুনে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান।

গত বুধবার এই ঘটনায় হেগ্গাদাদেভানা কোটে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গৌড়া স্ত্রী ও শ্যালকের সাহায্যে মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এভাবে মেয়েকে খুন করে আদৌ অনুতপ্ত নয় গৌড়া।


আরো সংবাদ



premium cement