২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিসরে সাংবাদিকতার মৃত্যু

-

বর্তমান মিসরের মৌলিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে, খাবার পানি স্বল্পতা, বায়ুদূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এখন যুক্ত হয়েছে বাকস্বাধীনতা হরণ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘মিডিয়ায় সরকারি সেন্সরশিপ থাকবে না। কোনো স্বাধীন কলমকে কুপিয়ে টুকরা করা হবে না।’ তথাপি সাংবাদিকতার জন্য মিসর এখন এক ভয়ঙ্কর স্থান। সত্য বলার দায়ে এমনকি জীবন যাওয়া সেখানে নতুন নয়। যেসব সাংবাদিক চুপ থাকেন না, যারা নৈতিক ও মানসিকভাবে সবল, তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের কোপানলে পড়ে সংসার, পরিবার, বিত্ত সব কিছু বিসর্জন দিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন গাজায় যেমনটি হয়েছিল। ফটো সাংবাদিক মুয়াত আমারনেহকে ইসরাইলিরা চোখের মণিতে আঘাত করে। তখন তিনি হেবরনের কাছাকাছি পশ্চিম তীরে বিক্ষোভকারীদের সাথে ছিলেন। মিসরে জেলখানায় নির্যাতন করা হচ্ছে। বলা যায়, মিসরে ইতোমধ্যেই সাংবাদিকতার মৃত্যু হয়েছে। অথচ এক সময় মিসর ‘সাংবাদিকতার আদর্শ স্থান’ ছিল। বিবিসির রিডলি, যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার আদালতে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং অবস্থানস্থল হোটেল পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। একসময় মিসরে কয়েক শ’ বিদেশী স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতার কাজ করতেন, এখন সে সংখ্যা শূন্যের কোঠায়। কুখ্যাত তোরা জেলখানায় মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীদের সাথে সাংবাদিকরাও ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। মিসরের বিচারব্যবস্থা, সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনের প্রতি কারো বিশ্বাস নেই। বিদেশীরা নিজ উদ্যোগে সংবাদ সংগ্রহ করছেন।

জুনে বিচারালয়ে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মুরসির মৃত্যুর পর মূল বিষয় ও সত্য উদঘাটনের জন্য বিশ্বের নামকরা সাংবাদিকরা মিসরমুখী হয়েছেন। বিবিসির রিডলি তাদের একজন। মুরসিকে কিভাবে অসহনীয় নির্যাতন করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে, সে খবর মানবাধিকার সংস্থাগুলো সংগ্রহ করে সত্য প্রচার করতে চেয়েছে। জেলখানায় মুরসি পরিবারের সদস্যরা মাত্র দুইবার সাক্ষাতের সুযোগ পান, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর একবার, ২০১৭ সালের ৪ জুন শেষবার। বুঝুন, একজন গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট কী রকম নির্যাতন সহ্য করে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। নিয়মিত ওষুধ, খবরের কাগজ, পড়ার বই এমনকি পবিত্র কুরআন শরিফ পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও আইনজ্ঞরা মুরসির অবস্থা দেখে আবদেল ফাত্তাহ সিসি সরকারকে অনুরোধ জানান, ‘ওষুধ না দিলে যেকোনো সময় মুরসির মৃত্যু হতে পারে।’ কার্যত তাই হয়েছিল। মুরসির মৃত্যু প্রসঙ্গে জাতিসঙ্ঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অব আরবিট্রেরি ডিটেনশন অভিহিত করেছে, ‘বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে। এসব বিষয় যথাসময়ে মিসরের সাংবাদিকদের কলম থেকে বহির্বিশ্বে প্রচারিত হতে পারেনি, তারা এসব লিখতে সাহস করেননি। ড. মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পরপরই স্বৈরাচারী সিসি দু’টি সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন এবং একই সাথে বন্ধ করে দিলেন মুরসি সমর্থক ৯টি টেলিভিশন চ্যানেল। এসব মিডিয়া আউটলেটের বাছাই করা কর্মী ও সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়।

সেনাশাসক সিসি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ‘কবর দিয়েছেন’। তিনি হাজার হাজার মানুষ মেরেছেন এবং ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করে হাজতে পুরেছেন। তাদের প্রহসনের বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন। এ দিকে, সাংবাদিককে পাওয়া না গেলে তার পরিবারের ওপর বিপদ নেমে আসছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, মিসর বিপ্লবী কাউন্সিল, কর্ডোভা ফাউন্ডেশন জাতিসঙ্ঘকে এসব মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। সাংবাদিক পিটার ওবর্ন, বিবিসি সাংবাদিক বিল ল’, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মাহা আজম লন্ডনে বিরাট আন্তর্জাতিক সমাবেশে মিসর পরিস্থিতি, মানবাধিকারের বিপর্যয় এবং স্বাধীন মতপ্রকাশে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

অনেক খ্যাতিমান সাংবাদিক মিসরসহ মুসলিম বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন। বিভিন্ন চিন্তাধারার সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করে সাংবাদিকতাকে করেছেন পুষ্ট। মিসরে ছিলেন আব্বাস মাহমুদ আল আক্কাদ, ইব্রাহিম আল মাজিনি, তওফিক দিয়াব, মোহাম্মদ আল তাবি, মোস্তাফা ও আলী আমিন ভ্রাতৃদ্বয়, বিখ্যাত মোহাম্মদ হাসনাইন হেইকেল, আহমদ বাহাউদ্দিন, সালেহ হাফিজ, আনিস মসনুরসহ অনেক নামজাদা সাংবাদিক মিসরের। ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সরকারের ফ্যাসিস্ট নীতির কারণে এখন স্বাধীনভাবে কলম ধরতে অনেকেই ভয় পান। প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুসারে, দুনিয়ার ১৮০ দেশের মধ্যে মিসরের অবস্থান ১৬১ নম্বরে।

বছর তিন আগে কায়রোর মূল শহর এলাকার একটি বাড়িতে মাসখানেক থাকতে হয়েছিল। বাড়িওয়ালি দিনা আপাকে বললাম, ‘আপনার এত সুন্দর বাড়িতে সবই আছে, তবে টিভি নেই।’ তিনি হেসে বিকেলেই স্মার্ট টিভি লাগিয়ে দিলেন। অনেক আরবি চ্যানেল ও কয়েকটি ইংরেজি চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যেত। এসব চ্যানেল সরকারের গুণগান গাইছিল এবং শাসক সিসির কর্মকাণ্ডকে ফলাও করে প্রচার করছিল। কিন্তু সরকারের সমালোচনা করে এমন কোনো প্রচার দেখিনি। আরেকটি বিষয়, যা বেশি মিডিয়ায় স্থান পেয়েছে সেটি হলো সেকুলার বিষয় এবং পশ্চিমা কালচারের প্রচার। মিসরের লোকালয় ও বাজারঘাটে দেখবেন বিশেষ টুপিধারী আলেম-ওলামাকে । টুপি বলে দেয়, তিনি কোন ডিগ্রিধারী। মিসরের রাস্তায় বের হলেই এই চিত্র দেখতে পাবেন। অথচ মিডিয়ায় এর প্রতিফলন দেখতে পাইনি।

পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ায় যা প্রকাশিত হয়, তা যেন সেন্সর করা। জানা যায়, সংবাদ প্রচারের জন্য সরকারিভাবে অর্থসহায়তা দেয়া হয় বিভিন্ন মিডিয়াকে। সামরিক জান্তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নীতিকে মিডিয়া এখন ফলাও করে প্রচার করছে। ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি যে শব্দমালা দেয় ও যে ব্রিফিং করে, সেগুলো মিডিয়া যত্নের সাথে প্রচার করে থাকে। সরকারি গোয়েন্দারা প্রাইভেট পত্রিকা বের করে, স্যাটেলাইট চ্যানেলও পরিচালনা করে। তাদের রয়েছে ডিএমসি নামে প্রাইভেট টেলিভিশন নেটওয়ার্ক। এসব নিউজ আউটলেটে সব সময় গুণগান করা হয় সরকারের, বিরোধীদের কোনো বার্তাই এতে থাকে না। বিরোধীরা কোনো নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। একনায়ক হোসনি মোবারকের সময় সরকারের ভাবমর্যাদা বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক’ দেখানোর জন্য হলেও মিসরের বিরোধী শিবিরের অনেক কার্যক্রম মিডিয়ায় স্থান পেয়েছিল। এখন তা অনুপস্থিত। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব তাকে সহায়তা করছে। সিসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার প্রিয় স্বৈরশাসক’। তাদের কাছে সিসির অনেক কদর, যিনি ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’কে দূর করছেন এবং ব্রাদারহুডকে দুর্বল করেছেন। তিনি আমিরাত ও কাতারের বিরোধ উসকে দিতে সহায়তা করছেন। কারণ সিসি বোঝেন, এসব কাজ ইসরাইল ও পশ্চিমাদের অনেক প্রিয়। মিডিয়ায় এখন ভাড়াটেরাই ‘স্টার’। যারা ভালো ও নামকরা তারা চুপ থাকাকেই পছন্দ করছেন। তাদের অনেকেই সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়েছেন, অনেকে দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে গেছেন। ভিজুয়াল মিডিয়া এখন নর্তকীদের নাচের আসর কিংবা ইন্টেলিজেন্স যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটাই উপস্থাপন করা হচ্ছে।

মিসরে সংবাদপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শাসকগোষ্ঠী পরিচালিত ‘সুপ্রিম কাউন্সিল ফর মিডিয়া রেগুলেশন’ কাজ করছে। সাংবাদিকদের নতুন নতুন সাজা দেয়া এবং অন্তরীণ রাখার নিয়ম তৈরি করাও এর কাজ। নিরপেক্ষ ওয়েবসাইট মাদা মাসরে পুরো বিষয়টি ফাঁস হয়ে প্রচারিত হয়েছে। কোনো প্রকার ঘৃণা ছড়ানো, যেকোনো নিন্দাবাদ, সমাজকে প্রভাবিত করে এমন কোনো সংবাদ, উসকানি দেয়াÑ সরকারি এসব হাজারো বিষয় নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত করা হয়েছে। ছোট ছোট বিষয়ে এই আইনে পাঁচ লাখ মিসরীয় পাউন্ড বা দুই হাজার ৮০০ ডলারের সমান জরিমানার নতুন বিধান যোগ করা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কোনো তথ্য ছড়ালে জরিমানা দিতে হয়।

প্রেসিডেন্ট সিসি বলে বেড়ান, এককালের শাসক জামাল আবদুল নাসেরের ভাগ্য ভালো, তাকে সাপোর্ট করে এমন মিডিয়া তিনি পেয়েছিলেন। আবদেল নাসের জুলাই ১৯৫২ সালের ক্যুর পর যেমন মিডিয়া তার কথা প্রচার করেছে, তেমনি সিসির বার্তাও প্রচারিত হোক, এটাই তিনি চান। তিনি মিডিয়াকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘কারো কথা শোনার দরকার নেই। আমার কথা প্রচার করুন।’ ছয় বছর ধরে তাই আমরা একই সুর শুনছি এবং ইন্টেলিজেন্স যে কথা বলে, তা শুনে দিন অতিবাহিত করছি। টিভিতে এ ধরনের ফরমায়েশি সংবাদ পাঠের সময় পাঠিকা বলে ফেলেন, ‘সংবাদটি একটি ডিভাইস থেকে পাঠানো হয়েছে।’ এর পর মহিলা চাকরিচ্যুত হন।

সরকারের সমর্থক হলেও কোনো ভুলচুক করলেই সহজে নিস্তার নেই। ভুয়া সংবাদ তৈরি করে অথবা ‘রেডিমেড’ চার্জ বানিয়ে যেকোনো সময় জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হতে পারে। যেকোনো সময় ‘ব্রাদারহুডের সমর্থক’ বলে চালান করে দিতে পারে। চার্জ বা অভিযোগ ছাড়াই মিসরে কর্মরত আলজাজিরার সাংবাদিক মাহমুদ হোসাইনকে তিন বছরের অধিক সময়ের জন্য জেল দেয়া হয়েছে।

মাকামিলিন টিভি : তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এর সদর দফতর। মিসরত্যাগী ও উদ্বাস্তু সাংবাদিক ও লেখকরা চ্যানেলটি পরিচালনা করেন। মিসরের সিসি সরকারের সমালোচনা করে থাকে এই চ্যানেল। এই চ্যানেল উত্তর সিনাইয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক কিছু শিশুকে বিনাবিচারে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে সিনাইয়ের জনসাধারণের বিরুদ্ধে সিসি প্রশাসন যেন যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। রাফা শহরের তিন হাজার বাড়িঘর ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে। খাবার, ওষুধ ও গ্যাস কমিয়ে দেয়া হচ্ছে, যেন উদ্বাস্তু শিবিরের রেশন। আল আরিশে সাংবাদিকের বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ইস্তাম্বুলে মিসরের উদ্বাস্তু সাংবাদিক আল সোরবাকি ভোর ৩টায় ফোন পেলেন, তার ঘরবাড়ি তল্লাশি ও তছনছ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকের আত্মীয়সহ চারটি পরিবার ছিল পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে। বাড়িটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু মালপত্র সব ভস্মীভূত। এ ঘটনার জন্য আগাম কোনো সতর্কতা দেয়া হয়নি। সিনাই বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ইসমাইল ইস্কান্দারকে উত্তর সিনাইয়ে সেনা অপারেশন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় রিপোর্ট করার কারণে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। আল সোরবাকি পরিবারকে রক্ষার মানসে রিপোর্ট প্রকাশ করেননি। তা সত্ত্বেও সন্দেহজনকভাবে তার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তার ভাষায় ‘মিসর সরকার উন্মাদ’। বহু খ্রিষ্টান সাংবাদিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যেমনÑ মাদা মাসর নামে মুক্ত ওয়েবসাইট রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ‘এফিলিয়েটেড’। খ্রিষ্টানদের গ্রেফতারের পরপরই দূতাবাসের চাপে ঘণ্টাকয়েকের মধ্যে ছেড়ে দিতে হয়। আরো কয়েক ডজন সাংবাদিক জেলে আবদ্ধ রয়েছেন, তাদের ব্যাপারে চাপ দেয়ার কেউ না থাকায় জেলেই পচছেন। আহমদ রাজেভ ‘আখের কালাম’ শো-এর এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার এবং মিসরের বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘আল মিসরি আল ইয়ুম’-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কলমকে ভেঙে টুকরা টুকরা করা হচ্ছে। কলাম লেখা বন্ধ করা হচ্ছে।’ মিসরের মিডিয়া এখন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। সেনাদের সীমাহীন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য। মিডিয়া ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করে মিসর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement