২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে যা বাড়ছে

-

উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যে অপরাধ সম্ভবত ধর্ষণে একটা বিশ্ব রেকর্ড করতে চলেছি আমরা। বাংলাদেশে কথিত উন্নয়নের জোয়ারের সাথে পাল্লা দিয়ে একের পর এক ঘটে চলেছে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা। শিশু, কিশোরী, বৃদ্ধা এমনকি প্রতিবন্ধী নারীরাও ছাড় পাচ্ছে না নরপশুর হাত থেকে। ধর্ষণের পর নির্যাতনে হত্যার মতো নির্মমতারও শিকার হচ্ছেন নারীরা। মানুষ নামধারী একশ্রেণীর পশু যেন দানবের রূপ ধরে ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের সাজানো বাগানে। সব ফুল ছিঁড়ে, পদদলিত করে গাছসহ উপড়ে ফেলছে। আর সেটা ঘটছে সবার চোখের সামনে। আমরা অসহায় তাকিয়ে দেখছি। কিছুই করতে পারছি না।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতের ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। কুমিল্লায় তনু ধর্ষণ ও হত্যার স্মৃতি মানুষের মনে দগদগে ঘায়ের মতো বিষজ্বালা জ্বালিয়ে রেখেছে। মনে আছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে বনানীর হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে ভিডিও করার ঘটনাও। সেই লম্পটরা ছিল বিত্তবান পরিবারের সন্তান। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেই ধর্ষণের মামলা কাঠগড়ায় উঠেছিল। কিন্তু আসামিরা জামিনে বেরিয়ে যায়। বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদে গেছে এমনই আরো শত শত ঘটনায়।

পাঠকের মনে থাকতে পারে ২০১৭ সালের এপ্রিলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার ব্যারাকে নিজ কক্ষে শরীরে আগুন দিয়ে কনস্টেবল হালিমার আত্মহত্যার ঘটনা। তার আগে হালিমা নিজের ডায়রিতে লিখেছিলেন, একজন সহকর্মী পুলিশ অফিসার তাকে ধর্ষণ করেছেন। হালিমা এর বিচার পাননি নিজের থানায়। তার অভিযোগ গ্রহণ করেননি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)। দীর্ঘ দুই মাস তিনি অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেছেন আর তার সহকর্মীরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে। অপমানে, লজ্জায় শেষ পর্যন্ত গায়ে আগুন দিয়েছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োজিত একজন নারীই যদি থানায় নিজেকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হন, কোনো বিচার না পান, তাহলে এই পেশার বাইরে যারা আছেন তাদের অবস্থা কী, তা সহজেই অনুমেয়।

এর চেয়েও গুরুতর ঘটনা ঘটেছিল একই বছরের ২৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুরে। সেখানে হযরত আলী নামের এক বাবা তার পালিতা শিশুকন্যা আয়েশাকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেটিও ছিল ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার অপমান ও দীর্ঘ যন্ত্রণার চির অবসান ঘটানোর একটি নিরুপায় চেষ্টা। এমন প্রতিটি ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, এ দেশে বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, শুধু অভিযোগ দায়ের করাই কতটা কঠিন।

শাজনীনের ঘটনা মনে আছে কি আমাদের? বিত্তশালী পরিবারের আদরের দুলালী কিশোরী শাজনীন নিজের বাড়িতেই ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিল। সারা দেশে তোলপাড় করা সেই আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার পেতে সময় লেগেছিল প্রায় দেড় যুগ! যে দেশে অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই, সেই বাংলাদেশেই একটি অতিশয় বিত্তবান পরিবারের আদরের মেয়ের ধর্ষণ ও হত্যার বিচার পেতে যদি দেড় যুগ সময় লাগে, তবে কনস্টেবল হালিমা আর আয়েশারা আত্মহত্যা করবে না তো আর কী করবে? আমাদের আইন-কানুন, বিচারের প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সংস্কৃতিসহ সব কিছু এমন একটি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, ধর্ষিতার সামনে আত্মহত্যা ছাড়া যেন অন্য পথ খোলা নেই।

এতসব কথার অবতারণা আসলে সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। ঠিক এই মুহূর্তে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ইস্যুটা ধর্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এর শিকার হয়েছেন খোদ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনস্থ এলাকায়। প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসজুড়েই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন চলছে। শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

পত্রিকার খবরে জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা হয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন ছাত্রীটি। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে ঝোপের মধ্যে জ্ঞান ফিরলে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। তাতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে ডিবি ও র‌্যাব।

বাংলাদেশে ধর্ষণ বাড়ছে। বেড়েছে নারীর প্রতি নানাবিধ সহিংসতাও। কঠোর আইন, প্রচার-প্রচারণা ও উচ্চ আদালতের নানা ধরনের নির্দেশনার পরও নারীর প্রতি নৃশংসতা কমানো যাচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩২জন। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হন ৮১৮ জন নারী। হিসাব পাওয়া গেছে, ২০১৯ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে। আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১০ জন নারী। নারীর প্রতি সহিংসতার অন্য চিত্রগুলোও ভয়াবহ। ২০১৯ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৫৮ জন নারী। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৭০ জন।

গত পাঁচ বছরে ধর্ষণের পরিসংখ্যান দেখলে শিউরে উঠতে হয়। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা জানতে চাইলে যে কেউ ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। তার বদলে আমরা বরং ধর্ষণের পেছনের সম্ভাব্য কারণ এবং বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন, সেটি একনজরে দেখে নিই।

মনোবিদরা বলছেন, ধর্ষকরা হলো মানসিক মনোবিকারগ্রস্ত। নারীর ওপর ক্ষমতা দেখানো, তাকে দখল করার মনোবৃত্তি এবং অবদমিত কাম চরিতার্থ করতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তারা এটাও বলছেন যে, ধর্ষণ করলে অপরাধীর কোনো শাস্তি হয় না এ দেশে। তাই এ ধরনের ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। একটি পত্রিকায় দেয়া অভিমতে কথাসাহিত্যিক ও মনোবিজ্ঞানী ডা: মোহিত কামাল বলেন, নারী যে বোনের মমতা, মায়ের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় মেশানো একজন মানুষ, সেটা এদের (ধর্ষকদের) মন থেকে সরে গিয়ে তারা শুধু ভোগের বিষয়ে পরিণত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড: মো: কামাল উদ্দিন বলেন, ধর্ষকরা মানসিকভাবে সুস্থ নয়, তারা মনোবিকারগ্রস্ত ব্যক্তি। এরা ধর্ষণ করে অসহায় শিশু, কিশোর বয়সী নারীদের। নয়তো দল বেঁধে ধর্ষণ করে। শক্ত-সমর্থ কোনো নারীকে এরা ধর্ষণ করতে যায় না। অনেকে মাদকাসক্ত থাকে; সে জন্য খুব উগ্র আচরণ করে।

মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিচারহীনতাকেই দায়ী করেছেন। রাষ্ট্র ও সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতার আরো অনেক উপাদান আছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটে থাকে, তার একটি অংশ জানা যায় না। এ বিষয়ে কোনো মামলা হয় না। আর যেগুলোর ব্যাপারে মামলা হয় বিশেষ করে ধর্ষণের ক্ষেত্রে, সেখানে শতকরা মাত্র তিন ভাগ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত অপরাধী শাস্তি পায়। আর ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় শাস্তি হয় মাত্র শূন্য দশমিক তিন ভাগ। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, এ ধরনের কোনো ঘটনায় বিচার হয় না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের মতে, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শক্ত আইন আছে। কিন্তু শাস্তি দিয়ে অপরাধ খুব বেশি কমানো যায় না। আর এটা ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের সমাজের ভেতরে অসংখ্য উপাদান আছে, যা ধর্ষণ বা নারীর প্রতি সহিংসতাকে উসকে দেয়। এ সমাজে এখনো নারীকে ভোগের সামগ্রী মনে করা হয়। তাকে সেভাবে উপস্থাপনও করা হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।’

মন্তব্যগুলো খেয়াল করুন। ধর্ষকরা বিকারগ্রস্ত। তা হলে বলতে হবে, জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে অভিজাত হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণকারী বিত্তবান পরিবারের সন্তানরা ছিল বিকারগ্রস্ত। কনস্টেবল হালিমাকে ধর্ষণকারী থানার পুলিশ কর্মকর্তাও বিকারগ্রস্ত ছিল। ফেনীর নুসরাতকে ধর্ষণকারী মাদরাসাশিক্ষক মানসিক বিকারে ভুগছিল। শিশু আয়েশাকে ধর্ষণকারী প্রতিবেশীও অসুস্থ ছিল মানসিকভাবে। তা হলে তো মনে হয়, আমাদের সমাজের বেশির ভাগ মানসিক বিকারগ্রস্ত। বিকারগ্রস্তের আবার বিচার কী? তা হলে কি সমাজে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে, সেটাই সঠিক?

আসলে বিষয়টি এভাবে দেখার নয়। মানসিক বিকারের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। এরই একটি স্তরে সম্ভবত নারীর ওপর বলপ্রয়োগের এবং তাকে ভোগ করার প্রবণতা ক্রিয়াশীল থাকে। এই বিকার কিভাবে তৈরি হয়? সমাজে, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র পরিচালনায় যে বলপ্রয়োগের নীতি চলছে তা-ও কিন্তু এক ধরনের ধর্ষকাম থেকে উদ্ভূত। আমি একাই থাকব, একাই শাসন, শোষণ, ভোগ করব এবং আমার কথার বাইরে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না- এই যে সর্বগ্রাসী কর্তৃত্ববাদের নীতি তা থেকে সমাজের ব্যক্তিবিশেষ অনুপ্রাণিত হয়। বিশেষ করে তরুণরা। সে জন্যই কোনো কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরিও উদযাপন করে।

একটি অভিমত হলো, নারীকে ভোগের বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। এই কাজটি কিভাবে হলো? আমাদের যে আবহমানের সমাজ, সেই সমাজ তো নারীকে মা হিসেবে দেখার কথাই বলত। এখনো গ্রামের অনেক বয়োবৃদ্ধ মানুষ কোনো নারীর সাথে কথা বলতে গেলে, তার বয়স বিবেচনা না করেই নির্দ্বিধায় মা বলে সম্বোধন করেন। সেই মাকে বন্ধু, খেলার সাথী, সহকর্মী, প্রেয়সী হিসেবে দেখার নতুন কালচার কারা চালু করেছে? পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ আমরা বহু ক্ষেত্রে করেছি এবং এটা করতে গিয়ে নিজের সমাজের ভালো মূল্যবোধগুলো ধরে রাখার মতো বোধবুদ্ধি আমাদের ছিল না। এখনো নেই।

আমাদের এখনকার সংস্কৃতি, আমাদের সাহিত্য, শিল্প, বিনোদনমাধ্যম কি নারীকে শ্রদ্ধার সাথে দেখার মূল্যবোধ সৃষ্টি করে? এই প্রশ্ন নিজেদের করতে হবে আগে। আমাদের আইন যেটুকুই আছে সেটুকু কেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা হচ্ছে না? এ ক্ষেত্রে কে বা কারা কিভাবে বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে, জানার দরকার আছে। নারীকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে, এই শিক্ষা কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পাওয়া যাচ্ছে? যদি না পাওয়া যায়, তা হলে বিকল্প কী? বিশ্বজুড়ে পণ্ডিতরা শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মীয় শিক্ষাদানের প্রয়োজনের কথা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষার কথা বললেই কারো কারো শরীরে যেন আগুন ধরে যায়। স্বাভাবিকভাবেই নৈতিকতাশূন্য একটি সমাজ গড়ে উঠছে, যেখানে শিক্ষক ধর্ষণ করছে ছাত্রীকে, মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে নিকটাত্মীয়ের হাতে। এ দিকে দুর্নীতিতে ছেয়ে যাচ্ছে সমাজের প্রতিটি অঙ্গন।
ফলে দেখা যাচ্ছে, নারী নিজের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের কোথাও নিরাপদ থাকতে পারছে না। নারীর ক্ষমতায়নের অনেক কথা বেশ বড় গলায় বলা হয় নানা মহল থেকে। কিন্তু ভেবে দেখতে হবে, নারীর তথাকথিত ক্ষমতায়ন (ব্যক্তিগত উন্নয়ন) আগে দরকার, নাকি তার আর্থসামাজিক নিরাপত্তাই বেশি জরুরি?

১৯৯৫ সালে দিনাজপুরে পুলিশ হেফাজতে ইয়াসমিন নামে এক কিশোরীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে তোলপাড় করা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। সেই স্মৃতি এখনো আমাদের মগজে তরতাজা। তাই খুব জানতে ইচ্ছা করে, তিনি স্বয়ং যখন দীর্ঘ দিন ক্ষমতায়, তখন দেশে এত এত ধর্ষণের ঘটনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন? আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশ চাই।


আরো সংবাদ



premium cement