২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘মূর্খে রচিল গীত...!’

-

শুধু অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলোকেই মানবীয় বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু কোনো ভুল যদি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত বা অবহেলা-উদাসীনতার কারণে হয়, তাহলেই দেখা দেয় বিপত্তি। এ জন্য চড়া মাশুলও গুনতে হয়। এটি হয়েছে সর্বসম্প্রতি বহুল আলোচিত-সমালোচিত রাজাকারের তালিকা নিয়েও। এতে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ রাজাকার হিসেবে স্থান পেয়েছেন। অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আবার চিহ্নিত রাজাকাররা তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অবশ্য ভুলের কথা কবুল করে নিয়ে তালিকা ইতোমধ্যেই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয় এই তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশকে মানবীয় ভুল নয় বরং ‘বে-আক্কেলের কাজ’ বলে আত্মস্বীকৃতি দিয়েছেন। ‘ক্ষমা’ও চেয়েছেন এ জন্য।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে সরকার ও বিরোধী মহলে পরস্পর বিরোধী আশা ও আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছিল। সরকারপক্ষ এটা ভেবে উল্লসিত ছিল যে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধকালে যারা হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত, এসব ব্যক্তির একটি নির্ভুল তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের স্বরূপ উন্মোচন করা হবে। পক্ষান্তরে বিরোধীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের চরিত্র হননই হবে এ তালিকা প্রকাশের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু বহুলপ্রত্যাশিত এই তালিকা কোনো পক্ষের আশাবাদ-আশঙ্কাকে বাস্তবতা দেয়নি; বরং এই তালিকা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সংক্ষুব্ধ ও বিচলিত করেছে। এ দিকে, কথিত ‘গরিরের বৌ’ হিসেবে অভিহিত রাজনীতির পাত্রমিত্ররা নেপথ্যে হেসেছেন। কারণ, তারা শঙ্কায় ছিলেন যে, সম্ভাব্য তালিকার বেশির ভাগ দখল করবে তাদের নাম। বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। ক্ষমতায় থেকেও ক্ষমতাসীনরা প্রকাশিত তালিকাকে নিজেদের অনুকূলে নিতে পারেননি। এমন ‘আত্মঘাতী গোল’ শুধু ফুটবল খেলাতে কালেভদ্রে দেখা যায়।

‘রাজাকার’ বা ‘রেজাকার’ হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তদানীন্তন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত আধাসামরিক বাহিনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৭১ সালে এ বাহিনী গঠিত হয়েছিল। টিক্কা খানের সামরিক সরকার তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাধ্যতামূলকভাবে অনেক চোর-ডাকাত ও সমাজবিরোধীকে রাজাকার বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য এ বাহিনী গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১ জুন লে. জেনারেল টিক্কা খান ‘পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স-১৯৭১’ জারি এবং আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। তখন তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়া হয়। পরে এ বাহিনী একটি স্বতন্ত্র অধিদফতরের মর্যাদায় উন্নীত হয়। অবশ্য স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এই ‘রাজাকার’ শব্দের ওপর রাজনৈতিক বার্নিশ বেশি লাগানোর অভিযোগ কম জোরালো নয়।

এবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে তত্ত্বাবধানে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। বাধ্য হয়েই প্রকাশিত তালিকা স্থগিতও করা হয়েছে। প্রকাশিত তালিকা যে যথাযথ গুরুত্বের সাথে তৈরি করা হয়নি তাও স্পষ্ট।

প্রকাশিত তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় স্থান পেয়েছে; এমনকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্তদের নামও এসেছে এই তালিকায়। অতীতের অভিযোগ হচ্ছে, অমুক্তিযোদ্ধাদের নামও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়ে গেছে। যুদ্ধের সময় পাঁচ-সাত বছর বয়স ছিল, এমন অনেকের নামও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকার খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তালিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে, তথ্য, উপাত্ত, প্রামাণ্য দলিল, যুক্তি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই, সেটা আমরা বলতে পারব না।’ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, ‘....মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজাকারের লিস্ট করবে। তারা চিঠি পাঠিয়েছিল, আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে সেগুলো যেন পাঠানো হয়। ...আমরা প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছিল, সেই লিস্টটা পাঠিয়েছি।’ এই মন্ত্রীর কথা যদি সত্য হয়, তাহলে দালাল আইনে মামলা তো পাকিস্তানিরা করেনি, করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাহলে ‘এই তালিকা পাকিস্তানিরা করে গেছে’- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর এ দাবি হালে পানি পায় না।

তালিকায় ৩০ জনের বেশি নারী, শতাধিক হিন্দু এবং রাজশাহী, বরগুনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম এসেছে, যারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক’ হিসেবে পরিচিত। এসেছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নামও। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে তালিকা পেয়েছি, হুবহু তা প্রকাশ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সে সময়ের সরকারি রেকর্ড দিয়েছে, নতুন তালিকা করেনি।’ তার এ মন্তব্যও তার আগের মন্তব্যটাকে যৌক্তিকতা দেয় না। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে, দালাল আইনে দায়ের করা মামলার তালিকা। মোট কথা, রাজাকারের তালিকার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকার সাথে একটা নোট দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘আমার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নোটটি ভালোভাবে আমলে নিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। আসলে নোটটি আমলে নেয়া তো দূরের কথা, পড়েও দেখা হয়নি।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নোট পাঠানো হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নোট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পড়ে দেখার প্রয়োজনই বোধ করেনি। ফলে যেনতেন একটি তালিকাই প্রস্তুত করেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিকদের চরিত্র হনন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মূলত পাকিস্তানিদের তালিকাভুক্ত অথবা ভাতাপ্রাপ্ত রাজাকারদের তালিকা বেশি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারত। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত তালিকা জেলা প্রশাসকদের কাছে চাওয়াও হয়েছিল। মন্ত্রীর ভাষায়, ‘সেই সময় ১৯টি জেলা ছিল। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে ওই সময়ে তাদের রেকর্ড রুমের তালিকা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। দুঃখজনক হলো, সেভাবে আমরা সহযোগিতা পাইনি’। এ তালিকার ঘটনায় একটি বিষয় স্পষ্ট, প্রশাসনের মাঝারি পর্যায়ের কর্মকর্তারাও একজন মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। মনে হচ্ছে, জনগণের ম্যান্ডেটহীন অবস্থায় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকার প্রশাসনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই তাদের পক্ষে জনপ্রশাসনের ওপর প্রয়োজনীয় প্রভাব খাটানো সম্ভব হচ্ছে না।

এ তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল এমন একটা খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে জাতীয় পত্রপত্রিকায় এসেছিল। পরে অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন তথ্য অস্বীকার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে, ৬০ কোটি কেন, ৬০ পয়সাও খরচ হয়নি। তবে ৬০ কোটি টাকা খরচের বিষয়টি সরকারি মহলের কাছে অতিশয়োক্তি মনে হলেও ‘৬০ পয়সাও খরচ হয়নি’ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের- এমন বক্তব্যকেও কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছেন না।

নানা ইস্যুতে জাতি বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। সেক্টর কমান্ডার এবং ‘বীর উত্তম’ খেতাবপ্রাপ্তদের পর্যন্ত রাজাকার বলা হচ্ছে সরকারি দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। তখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেকোনো তালিকা নতুন করে জটিলতা তৈরি করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার নতুন হাতিয়ার’ হয়ে উঠতে পারে- এমন অভিযোগও উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর প্রকাশিত প্রথম তালিকা যেভাবে হোঁচট খেয়েছে, পরবর্তীত কালে যেকোনো তালিকা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা খুব একটা সহজসাধ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না।

১৯৭১ সালে কারা রাজাকার ছিল, তা জানার কৌতূহল রাষ্ট্রের সব নাগরিকেরই। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত ও স্থগিতকৃত তালিকা যেভাবে অনাকাক্সিক্ষত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তা জাতির জন্য মোটেই স্বস্তিকর নয়। মুক্তিযোদ্ধা নন- এমন কোনো মানুষের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসা অন্যায়, যদিও এটি বিপর্যয়কর নয়। কিন্তু একজন মানুষ যিনি রাজাকার ছিলেন না, তার নাম রাজাকারের তালিকায় আসা জাতীয় ক্ষেত্রে নতুন করে সঙ্কটের জন্ম দেবে।

শুধু দালাল আইনে অভিযুক্তদের কিংবা বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দেয়া তালিকা থেকে নাম নিয়ে প্রকাশ করে দিলেই সেটা সত্যিকারের রাজাকারের তালিকা হয়ে উঠবে- তাও ঠিক নয়। যেনতেনভাবে দায়সারা গোছের কোনো তালিকা করা অনৈতিক, বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ব্রিটিশ আইনবিদ উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোন রেশিওর মন্তব্য এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। তার ভাষায়, ‘আইনের দ্বারা একজন নির্দোষ ব্যক্তি ভুক্তভোগী হওয়ার চেয়ে দশজন দোষী ব্যক্তির মুক্তি পাওয়া অনেক ভালো।’

রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, কারো অধিকার হরণ নয়; বরং নাগরিকের সব অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা। তাই কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করার বিষয়ে রাষ্ট্রকে বারবারই সতর্ক থাকতে হবে। একজন নাগরিক যাতে বৈষম্য বা নিপীড়ন ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের বেসামরিক ও রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে, তার নিশ্চয়তা প্রদান করার দায়িত্ব রাষ্ট্রেরই। তাই জাতীয় কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভুল মোটেই সমীচীন নয়।

ইচ্ছাকৃত ভুল বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারলেও তা চিরস্থায়ী হয় না। হয়নি মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানা হরিদত্তের ক্ষেত্রেও। তিনি ১২-১৩ শতকের উল্লেখযোগ্য কবি। তার কাব্য প্রতিভা সমসাময়িককালে সাড়া জাগাতে পারলেও সৃষ্টিশৈলীর দুর্বলতাগুলো ধরা পড়ে ১৫ শতকের কাব্যপ্রতিভা বিজয়গুপ্তের সময়ে। তিনি কানাহরি দত্তের কাব্যের ত্রুটি-বিচ্যুতি উল্লেখ করেছেন তীর্যক ভাষায়। বিজয় গুপ্তের ভাষায়, ‘মূর্খে রচিল গীত, না জানে বৃত্তান্ত।/ প্রথমে রচিল গীত, কানাহরি দত্ত।’

তাই জাতীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সদা সতর্ক থাকতে হবে যাতে পরবর্তী সময়ে তা কানাহরি দত্তের কাব্যের মতো যুক্তিযুক্ত সমালোচনার মুখোমুখি না হয়। আর তা কোনো জাতি ও রাষ্ট্রের জন্যও কল্যাণকর নয়।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন

সকল