১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রশাসন নিয়ে যত কথা

-

অবক্ষয় দুরাচার অনৈতিকতার যে ব্যাপক বিস্তার সমাজে আজ ঘটছে তাতে এ সত্যকে আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই- রাষ্ট্রযন্ত্রে মারাত্মক বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে। যন্ত্র বিকল হলে এটা স্বাভাবিক যেকোনো মুহূর্তে বিপদ আসতে পারে। এখন রাষ্ট্রতরীর যারা হাল-দাঁড় ধরে আছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তাদের হাত যেন ফসকে যাচ্ছে। তাই এ তরীকে তারা কূলে ভিড়াতে সক্ষম হবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহসোবা সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রে বৈকল্য সৃষ্টি হলে এর প্রতিক্রিয়া সমাজে দেখা দিতে বাধ্য। তার উদাহরণ হিসেবে বলতে হয়, সমাজের দর্পণ খবরের কাগজে প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন অপসংবাদ। খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি ও বিভিন্ন পৈশাচিকতা। মানবাধিকারের এমন ঘোরতর দুর্দিনে সাধারণভাবে এটাই উপলব্ধিতে আসছে যে, দেশের মানুষ যেন দুঃসহ এক নরক রাজ্যের অধিবাসী। এমন আর্থ-সামাজিক অবস্থার ত্রাতা হিসেবে কাকে পাওয়া যাবে। অথচ আইনানুগভাবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা জনগণকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত। সে দায়িত্ব পালিত হচ্ছে না বলেই আজকের এই আহাজারি ও আক্ষেপ। পক্ষান্তরে সমাজে দুরাচারীদের প্রভাব প্রতিপত্তি অনাচার সব সীমা অতিক্রম করে গেছে এবং যার পরিণতিতে ন্যায়, সুর্নীতি সব কিছুর অন্তর্ধান ঘটেছে। সমাজের এমন অধোগতি হঠাৎ বা এক দিনে ঘটেনি। দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমান্বয়ে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। অনেক সময় ‘ওয়াচডগ’রা এর বিপদ সঙ্কেত দিলেও তা কেউ গ্রাহ্য করেনি। সজ্ঞানেই এসব দৃষ্টি থেকে দূরে রাখা হয়েছে যাতে স্বেচ্ছাচারিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো অন্তরায় না ঘটে। এই মনোভাবের কারণেই আজকে সমাজে কর্তৃত্ববাদিতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এমন শাসন সব সময়ই গোষ্ঠীর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলে। সংখ্যাগরিষ্ঠদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়া হয় না। এমন পথে চললে সমাজের হালটা কী হয় তার কিঞ্চিৎ আভাস উপরে দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য সুরক্ষা দেয়ার জন্যই থাকে প্রশাসন। আর এই প্রশাসন পরিচালিত হওয়ার কথা দেশের সুনির্দিষ্ট বিধানাবলির অনুসরণে। যেহেতু সব মানুষের কল্যাণের জন্যই আইন; তাই তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনোভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া সঙ্গত নয়। কিন্তু আইনের এমন নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টি এখন আর বজায় থাকছে না। প্রশাসন আজকে রাজনৈতিক বিবেচনাকে সম্মুখে রেখে পরিচালিত হচ্ছে। আর তাতে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ পাচ্ছে আনুকূল্য আর কেউবা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে রাজনীতির অঙ্গনে এমন অবস্থাটা অনেক বেশি প্রকট। ক্ষমতাসীনেরা তাদের প্রতিপক্ষের প্রতি যেমন অসহিষ্ণু তেমনি প্রশাসন সেই সরল রেখা অনুসরণ করে চলছে। তাতে প্রশাসন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণ নয় বরং সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটছে। ফলে ক্ষমতাসীনরা সন্তুষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাতে জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং মানুষ এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছে, আর সমাজের ভারসাম্য ভেঙে পড়েছে। এ কথা বলা হয়েছে, একটি আইনানুগ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রীয় নীতি, কিন্তু সে নীতি অনুসৃত হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় বিধানের নির্দেশনা হচ্ছে কোনো নাগরিকের প্রতি কোনোরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। অথচ রাজনৈতিক মতপথের বিবেচনা এখন আচরণে তারতম্য ঘটছে। এমন হীন বোধ পোষণকারীদের কাছ থেকে আইনানুগ সমাজ প্রতিষ্ঠার আশা করা বাতুলতা মাত্র। তাই তো এখন আইনের ব্যত্যয় নিয়ে আনা নানা অভিযোগ। মনে রাখতে হবে, আইনপ্রণেতাদের দৃষ্টি থাকে আইনের হাত হবে সুদূরপ্রসারী। কিন্তু আজকে আইনের এই দীর্ঘ হাত ততটাই সম্প্রসারিত হতে পারে প্রশাসন যতটা চায়। এভাবে সুবিচার সবার ভাগ্যে জোটে না। কোনো অপরাধী যদি প্রশাসনের আশীর্বাদ লাভ করে, তবে তার শত অপরাধ বিচারের জন্য এমনভাবে সোপর্দ হয়, যেখানে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেয়ার জন্য বিচারকের কোনো পথ থাকে না। আজ সমাজে এমন ঘটনা বহু ঘটছে। তাই বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদে ফিরছে। সমাজে যখন এমন অনাচার বৃদ্ধি পাবে, তখন ধীরে ধীরে ক্ষোভ বিক্ষোভের জন্ম দেবে। একসময় তা সব বাঁধ ভেঙে সর্বগ্রাসী প্লাবনের সৃষ্টি করবে। প্রশাসনের কারসাজিতে নিরপরাধ ব্যক্তি বছরের পর বছর কারা জীবন যাপন করেছে।

সরকারের প্রতিপক্ষদের প্রতি প্রশাসনের শ্যেন দৃষ্টির কথা উপরে বলা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রীয় বিধান প্রতিটি মতপথের মানুষকে নিজস্ব চিন্তাচেতনার আলোকে সমষ্টিবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। আর এই চেতনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণস্বরূপ। আমাদের সংবিধান বলেছে, এই প্রজাতন্ত্র চালিত হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে। কিন্তু এখন গণতন্ত্রের এই নির্দেশকে উপেক্ষা করছে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণকারী প্রশাসন। সরকারে প্রতিপক্ষের প্রতি ক্ষমতাসীনরা যে চড়া গলায় কথা বলে, তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্চকণ্ঠে মন্দ বলে প্রশাসন। সংবিধান যেখানে মতপথে ভিন্নতা সত্ত্বেও সবাইকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার দিয়েছে কিন্তু প্রশাসন সেখানে তার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে আছে। সরকারের প্রতিপক্ষরা এখন জনসংযোগের কোনো সুযোগ লাভ করছে না, তাদের সভা সমাবেশ বিক্ষোভ করার অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আইনা মান্যকারী বিরোধী দলের চলার পথ এভাবে বন্ধ করা হলে এর পরিণতি কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। এভাবে স্বাভাবিক ধারাকে পথরুদ্ধ করলে একদিন এমন পরিণতি সবার জন্যই ঘটতে পারে।

বর্তমানে প্রশাসনের রাজনৈতিক আনুগত্য নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তাতে তাদের দক্ষতা যোগ্যতার বিষয়টি এখন গৌণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরস্কার তিরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে মানগুণের আর কোনো বিবেচনা নেই। সেই সাথে প্রশাসনের মূল লক্ষ্যের পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। জনসেবা দেয়ার মানসিকতার পরিবর্তে রাজনৈতিক উপরওয়ালাদের মনোতুষ্টি মনোরঞ্জন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে তাদের নগদ লাভ রয়েছে। সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও পদোন্নতি লাভের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এর বিপরীত যে প্রশাসক যোগ্য মেধাবী মানগুণে উত্তীর্ণ কিন্তু লেজুরবৃত্তির মানসিকতা পোষণ করেন না, তাদের দুর্ভাগ্যের সীমা নেই। এমন বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বহু ক্ষেত্রে অযোগ্যদের হাতে দায়িত্ব অর্পিত হয়, কিন্তু পদের হক তারা আদায় করতে পারেন না। এমন পদায়ন যখন ঘটে তখন ব্যক্তি বিশেষ উৎফুল্ল হয় বটে কিন্তু সামগ্রিকভাবে কর্মক্ষেত্রে এক চরম নৈরাশ্য দেখা দেয়। কর্মী পছন্দে এমন ভুল যা কি না প্রশাসনিক ব্যবস্থায় অসংখ্য ভুলের জন্ম দিয়ে থাকে। এর অশুভ প্রতিক্রিয়া রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে পড়তে বাধ্য।

দেশে এখন অনিয়ম দুর্নীতির যে সয়লাব চলছে, তার পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন পৃষ্ঠপোষকতা তো আছেই। কিন্তু তার পথ মসৃণ করে দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা রয়েছে অনেক। জুয়া মাদকের আড্ডা নিয়ে যে তোলপাড় কাণ্ড চলছে, তার যে শত শাখা-প্রশাখায় পল্লবিত হয়েছে একান্তই প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার সহযোগিতায়। রাষ্ট্রীয় আইনে এসব নিষিদ্ধ। অথচ তার পরও আইন প্রয়োগকারীদের চোখ ছিল মুদ্রিত কণ্ঠ ছিল নির্বাক। এখন একে একে বেরিয়ে আসছে সব দুর্নীতির যত আখড়া। আইন প্রয়োগকারীদের দৃষ্টির সম্মুখে এমন গর্হিত কর্মকাণ্ড চলতে দেয়া নিশ্চয়ই অপরাধ। কিন্তু রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ এসব নজরে আনবে কি না, এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে! এই মুহূর্ত পর্যন্ত তার কোনো আলামত দেখতে পাওয়া তো দূরের কথা, কোনো রা শব্দ শোনা যায় না। অথচ এই অনিয়ম দুর্নীতি রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম বিচ্যুতি। এসব নিয়ে এখন যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় অঘটন ঘটাতে কেউ ভয় পাবে না। একই সাথে এ কথা সবার ভাবতে হবে যে, এসব যদি হেলা-অবহেলায় অতিক্রম করে তবে এটা বুঝতে হবে কর্তৃপক্ষ কার সাথে আপস করছে। বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যরকম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত। এখন তো তবে আমাদের এই অভিযোগ অনুমোদন করেই নেয়া হবে। এতকাল রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে শত অভিযোগ ছিল এখন সেই সাথে যুক্ত হবে দুর্নীতি। একটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে যদি ক্রমাগত এমন সব অভিযোগ উঠতেই থাকে, তবে এটাই প্রতিপন্ন হবে যে তাদের দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি রয়েছে। যেকোনো কর্তৃপক্ষের গায়ে এমন সব অভিযোগ লেপ্টে গেলে নিঃসন্দেহে তা নৈতিক বিচ্যুতির বিষয় বলে ধরে নেয়া হবে।

রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য নির্বাহী বিভাগের বিপরীতে বিরোধীপক্ষের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কেননা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধীপক্ষের অস্তিত্ব হচ্ছে একটি শর্ত। এই শর্ত ষোলোআনা পূরণ হওয়া অপরিহার্য। নির্বাহীরা যে ভুল করে তাকে চিহ্নিত করা এবং তাদের সঠিক পথে চলতে দিকনির্দেশনা দেয়া বিরোধীপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখন দায়িত্বে সমাসীন নির্বাহীদের প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। এটা কোনো ছোটখাটো ত্রুটি নয়, খোদ গণতন্ত্রের চেতনাকে চরমভাবে আঘাত করছে। রাষ্ট্রযন্ত্রে শুদ্ধতার অনুশীলন করা কোনোভাবে সম্ভব নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহীদের মধ্যে এতে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অশুভ আকাক্সক্ষা জাগ্রত হতে পারে। যেকোনো রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় বিশেষ করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ সম্মিলিতভাবে দেশ পরিচালনা করে থাকে। আইন সভায় তথা সংসদই নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি করে থাকে। কিন্তু আইন বিভাগে এখন আর কোনো প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। সংসদে সরকারের যাবতীয় দুর্বলতা তাই তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। উপরে যাবতীয় যত ত্রুটি বিচ্যুতির কথা বলা হয়েছে। তার কোনো বিষয় নিয়েই নির্বাহীদের সংসদে ধরা হয় না। আর এখন অনিয়ম অব্যবস্থা চলছে, তার এও একটি কারণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সওয়াল জবাব না থাকা। সরকার বলছে, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই অভিযান নিয়ে অভিযোগ এখানেও রাজনীতির সমীকরণ রয়েছে, কেউ কেউ বলছেন চুনোপুঁটি ধরা হলেও রুই কাতলাদের ধরা হচ্ছে না। দুর্নীতি দমনেই যদি এমন অনিয়ম হয় তবে এই দুরাচার বাড়বে বৈ কমবে না। যদি তাই হয় তবে এই অভিযান নিছক একটি লোক দেখানো ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির শাখা-প্রশাখা যেভাবে বিস্তার লাভ করছে বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সেটা কেবল তাদের জন্য সতর্কবাণী নয়, এর পরিণতিতে সদল বলে তা সবাইকে নিয়ে অতলে পৌঁছে দেবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর চলল। এই সময়টা কোনো দেশের জন্য খুব কম সময় নয়। কিন্তু এ সময়ে মূল্যবান স্বাধীনতা ছাড়া আর কী অর্জন করতে পেরেছি আমরা। সে হিসাব যদি নেয়া হয় তবে প্রাপ্তির খাতায় তেমন কিছুই যোগ করা যাবে না। দেশের শাসনব্যবস্থায় না কোনো স্থিতিশীলতা না কোনো বিশুদ্ধতা যোগ হয়েছে। এখনো সেই দূর অতীতের মতো গণতন্ত্রের জন্য হাহাকার রয়েছে। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের পথচলা নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট নয়। দেশে এক বিরাটসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ভাবার কেউ নেই। এখনো মানুষের মৌলিক পাঁচ অধিকার- অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে নানা আশারবাণী শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। সেইসাথে আমাদের আমলা শ্রেণীদের নিয়েও আক্ষেপ অনেক। দেশের বিদ্যাবৃদ্ধি মেধায় উত্তীর্ণ আমলাদের কাছ থেকে আশা করা হয়েছিল তারা তাদের যোগ্যতার ষোলোআনা দেশের জন্য উজাড় করবে। তাতে শুধু দেশের মুখোজ্জ্বল নয় সমৃদ্ধি স্বস্তি এনে দেবে মানুষের জীবনে। কেননা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের অবস্থান, সুনীতি অনুসরণ করে তারা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু সে আশাটা বৃথাই বলে মনে হচ্ছে।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement