২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হঠাৎ সঙ্কট, হঠাৎ সমঝোতা!

-

গত বৃহস্পতিবার কার্তিকের আকাশে মেঘ ঘনিয়ে ছিঁচকাঁদুনে শিশুর মতো দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলো আর রাস্তাঘাট একাকার হয়ে গেল পানির চেয়ে বেশি কাদায়। এর আগেই অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের আকাশে হঠাৎ জমে ওঠা কালো মেঘ কোনো ঝড় না তুলে দৃশ্যত সরে গেছে। জাতি এ কারণে আপাতত স্বস্তির শ্বাস ফেলছে। আবার কোন সময়ে না জানি অস্বস্তির নিঃশ্বাসের কারণ ঘটে, সে দুর্ভাবনা রয়ে গেল।

ঘটনার শুরু গত সোমবার। হঠাৎ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের খেলুড়েরা ধর্মঘটে নামার চরম কর্মটি করে জাতিকে চমকে দিলেন। তাদের ঘোষণা শোনা গেল, ‘১১ দফা না মানলে আপাতত ক্রিকেট ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগদান বন্ধ।’ সেই সাথে ঝুলে গিয়েছিল বাংলাদেশ টিমের গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল প্রত্যাশিত ভারত সফরের পূর্বঘোষিত প্রোগ্রাম। এমনিতেই ক্রিকেট বিশ্বের ‘ত্রিরতœ’ অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-ভারতের নাক উঁচু স্বভাবে বাংলাদেশের মতো পিছিয়ে থাকা টিমগুলোর বিব্রতকর অবস্থা। তদুপরি এ দেশের বৃহত্তম ও সর্বপ্রধান প্রতিবেশী দেশটি ক্ষমতাসীন মহলের বিশ্বাস মতে- আমাদের ‘সবচেয়ে পরীক্ষিত মিত্র’। অতএব, ক্রিকেটাররা কোনো ধরনের ‘পিকেটার’ হওয়ার মতো কারণ যেন না ঘটে, সে জন্য সাথে সাথে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেল সরকারের শীর্ষমহলে। শুধু ক্রিকেট বোর্ডপ্রধান নন, খোদ সরকারপ্রধানও স্বাভাবিকভাবেই পড়ে গেলেন দুর্ভাবনায়। তিনি দলীয় এমপি এবং প্রখ্যাত ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে উদ্ভূত সঙ্কট নিরসনার্থে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেয়ার খবর প্রকাশ পেল। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ‘বিদ্রোহী’ খেলোয়াড়রা ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবির সাথে বৈঠকে বসলেন। এক বৈঠকেই সব উত্তেজনা ঠাণ্ডা! পরে কী হবে জানি না, আপাতত সমস্যার সুরাহাই প্রতীয়মান হয়েছে।

বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলার আর্থিক ভিত্তি এখন মোটামুটি মজবুত। সে তুলনায় ফুটবল আর হকির অবস্থা অনেক খারাপ। ক্রিকেট বোর্ড এ দু’টি খেলার জন্যও সাহায্য করেছে আর্থিকভাবে। তার পরও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নানারকম সমস্যা ও অভিযোগ আছে। বোর্ডের ভাষ্য, ‘তারা ক্রিকেটের ও ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত এবং অনেকাংশেই সেগুলোর সমাধান হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলোর সুরাহা করার ব্যাপারে বিসিবি তৎপর।’ এ দিকে জাতীয় ক্রিকেটাররা অভিযোগ করেছেন, এবার হঠাৎ করে তাদের সম্মানী কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে তারা আর্থিক সমস্যায় পড়বেন। আসলে কয়েক দিন আগে বিসিবি যখন ঘোষণা দেয়, এ বছর প্রিমিয়ার লিগে ফ্রাঞ্চাইজি থাকবে না এবং বিসিবি নিজেই সব টিমকে পরিচালনা করবে, বিশেষ করে তখন থেকেই জটিলতার উৎপত্তি। এখন আসছে চুক্তির আওতাধীন জাতীয় ক্রিকেটারদের সংখ্যার বিষয়টিও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের আকস্মিক ধর্মঘটে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন, তারা তার কাছে দাবি পেশ না করে সরাসরি চরম পদক্ষেপ নেয়ায়। কথা থেকে যায়। কারণ প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, ক্রিকেটারদের খেলার সম্মানী হঠাৎ কমানোর ঘোষণা দেয়ার আগে কি তাদের সাথে বিসিবি আলোচনা করেছে; কিংবা তাদের কি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল? ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানা ছিল। দীর্ঘ দিনেও সুরাহা না হওয়ায় খেলোয়াড়রা একেবারেই ধর্মঘট ডেকে বসলেন, যা প্রায় নজিরবিহীন। আর কর্তৃপক্ষ ধারণা করতে পারেনি যে, ভারত সফরের প্রাক্কালে তারা এমন ‘গরম’ কর্মসূচি দিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করবেন। দুই তরফের যে সমঝোতা ত্বরিত পরিলক্ষিত হয়েছে, তা কার্যকর হোক এবং দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা প্রত্যাবর্তন করুক- এটাই সবার কাম্য।

ক্রিকেট বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা। এ দিক দিয়ে ফুটবলকে ক্রিকেট পেছনে ফেলে দিয়েছে। স্বভাবতই ক্রিকেটকে মিডিয়া বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরে। এবার ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ইস্যুও মিডিয়ায় যথাযথ গুরুত্ব পেয়েছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার ও দৃশ্যমান সুরাহার পরও এ নিয়ে পত্রিকার পাতায় আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই।

একটি জাতীয় দৈনিকে গত শুক্রবার বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগে আম্পায়ারিংয়ের নিম্নমান এবং সংশ্লিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে। বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটাররা অন্তত একটা মারাত্মক অভিযোগ, যা অনেক দিন ধরেই সবার জানা, সামনে এনেছেন। সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘ঢাকার লিগের কোন ম্যাচে কোন দল জয়লাভ করবে, খেলার আগে থেকেই সেটা সবাই জানে।’ এ সম্পর্কে অনেক লেখালেখি হয়েছে, তবে কাজ কিছুই হয়নি। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের যারা ‘মা-বাপ’, তাদের কাছে এ বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।

মূলত রাষ্ট্রব্যবস্থা বা রাজনীতির প্রভাব জাতীয় জীবনের সব অঙ্গনেই পরিদৃষ্ট হয়ে থাকে। মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে। রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি হলো একটা দেশ বা জাতির ‘মাথা’র মতো প্রধান বিষয়। আমাদের জাতীয় রাজনীতির যে অধঃপতন, রাষ্ট্রব্যবস্থার যে অবক্ষয়, তার মন্দ প্রভাব ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ সমাজের সর্বত্র পরিলক্ষিত হওয়াই অনিবার্য। এটা যে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অসঙ্গত, সে কথা মনে রাখতে হবে। হাদিসে আছে- আন্না-সু আলা দ্বীনে মুলূকিহিম (রাষ্ট্র যেভাবে চালায়, জনগণ সেভাবে চলে)। আজ বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতা ব্যাপক ও প্রকট। রাজনীতি তথা রাষ্ট্রব্যবস্থার পর্যাপ্ত পরিবর্তন ব্যতিরেকে জাতির এসব সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে না। তাই গোড়ায় হাত দিতে হবে।

গত বছর ২৭ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। এতে লেখা হয়েছিল, ‘কয়েক বছর ধরে অনিয়মই নিয়ম ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে। অর্থ আর পেশিশক্তির কাছে হেরে ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট এখানে চূড়ান্ত অভদ্র। মাঠের খেলার চেয়ে বড় ভোটের স্বার্থ। পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং আর পাতানো ম্যাচ দেখে বড় হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা।’ প্রতিবেদক লিখেছিলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে অন্যায় সুবিধা পাইয়ে দিতে কাজ করে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী।’ বিসিবির জনৈক পরিচালক এর হোতা বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল, ‘এই গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যৎ বিসিবি নির্বাচনে অবস্থান শক্তিশালী রাখতে যত বেশিসংখ্যক নিজেদের ক্লাবকে লিগের পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকে রাখা।’

ক্রিকেটাঙ্গন তথা খেলাধুলার জগতের এই চিত্র জাতীয় জীবনের সামগ্রিক বা বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে ভিন্ন কিছু নয়। আমরা বিশেষ করে গত কয়েক দশকে দেখে আসছি, অনেক সময় ক্ষমতাসীন বড় দল ‘হোন্ডা, ডাণ্ডা আর গুণ্ডা’ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ‘ঠাণ্ডা’ করে নির্বাচনী মাঠ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এহেন অবস্থার ক্রমাবনতির পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা ‘আম্পায়ার’ ছিলেন, দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষপাতমূলক আচরণ আর পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ জনমনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ক্রিকেট বা খেলাধুলার মতো নির্বাচনেও ‘আম্পায়ারিং’ যে সৎ ও যোগ্য, সাহসী ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সম্ভব নয়, তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।

এবার ক্রিকেটারদের পেশ করা ১১ দফা দাবি যে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত, তা বিসিবি মহল স্বীকার করেছে। অন্য দিকে দাবিগুলো যতই যুক্তিসঙ্গত হোক, সেগুলো তুলে ধরার জন্য হঠাৎ ধর্মঘটের মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়ার আগে অন্তত বিসিবি প্রধানের সাথে একবার হলেও বৈঠকে বসা উচিত ছিল, এমন উপলব্ধি খেলোয়াড়দের অনেকের হয়তো হয়েছে।

তবে এভাবে ধর্মঘট ডেকে বিরাট চাপ সৃষ্টি করা না হলে ১১ দফা দাবির দিকে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট হতো কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে। আর ধর্মঘট করা তো শিখিয়েছেন আমাদের রাজনৈতিক নেতারা। নিকটাতীতে দাবি আদায়ের জন্য সরকারকে কোণঠাসা করতে দিনের পরদিন, মাসের পর মাস হরতাল ডেকে কারা দেশটাকে অচল করে দিয়েছিলেন, তা দেশের মানুষ দেখেছে। রাজনৈতিক মহল হঠাৎ করে চরম পদক্ষেপ নিলে অন্যরাও এমন হঠকারিতায় উদ্বুদ্ধ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

যা হোক, ক্রিকেটারদের আর্থিকসহ পেশাগত নানা দাবিদাওয়া উত্থাপন এবং তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্রিকেটসহ পুরো ক্রীড়াঙ্গনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য কাজকর্মে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আরো থাকা চাই যোগ্যতার সাথে সততা ও নিষ্ঠা। বৃহত্তর অঙ্গনে তথা জাতীয় জীবনে বিশেষত রাজনীতিতে ও রাষ্ট্র চালনায় যদি কথা ও কাজে মিল না থাকে, শপথ ভঙ্গ করা নিয়মে পরিণত হয়, জনগণকে ‘নাগরিক’-এর বদলে ‘প্রজা’ বলে মনে করা হয়, তা হলে আলাদাভাবে ক্রীড়ার অঙ্গনে ব্যক্তি-গোষ্ঠী-দলের দাপটের কিংবা স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈরাজ্যের অবসান হবে না। লোকদেখানো নির্বাচন দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। তেমনি লাগাতার অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অবিচারের রাজত্ব ক্রীড়াকে শরীরচর্চা ও পেশাদারিত্বের পর্যায় পার করে নেহায়েত ‘ব্যবসার মাধ্যমে আত্মস্বার্থচরিতার্থ’ করার স্তরে নামিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রিকেটারদের একেবারে ধর্মঘটের মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার পটভূমি তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিক লিখেছে, “এটি আকস্মিক কোনো ব্যাপার নয়। তাদের টগবগ করে ফুটন্ত, ক্ষোভের সূচনা ছয় বছর আগে ২০১৩ সালে। তখন বিসিবি প্রথমবারের মতো নিয়ম করেছিল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ‘বাই চয়েস’ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে এবং তাদের বেতন নির্ধারিত হবে গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতে। ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের ঐতিহ্যবাহী ‘ট্রান্সফার সিস্টেম’ বাতিল করে এ নতুন প্রথার প্রচলন ঘটায়। বাতিলকৃত পদ্ধতির আওতায় খেলোয়াড়রা নিজেদের ক্লাব বাছাই করে নিতে পারতেন এবং বেতনের ব্যাপারেও দরাদরি করার সুযোগ ছিল তাদের।’ পত্রিকাটি আরো লিখেছে, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন খেলোয়াড়দের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, নতুন প্রবর্তিত ‘বাই চয়েস’ পদ্ধতি কেবল এক মওসুম কার্যকর থাকবে এবং পরের মওসুমে আবার আগের নিয়ম বহাল হয়ে যাবে।’ ছয় বছর চলে গেছে, কিন্তু বিসিবি আর নতুন নিয়ম বাতিল করেনি। ফলে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের হাত থেকে ক্ষমতা চলে গেছে ক্লাগুলোর কাছে।”

এই যে কথা না রাখার মন্দ নজির, এটা শুধু খেলার জগতে নয়; জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও তা দেখা গেছে। জাতি ভুলে যায়নি, ২০১৪ সালের গোড়ার দিকে ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীনেরা ঘোষণা করেছিলেন- ‘এটা তো মাত্র নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। যত শিগগির সম্ভব সংসদ নির্বাচন করা হবে সব দলকে নিয়ে।’ বছরের পর বছর চলে গেলেও আর আসল নির্বাচনের আয়োজন করা হয়নি। প্রহসনের নির্বাচনের ভিত্তিতে পুরো মেয়াদ কাটিয়ে সরকার দেশ ও জাতির জন্য মূলত ট্র্যাজেডি ডেকে এনেছে।

এবার হঠাৎ ‘সমস্যার মতো হঠাৎ সমাধান’ও ক্রিকেটপ্রেমীদের বিস্মিত করেছে। যথাসময়ে ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা’ই উত্তম।


আরো সংবাদ



premium cement