২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইন যাদের স্পর্শ করে না

-

ইংরেজি শব্দ গড থেকে ‘গডফাদার’ শব্দের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হলেও ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ অভিধানে (বাংলা একাডেমি প্রণীত) ‘গডফাদার’ খুঁজে পাওয়া যায় না। ওই অভিধানে ‘গড’ শব্দার্থ করা হয়েছে দেবতা, উপাস্য বিগ্রহ, কামদেব, সমুদ্র দেবতা, অসাধারণ বা অপরূপ কোনো কিছু। আরো উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা, পরমেশ্বর প্রভৃতি। মোটা দাগে গডফাদার বলতে ‘সৃষ্টি কর্তার পিতা’ বোঝানো হতে পারত, কিন্তু এটা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জঘন্য অপরাধমূলক কথা। তারপরও সময়ের ব্যবধানে সমাজে সৃষ্ট এক শ্রেণীর মানব যখন দানবে পরিণত হয়, তখন অভিধানে না পাওয়া গেলেও ‘সময়’ ও ‘সমাজ’ পরিচিতির জন্য একটি নাম খুঁজে বের করে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরি হয়ে পড়ে।

যেমন ‘হাইজ্যাক’ শব্দটি ২০০ বছর পুরনো অভিধানে পাওয়া যায় না। কারণ, তখন হাইজ্যাকের মতো ঘটনা ঘটেনি। এ শব্দটিও মিডিয়ার সৃষ্টি যা বর্তমানে প্রচলিত। অনুরূপ, ‘গায়েবি মামলা’ শব্দটি ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি বা কোনো আইন বইয়ের কোথাও নেই। তারপরও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আমলে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ‘গায়েব থেকে সৃষ্টি করা’ মামলার ব্যাপকতা এতই বেড়েছে, যাতে মিডিয়ার গর্ভ থেকেই ‘গায়েবি’ শব্দটির উৎপত্তি, কোনো অভিধান থেকে নয়। ‘হাইজ্যাক’ শব্দটির মতো ‘গায়েবি মামলা’ শব্দটি হয়তো অভিধানে একদিন স্থান পাবে, স্থান করে নেবে ইতিহাসের পাতায়, তবে কোনো পটপরিবর্তনের আগে নয়, যেমনটি চলে আসছে আমাদের সমাজে, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবীদের মনমস্তিকে।

ঔঁংঃরপব খ.চ. ঝরহময এবং চ.ক. গধলঁসফবৎ প্রণীত ঔঁফরপরধষ উরপঃরড়হধৎু-তে 'এড়ফ ঋধঃযবৎ' শব্দটি পাওয়া যায় না, তবে এধহমংঃবৎ সম্পর্কে (পৃষ্ঠা-৭২৪) বলা হয়েছে যে, “অ সবসনবৎ, ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু রহ ঃযব ট.ঝ., ড়ভ ধহ ড়ৎমধহরুধঃরড়হ ফবাড়ঃবফ ঃড় ঢ়ৎড়ভরঃ ভৎড়স ংঁপয ধপঃরারঃরবং ধং বীঃড়ৎঃরড়হ, মধসনষরহম, ফৎঁমং, ধহফ ঢ়ৎড়ংঃরঃঁঃরড়হ. ঐব সধু নব ধহ ড়ৎমধহরুবৎ যিড় ঢ়ষধহং ঃযব মধহম’ং ড়ঢ়বৎধঃরড়হং ড়ৎ ধ ঢ়ধৎঃরপরঢ়ধহঃ. ঞযব ড়িৎংঃ ৎবপড়ৎফবফ ঢ়বৎরড়ফ ড়ভ মধহমংঃবৎরংস ধিং রহ ঃযব ট.ঝ., ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু ঘবি ণড়ৎশ ধহফ ঈযরপধমড় ফঁৎরহম ঃযব চৎড়যরনরঃরড়হ বৎধ, যিবহ মধহমংঃবৎং বহমধমবফ ড়ঢ়বহষু ধহফ ারড়ষবহঃষু রহ ংঃৎঁমমষবং ভড়ৎ ঃযব পড়হঃৎড়ষ ড়ভ ঃযব সধশরহম ধহফ ফরংঃৎরনঁঃরড়হ ড়ভ রষষরপরঃ ষরয়ঁড়ৎ. গঁৎফবৎং বিৎব পড়সসড়হঢ়ষধপব.”

ওই অভিধানে ‘এড়ড়হফধ’ শব্দের (পৃষ্ঠা-৭৩৫) ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, "এড়ড়হফধ রং ধ ঐরহফর ড়িৎফ ধহফ রহ ঃযব ঐরহফর-গধষধুধষধস উরপঃরড়হধৎু, ঃযব সবধহরহম ড়ভ ঃযব ড়িৎফ রং মরাবহ ধং ‘ঞযবসসধফর’ যিরপয সবধহং ধ াধমধনড়হফ. ঞযব সবধহরহম ড়ভ ঃযব ড়িৎফ ‘এড়ড়হফধ’ পধহ নব মধঃযবৎবফ ভৎড়স ঃযব ফবভরহরঃরড়হ ড়ভ ঃযব ঃবৎস ‘মড়ড়হফধ’ রহ ঃযব ঈ.চ. ্ ইবৎধৎ এড়ড়হফধং অপঃ, ১৯৪৬, ঝবপঃরড়হ ২ ড়ভ ঃযব অপঃ, ফবভরহবং ধ এড়ড়হফধ ধং সবধহরহম ধ যড়ড়ষরমধহ ৎড়ঁময ড়ৎ ধ াধমধনড়হফ ধহফ ধং রহপষঁফরহম ধ ঢ়বৎংড়হ যিড় রং ফধহমবৎড়ঁং ঃড় ঢ়ঁনষরপ ঢ়বধপব ড়ভ ঃৎধহয়ঁরষরঃু."

মোহাম্মদ সাইফুল আলম প্রণীত খধি উরপঃরড়হধৎু-তে এড়ফ ঋধঃযবৎ এর শব্দার্থ করা হয়েছে ‘ধর্ম পিতা’। ঙীভড়ৎফ উরপঃরড়হধৎু (১৯৯৯ ঊফরঃরড়হ পৃষ্ঠা-৫১০) 'এড়ফ ঋধঃযবৎ' শব্দের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, 'অ াবৎু ঢ়ড়বিৎভঁষ সধহ রহ ধ পৎরসরহধষ ড়ৎমধহরুধঃরড়হ (ঃযব গধভরধ)।' অপরাধ জগতে মাফিয়া, দি মব (গঙই), সিন্ডিকেট প্রভৃতি শব্দ ব্যাপকভাবে পরিচিত। ১৯৬৯ সালে ঞযব এড়ফ ঋধঃযবৎ নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পরই বিশ্বব্যাপী এ শব্দটি পরিচিতি লাভ করেছে এবং বইটি ১৫ মিলিয়ন কপি তৎসময়ে বিক্রি হয়। ১৯৭২ সালে এ শিরোনামে একটি সিনেমা প্রদর্শিত হয় যা ২০ কোটি মানুষ উপভোগ করে। পরে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ঐইঙ টেলিভিশন 'ঞযব ঝড়ঢ়ৎধহড়ং' শিরোনামে সিরিয়াল প্রদর্শনের পর গডফাদার কী এবং কোন যোগ্যতা অর্জন করলে একজন মানব দানবে পরিণত হলে এ ‘উপাধি’ পায়, সে সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হতে শুরু হয়। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ভাষ্য মতে, অপরাধ জগতের অতিক্ষমতাবান ব্যক্তিকেই গডফাদার বলে। ফলে বিষয়টি সহজেই অনুমেয় যে, ব্যক্তি অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে বা ‘আইন’ যার বিরুদ্ধে কার্যকর হয় নাÑ সে ব্যক্তিই গডফাদার।

আইন কী? আইন কেন করা হয়? আইনের রকম ধরন ও এর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক কথা থাকলেও যে আইন সবার জন্য সমভাবে কার্যকর নয়, তা নিশ্চয় সার্বজনীন আইন নয়। আইন সম্পর্কে প্রখ্যাত ব্রিটিশ কবি ড.ঐ. অঁফবহ বলেছেন, 'ঞযব ষধি রং ঃযব ষধ'ি (সূত্র: ঔধসবং ঐড়ষষধহফ এবং ঔঁষরধহ ডবনন প্রণীত খবমধষ জঁষবং পৃষ্ঠা-১)।

আইন দার্শনিকরা ‘আইন’ সম্পর্কে এমনো মতামত দিয়েছেন যে, “খধি রং ধ ঃড়ড়ষ ড়ভ ড়ঢ়ঢ়ৎবংংরড়হ ঁংবফ নু ঃযব ৎঁষরহম পষধংং ঃড় ধফাধহপব রঃং ড়হি রহঃবৎবংঃ.” অর্থাৎ আইন হলো, ক্ষমতাসীনদের একটি অস্ত্র যা তাদের সুবিধা ও স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট আইনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন অনুশীলনের পর সমাজ থেকে ইু ধিু ড়ভ পড়হাবহঃরড়হ বা প্রথাগত আইন সৃষ্টি হয়, যা অনেক সময় ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট আইনের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। সামাজিক আইন ভঙ্গ করলে সমাজকর্তৃক তিরস্কৃত হতে হলেও জেল-জরিমানা বা শাস্তির কোনো বিধান নেই। ফলে সামাজিক প্রথাগত আইন যা হোক না কেন, ক্ষমতাসীনদের আইনের কাছে সামাজিক প্রথাগুলো অসহায় এবং কোথাও কোথাও বিলুপ্তির পথে। ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট আইন সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন করা যায়, যা সমাজে গৃহীত আইনে তা করা যায় না, তবে অনুশীলনের অভাবে তা দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে পড়ে।

বর্তমান সমাজব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয়পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা, শহর, উপজেলা, ওয়ার্ড, গ্রামপর্যায়ে গডফাদার সৃষ্টি হয়েছে। মোটা দাগে বলতে হয়, ‘আইন’ যাকে স্পর্শ করে না সে ব্যক্তিই ‘গডফাদার’ হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়া, পেছনে ভাগবাটোয়ারার একটি ‘ভদ্রোচিত’ চুক্তি (এবহঃষবসবহ ধমমৎবসবহঃ) থাকে বলে কোনো জায়গা থেকে কোনো কথা ওঠে না, তবে নীরবে নিভৃতে নির্যাতিত নিষ্পেষিত হয় জনগণ এবং ভেঙে পড়ে সামাজিক কাঠামো। এর থেকেই সৃষ্টি হয় সামাজিক বিপর্যয়। দীর্ঘদিন পরে হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোধোদয় হয়েছে যে, রাজধানীসহ প্রতি জেলায় বখাটে যুবক শ্রেণীর বিভিন্ন এধহম সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন দেয়ালে নিজ নিজ সংগঠনের নাম লিখে তারা আত্মপ্রকাশ করছে। অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব এধহম-এর সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের ভাষ্য মতে, নিজ নিজ এলাকার প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তারা চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে যার ফলে খুনসহ অনেক বড় অপরাধে তারা জড়িয়ে যাচ্ছে।

এধহম সদস্যদের গ্রেফতার এবং তাদের প্রতিরোধ করার প্রবণতার পাশাপাশি নতুন চক্র যাতে সৃষ্টি হতে না পারে, এ জন্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। প্রভাব বিস্তারের আকাক্সক্ষা থেকেই গডফাদারের সৃষ্টি এবং গডফাদার নিজের প্রভাবকে স্থায়ী ও মজবুত করার জন্য গ্যাং সৃষ্টি করে থাকে। আমাদের সমাজব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ায় ক্ষমতাসীনদের প্রতিরোধ করা প্রথাগত নিয়মকানুন দিয়ে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ক্ষমতার ছত্রছায়া না থাকলে প্রভাব বিস্তার সম্ভব নয়। পুলিশ যাকে সালাম দেয়, যার অপরাধ পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয় না, সে ব্যক্তিই মানব থেকে দানবে পরিণত হতে পারে। অন্য দিকে আকাশ সংস্কৃতির অফাবহঃঁৎব এবং ঐবৎড়রংস সুলভ ভূমিকা প্রতিনিয়ত ঘরে ঘরে প্রদর্শিত হওয়ায় গ্রামেগঞ্জে বখাটেরা ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকেই গডফাদার হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং বাস্তবে হচ্ছেও।

সরকারের দু’মুখো নীতি গডফাদার বা গ্যাংস্টার হওয়ার প্রবণতাকে বন্ধ করতে পারবে না, বরং এটাকে উৎসাহিত করছে। ভিলেন ধরনের প্রভাব সৃষ্টিকারী সিনেমাসহ দেশী-বিদেশী প্রতিটি চ্যানেলে গডফাদারদের সন্ত্রাসী চরিত্র যুব-কিশোরদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। এতে যুবসমাজ আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে পাড়ায়-মহল্লায় এখন গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে, যা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে গডফাদার। রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গডফাদারদের একই উদ্দেশ্য, যথা অর্থ, প্রভাব ও প্রতিপত্তি; মহৎ কোনো চিন্তা-চেতনা তাদের মাথায় থাকে না।

পৃথিবীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যত বড় বড় অপরাধ রয়েছে তার সবই সংঘটিত হচ্ছে গডফাদারদের দিয়ে, যারা সর্বক্ষেত্রে ধরাছোঁয়ার বাইরে অথবা আইন বা সরকারিবাহিনী তাদের স্পর্শ করতে পারে না, প্রতিরোধ করা তো দূরের কথা। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত অনেক ব্যক্তি স্বয়ং অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতার মাধ্যমে গডফাদারিজমকে সহযোগিতা করছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় কনভেনশনের মাধ্যমে প্রটোকল স্বাক্ষরের পরেও জাতিসঙ্ঘ এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১. শিশু ও নারীসহ মানব পাচার এবং মানব অঙ্গের প্রত্যক্ষ বিক্রি, ২. সমুদ্র, স্থল ও আকাশ পথেও অভিবাসন পাচার এবং ৩. অবৈধ পন্থায় অস্ত্র ও অস্ত্রের অংশ বা গোলাবারুদ প্রস্তুত ও পাচার- অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতিসঙ্ঘ আন্তঃরাষ্ট্রীয় তিনটি প্রটোকল স্বাক্ষর করছে (সূত্র : সাধারণ পরিষদের ৫৫/২৫ নম্বর রেজুলেশন)। কিন্তু ওই অপরাধগুলো বরং বেড়েই চলেছে।

আইনের ছদ্মাবরণ, প্রাণনাশের হুমকি এবং প্রলোভনই মানবপাচারের প্রধান উপাদান। শিশুদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, শিশু ও নারীদের যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার এবং শিশুশ্রম স্বাস্থ্যগত ও মানসিক ক্ষতির কারণ। বিশ্বে শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য ১৯৯৯ সালে জাতিসঙ্ঘ আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের মাধ্যমে এটা বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত (জাতিসঙ্ঘ কনভেনশন নং ১৮২) নিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) এর ২০০২ সালের প্রতিবেদন মোতাবেক, প্রতি বছর ১২ লাখ শিশু পাচার হয়েছে। বর্তমান সমাজ সভ্যসমাজ হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও উটের দৌড়ের জুয়া খেলার জন্য শিশুদের অপব্যবহার করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে উটের পিঠে শিশুদের বেঁধে দিলে ভয়ে শিশুরা কান্না শুরু করে; তখন উট দৌড়াতে শুরু করে এবং শিশুদের কান্না যত জোরে হয়, উট তত বেশি জোড়ে দৌড় দেয়। এতে কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়ে থাকে। যারা এ পন্থায় জুয়া খেলে তারাও নাকি মানুষ! এরাও নাকি সভ্যসমাজের দাবিদার; সর্বোপরি এরাও নাকি মুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিক।

লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী
(অ্যাপিলেট ডিভিশন)
taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে

সকল