২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জয়পুরহাট থেকে জামালপুর

- প্রতীকী ছবি

সালটা সম্ভবত ১৯৯৩। জয়পুরহাট কালেক্টরেটে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছিল। একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশিস রায়ের বিরুদ্ধে। এ নারী জেলা প্রশাসক অফিসে বিভিন্ন বিষয়ে তদবির নিয়ে যেতেন বলে জনশ্রুতি ছিল। ফলে প্রশাসনের কোনো কোনো কর্মকর্তার সাথে ছিল তার সখ্য। বিষয়টিকে কেউ কেউ ‘মাখামাখি’ হিসেবেও দেখতেন। এরই চরম মূল্য দিতে হয়েছিল সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে।

সরকারি অফিসে নারীকর্মীদের যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্তকরণ ও নিগ্রহের অভিযোগ এখনো আছে; হয়তো আগামী দিনেও থাকবে। এসব অফিসে আমরা যাদের পাঠাই তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক মান বিবেচনায় আনা হয় না। সেই ছিদ্রপথেই সেখানে মূল্যবোধহীন ও ইন্দ্রিয়কাতর কিছু লোকের পদচারণা ঘটে থাকে। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা প্রশাসকের অফিসে ধর্ষণের এমন ঘটনা একেবারেই নতুন ছিল। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল মিশ্রপ্রতিক্রিয়াও। অনেকেই ভিকটিমকে ‘নষ্ট চরিত্রের মেয়ে’ বলে মনে করতেন। সেটা অবশ্য ভিন্নকথা!

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিমের বর্ণনা মতে, ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশিষ রায় নারীকে অফিসকক্ষে ধর্ষণ করেছিলেন। ভিকটিমের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি বা চারিত্রিক দুর্বলতার কথা বলে ধর্ষণের মতো জঘন্য ও গুরু অপরাধকে লঘু করার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের এ ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ জোরালো। এ ধরনের কোনো ইস্যুতে ছাত্র-জনতার এমন ঐক্য আগে প্রত্যক্ষ করা যায়নি। এ ঘটনার খবর জানাজানি হওয়ার পর সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল নারীর মর্যাদা রক্ষায় এবং লম্পটের বিচারের দাবিতে।

সরকারি অফিস, বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অচল হয়ে গিয়েছিল গোটা জেলা শহর। জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ‘ধর্ষক’ কর্মকর্তার বিচারের বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। প্রশাসক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও জনতা শান্ত হয়নি। এ ঘটনার রেশ ছিল বেশ কিছু দিন।

আত্মগোপন করতে হয়েছিল অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে। এমনকি, দেশেও থাকতে পারেননি। চাকরি ছেড়ে অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন এই কর্মকর্তা। তার পক্ষে আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। জনশ্রুতি আছে, তিনি কলকাতায় সপরিবারে বসবাস করছেন এবং সেখানকার হাইকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।

১৯৯৩ সালে যখন সে ঘটনা ঘটেছিল তখন নারী নিগ্রহ, যৌন হয়রানি, যৌননিপীড়ন, ইভটিজিংয়ের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটত সীমিত পরিসরে। কমই এ ধরনের ঘটনার কথা শোনা যেত। তাই ধর্ষণের সে ঘটনা ছিল সে সময়ে ব্যতিক্রমী ও চাঞ্চল্যকর। প্রশাসনের পক্ষেও বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। ফলে অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কর্মস্থলে যাওয়া তো দূরের কথা, সাথে সাথেই তাকে গা ঢাকা দিতে হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে যেভাবে ধর্ষণ, নারী নিগ্রহ, যৌন হয়রানি ও ব্যভিচার বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এটাকে কেউ আর অস্বাভাবিক মনে করছেন না। সরকারি অফিসগুলোতেও এ প্রবণতা আগের তুলনায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে।

বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সদ্য ওএসডি করা, জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায়। নারী অফিস সহায়কের সাথে জেলা প্রশাসকের অবৈধসম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরও তিনি সাংবাদিকদের সাথে শুধু বৈঠকই করেননি যথারীতি অফিসও করেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথাও বলেছেন সবার সাথে। ওএসডি হলেও তার চাকরি বহাল তবিয়তে। আর এখানেই পার্থক্যটা স্পষ্ট ১৯৯৩ আর ২০১৯ সালের মধ্যে; জয়পুরহাট আর জামালপুরের ঘটনার। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতনের সাথে সাথে সর্বত্র ব্যভিচার যেভাবের বিস্তৃতি ঘটেছে তাতে এসব যেন খুবই স্বাভাবিকই মনে করা হচ্ছে। তাই এমন অনৈতিক কাজ নিয়েও তেমন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।

সারাদেশেই নারী নিগ্রহ, যৌন হয়রানি ও ব্যভিচারের মাত্রা অনেক বেড়েছে। তা বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে খুবই স্পষ্ট। এর সাথে যুক্ত হয়েছে শিশুধর্ষণ, নিগ্রহ ও হত্যার নারকীয়ও। তা আমাদের অবক্ষয়ের প্রান্তিকতাকেই প্রমাণ করে দেয়। জানা গেছে, ২০১৮ সালে সারা দেশে ২৮ প্রতিবন্ধী শিশুসহ ৫৭১টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ জন শিশু পাশবিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই বছরে ৮১২টি শিশু বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। ‘শিশু অধিকার সংরক্ষণে ২০১৮-এর পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৭ শতাংশ শিশুই কোনো না কোনো যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণপরিবহনে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৩ শতাংশ। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- এমনকি পরিবারেও শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার। কর্মজীবী ও গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অবস্থা আরো মর্মান্তিক ও ভয়াবহ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে চার হাজার ৫৬৬ শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত বছর ৪১৮টি শিশু হত্যার শিকার হয়েছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। ৩১ জন শিশুকে অপহরণের পর এবং ৬০ শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, নারীর প্রতি সহিংসতা ও বর্বরতার ধরন এবং নৃশংসতার মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রাপ্ততথ্য মতে, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি দুই বছরের আয়শাকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করে লম্পট নাহিদ। ৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় আশাশুনি উপজেলায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডেমরা থানাধীন শাহজালাল সড়কে দোলা (৭) ও নুসরাত (৫) নামের দুই শিশুকে ধর্ষণ করতে না পেরে শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে দু’লোক।

মহিলা পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তিন হাজার ৯১৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ৯৪২ জন নারী। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের ১৮২ জন। ২০১৭ সালে ৫ হাজার ২৩৫ নারী নির্যাতনের এবং এক হাজার ২৫১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন। ২০১৬ সালে চার হাজার ৮৯৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার। এর মধ্যে ৮৪০টি ধর্ষণ ও ১৬৬টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

আজও আমাদের দেশে উভয়ের সম্মতিতে ব্যভিচারের মতো অনৈতিক আচরণকে তেমন অপরাধ মনে করা হয় না বরং ক্ষেত্র বিশেষে উৎসাহিতই করা হয়, তাই কোনো গবেষণা বা প্রতিবেদনে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অবৈধ যৌনাচারকে স্থান দেয়া হয়নি। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জামালপুরের সাবেক ডিসির কেলেঙ্কারি বিষয়ে আলোচিত মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামালের বক্তব্য থেকে। তার ভাষায়, ‘ভিডিওটি ছড়িয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করা হয়েছে। যারা এ ভিডিও ছড়িয়েছে, তারা খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি’।

এটা বলে তিনি আমাদের এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, জেলা প্রশাসকের কেলেঙ্কারি তার একান্ত গোপনীয় বিষয়। কিন্তু কাজটা যে অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়, তিনি এ কথা একবারও বলেননি বরং সমঝোতার ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে বৈধ বলে প্রকারান্তরে বিষয়টিকে উৎসাহিতই করেছেন বলা চলে। আর এভাবেই আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রে ব্যভিচার, অশ্লীলতা নারীনিগ্রহের বিস্তৃতি ঘটছে। অথচ এমন অপকর্মের সমর্থকদের নামের আগেও শোভা পায় ‘মানবাধিকার’ বা ‘নারী অধিকার’ কর্মী। আর তা-ই অসহায় দেশবাসী হজম করতে হয়। জাতির জন্য এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে ?

অস্বীকার করা যাবে না যে, বাংলাদেশে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আইনি দুর্বলতা, আইনের যথাযথা প্রয়োগের অভাব এবং বিচারহীনতার সংক্রমণ কারণে নারীঘটিত অপরাধের সংক্রমণ ঘটছে আশঙ্কাজনকভাবে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারাও। এক শ্রেণীর আমলার বিরুদ্ধে নিজের সহকর্মী অথবা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অন্য নারীর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ ব্যাপক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এসব ঘটনায় উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও জড়িত বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যৌন হয়রানির প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলার ঘটনাও ঘটেছে। এটা আমাদের ‘ব্যুরোক্রেসি’কে ইমেজ সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে।

জানা যায়, ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন একজন উপসচিব। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অভিযোগ, ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় এক ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন এই কর্তাব্যক্তি এ সময় ধর্ষণের ভিডিও পর্যন্ত ধারণ করেন তিনি। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় এক বছর ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেন এই সাবেক অধ্যক্ষ। পদোন্নতি পেয়ে পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হন তিনি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় তদন্ত করে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৪ অক্টোবর নাটোরের তৎকালীন জেলাপ্রশাসকের বিরুদ্ধে এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তার অভিযোগ, জেলা প্রশাসক তাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কুপ্রস্তাব দেন। কুপ্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তাকে হয়রানি করা হয়। এর প্রতিকার চেয়ে ওই নারী কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর মন্ত্রণালয় তাকে অন্যত্র বদলি করে।

সম্প্রতি জামালপুরের জেলা প্রশাসকের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে তার অফিসের একজন নারী কর্মচারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে দেখা যায়। এটা অতীতের সব ঘটনাকে হার মানিয়েছে। অভিযোগ, এই জেলা প্রশাসক নিজ অফিস কক্ষেই নিজের জন্য ‘হারেম’ বানিয়েছেন। জনপ্রশাসনে এ ধরনের লোক সংখ্যা অতিনগণ্য হলেও তাদের কারণেই পুরো প্রশাসন এখন ভাবমূর্তি সঙ্কটে। বিষয়টি নিয়ে পুরো ‘ব্যুরোক্রেসি’র আত্মদহন শুরু হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।

‘ব্যুরোক্রেসি’ বা নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাহী বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। আইন ও সাংবিধানিক শাসনের জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ এটা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যৌক্তিক কারণেই ব্যুরোক্রেসি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য আমাদের দেশে জনপ্রশাসন নিয়ে নানা অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এক শ্রেণীর অতি উচ্চাভিলাষী আমলার কারণে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘আমলাতন্ত্র’ যেভাবে বিতর্কিত হয়েছে তার রেশ কাটিয়ে ওঠা হয়তো সহসাই সম্ভব হবে না।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement