২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল নিয়ে কথা

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল নিয়ে কথা - ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের চিন্তা করছে সরকার। রোববার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ পেয়েছে।

নিরাপত্তাবিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্ত স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নেয়াসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে কাজ করবে এ কাউন্সিল বা পরিষদ। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, বহির্বিশ্বের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলাসহ জঙ্গিবাদের মতো বিষয় নিয়েও কাজ করবে এ ফোরাম। সরকারের একাধিক সূত্র এ আভাস দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অফিস হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। অবশ্য এটি গঠনের প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক কমিটি এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, পুলিশ-র‌্যাবের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ ফোরাম পরিচালিত হবে।
আমরা জানি, বিশ্বের অনেক দেশেই বিভিন্ন নামে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ আছে। আঞ্চলিকভাবে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সংস্থা জাতীয় এই পরিষদের মতো কাজ করছে। বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে বিবদমান তিন শক্তি- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনেও আছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। এটি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানকে নিরাপত্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সব ধরনের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিতভাবে পরামর্শ আসে। ফলে সিদ্ধান্তের দায়ও এককভাবে কারো ওপর বর্তায় না। তবে ওই প্রতিষ্ঠান কেবল পরামর্শ দেয়, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের হাতে।

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের ভাবনা বাংলাদেশে নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ১৯৮১ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তার যখন রাষ্ট্রপতি তখনকার সেনাপ্রধান ও পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পত্রিকায় কলাম লিখে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচনায় এনে ছিলেন। সামরিক সরকারগুলোর বাস্তবতায় সে সময় রাজনৈতিক মহলে এটি সমালোচিত হয়। এরশাদও পরে সেভাবে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। ১৯৮৫ সালে নামমাত্র একটি সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করা হলেও এর কোনো কার্যক্রম ছিল না। ফলে তা পরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

১৯৯৬ সালে আরেক দফায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের জন্য সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ২৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও আলোচনায় আসে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের বিষয়। তখন এ ফোরাম, তথা এনএসসি গঠনের উদ্দেশ্যে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পার্শ্ববর্তী ভারত এবং পাকিস্তান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি উন্নত দেশে এ ধরনের কাউন্সিলের গঠন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে এবং এনএসসি গঠন-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রধান উপদেষ্টার দফতরে পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছিলেন অন্যতম উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তারপরও সেটা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

২০১২ সালে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ একটি সেমিনারের আয়োজন করলে এতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দাবি আবারো উত্থাপিত হয়। সেখানে কাউন্সিল গঠনের সমর্থনে বক্তব্য দেন সাবেক দুই সেনাপ্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) নুরুদ্দীন খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) হারুন-উর রশিদ। সেমিনারে হারুন-উর রশিদ বলেন, দেশের বড় সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয় থাকে না। এ জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। এটা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তাসহ সব সঙ্কটেই কাজ করবে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) নুরুদ্দীন খান।

আরেক সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মাহবুবুর রহমান পরে একটি জাতীয় দৈনিকের কাছে বলেন, বাংলাদেশে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল আগে থাকলেও তা ছিল অকার্যকর। কিন্তু বর্তমানে আইএসসহ নানা জঙ্গি তৎপরতা প্রতিহত করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ বিভিন্ন কারণে আবারো তার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। এ কথাটি তিনি বলেছিলেন ২০০৭ সালে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সঙ্কটকালে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাদের দেশে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতি, সন্ত্রাসের ঝুঁকি ও স্থানীয়ভাবে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়ার মতো পরিস্থিতিতে কৌশল ঠিক করা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে পরামর্শ দেয়ার মতো কোনো সুসমন্বিত ফোরাম এ দেশে গঠন করা হয়নি আজও।
এ বিষয়ে একজন সাবেক কূটনীতিকের মন্তব্য উল্লেখ করার মতো। চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আমি তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক। নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে অংশ নিয়েছি। উপস্থিত ছিলেন নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিভিল ও সেনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাই একমাত্র আলোচ্য ইস্যু। কিন্তু লক্ষ করলাম, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি বিষয় বৈঠকে উঠলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আরেক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব জানেন, কিন্তু পুরোপুরি অন্ধকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিছু বিষয় সেনাগোয়েন্দারা জানেন, কিন্তু সিভিল গোয়েন্দাদের সে সম্পর্কে ধারণাই নেই। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এমন সমন্বয়হীনতায় রীতিমতো শিউরে উঠেছিলাম। তখনই মনে হয়েছে এমন স্পর্শকাতর ইস্যুর সমন্বয়ের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।’

সাম্প্রতিক সময়ে ভৌগোলিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক কারণে বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র সব বড় শক্তিই চায় বাংলাদেশকে নিজের প্রভাববলয়ে রাখতে। বাংলাদেশে এক দিকে আছে ১৬ কোটি মানুষের বাজার; অন্য দিকে আছে কম খরচে পণ্য তৈরির সুবিধা, প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ এবং পাশের বিভিন্ন দেশের সাথে পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগের ব্যাপক সম্ভাবনা। এসব কারণে বাংলাদেশের দিকে বিশেষ নজর বড় শক্তিগুলোর। ২০২৪ সাল নাগাদ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায়ও আছে বাংলাদেশ। অর্থনীতি যত বড় হবে, বাণিজ্য তত বাড়বে। জ্বালানি ও বাজার ধরার প্রয়োজন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে হবে বাংলাদেশকে। এ জন্য কৌশল কী হবে সে পরামর্শও আসতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মতো ফোরাম থেকে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল’।

বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের পরামর্শ দিয়ে আসার কাজ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল করে আসছে বহু বছর ধরে। ব্রাজিলে ১৯২৭ সালে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গঠন করা হয় ন্যাশনাল ডিফেন্স কাউন্সিল। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্র–ম্যান গঠন করেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। পরে ১৯৪৯ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতরে কাজ করে আসছে এ কাউন্সিল।

জার্মানিতে ফেডারেল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠিত হয়েছে ১৯৬৯ সালে। রাশিয়ায় সিকিউরিটি কাউন্সিল অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৯২ সালে। ভারতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করা হয় ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে। এর এক মাস পরে ভারতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি বোর্ডও যাত্রা শুরু করে। পাকিস্তানে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল কাজ করছে ২০০৪ সাল থেকে। চীনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিশন অব দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না নামে এর পুনর্গঠন হয়েছে ২০১৩ সালে। একই বছর ইরানে গঠন করা হয়েছে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।

ভারতীয় এনএসসির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে যুক্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা পরিষদ, যেখানে সারা দেশের প্রতিষ্ঠিত, নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষকেরা সম্পৃক্ত রয়েছেন। প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে এই কাউন্সিলের অন্য সদস্যরা হলেনÑ প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান, তিন বাহিনীর প্রধান, সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী বাহিনীগুলোর প্রধান, পুলিশপ্রধান ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানরা। এ ছাড়া সঙ্কটকালে সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, সাবেক বাহিনীপ্রধানদেরও প্রয়োজনে এতে সম্পৃক্ত করা হয়ে থাকে। ১৫ দিন পরপর একবার এই কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের পরপরই ইসরাইলে গঠন করা হয়েছে এনএসসি। অবশ্য ইসরাইলি পরিষদ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ব্রিটেনে এনএসসির বদলে ‘ওয়ার কেবিনেট’ নামে এ ফোরাম পরিচিত। এটি একটি ক্ষুদ্র মন্ত্রণা পরিষদ, যার আনুষ্ঠানিক প্রধান স্বয়ং রাজা বা রানী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অন্য সদস্যরা হলেনÑ বিরোধীদলীয় প্রধান নেতা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা প্রধানরা।

রিজিওনাল অ্যান্টি-টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আরএটিআরআই) নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদারের মতে, সামরিক সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করা উচিত। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে গঠন করা হলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্র কার্যকর করায় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আইসিএলডিএস) নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) মো: আবদুর রশিদের মতে, জাতীয় প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠিত হলে তা জাতীয় দুর্যোগময় সময়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রতীক হিসেবে তা কাজ করবে।

বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পূর্বশর্তই হচ্ছে নিরাপত্তা। চলমান বিশ্বব্যবস্থায় ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তার সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে, এটাই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

এই লেখা শেষ করছি সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মাহবুবুর রহমানের একটি কথা দিয়ে। ২০১৫ সালে একটি জাতীয় দৈনিককে নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি শেষ কথা যেটি বলেছিলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটিকে (জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল) কোনোভাবেই রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা উচিত হবে না। তাহলে সেটি হবে চরম অন্যায়, তখন নিরাপত্তার বদলে নিরাপত্তাহীনতাই প্রকট হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement